মানিকগঞ্জে ১৫০ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ



খন্দকার সুজন হোসেন, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, মানিকগঞ্জ
খসে পড়ছে বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

খসে পড়ছে বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তারা, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

মানিকগঞ্জের সাত উপজেলায় মোট ৬৪৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ১৫০টি বিদ্যালয়ের ভবন ঝুঁকিপূর্ণ। অতিরিক্ত ভবন বা শ্রেণিকক্ষের সংকট থাকার কারণে ঝুঁকিপূর্ণ ওই ভবনগুলোগুতেই পাঠদান করতে হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীদেরকে।

এতে যেকোনো মুহূর্তে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি চিন্তিত অভিভাবকরাও। তবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো মেরামত বা নতুন ভবন নির্মাণের পরিকল্পনা চলমান রয়েছে বলে জানান জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562668366078.jpg

সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবনগুলোতে শিক্ষার্থীদেরকে পাঠদান করতে দেখা যায়। অনেক বিদ্যালয়ের ভবনের নিচের মাটি সরে গেছে। আবার কোনো কোনো বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তার খুলে পড়ছে। কোনটির আবার বিম থেকে খসে পড়ছে কংক্রিট। এরপরও পাঠদান কার্যক্রম চলছে এসব বিদ্যালয়ে।

জেলার সিংগাইর উপজেলার ঘোনাপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা কুররাতুল আইন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, তার বিদ্যালয়ে দুটি ভবন। এর মধ্যে একটিতে দুটি কক্ষ এবং আরেকটিতে রয়েছে তিনটি কক্ষ। তার বিদ্যালয়ের দুটি ভবনই ঝুঁকিপূর্ণ। এর মধ্যে একটি ভবন খুব বেশি ঝুঁকিপূর্ণ।

বিকল্প ব্যবস্থা না থাকার কারণে ওই ভবনগুলোতেই শিক্ষার্থীদের ক্লাস নিতে হয় বলে জানান দিনি।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562668386815.jpg

একই উপজেলার নয়াবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুর রাজ্জাক জানান, তার বিদ্যালয়ে একটি দ্বিতল ও একটি টিনশেড ভবন রয়েছে। দ্বিতল ভবনটি স্বাভাবিক থাকলেও টিনশেড ভবনটি পুরোপুরি ঝুঁকিপূর্ণ। কিন্তু শ্রেণিকক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনেও শিক্ষার্থীদেরকে ক্লাস নিতে হচ্ছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের তথ্যমতে, জেলায় মোট ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের সংখ্যা ১৫০টি। এর মধ্যে মানিকগঞ্জ সদরে ২৮টি, ঘিওরে ২২টি, সিংগাইরে ১৫টি, সাটুরিয়ায় ৭টি, হরিরামপুরে ২০টি, শিবালয়ে ২০টি এবং দৌলতপুরে ৩৮টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jul/09/1562668399965.jpg

এ বিষয়ে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা নিলুফা রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ১৫০টি বিদ্যালয়ের তালিকা এরই মধ্যে সংশ্লিষ্ট দফতরে পাঠানো হয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী অধিক ঝুঁকিপূর্ণ ভবনগুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে মেরামত বা নতুন করে নির্মাণ করা হবে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;