জলমহালে পাট জাগ দেওয়ায় ভেসে উঠেছে মরা মাছ



সোহেল মিয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, রাজবাড়ী
জলমহালে ভেসে উঠেছে মরা মাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

জলমহালে ভেসে উঠেছে মরা মাছ, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নে পাইককান্দি-চরআড়কান্দি বদ্ধ জলমহালে পাট জাগ দেওয়ায় ভেসে উঠেছে মরা মাছ। এতে অনেক টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন জলমহালের ইজারাদার কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মাছ মেরে লুটপাট করারও অভিযোগ করছে তারা।

শনিবার (৩ আগস্ট) সকাল ৭টায় সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, জলমহালে জামালপুর ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের বেশ কয়েকজন বাসিন্দা সারিবদ্ধ করে পাট জাগ দিয়েছেন। পাট জাগ দেওয়ার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে ভেসে উঠেছে।

জলমহলটির ইজাদার দারচী মৎস্যজীবি সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আখের আলী মন্ডল বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘২০১৯-২১ সাল তিন বছরের জন্য জলমহলটি রাজবাড়ী জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে প্রতি বছরের জন্য ৮ লাখ ৪০ হাজার টাকা দিয়ে ইজারা নিয়েছি। এরপর এখানে প্রায় ১৫ লাখ টাকার মাছ ছেড়েছি।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564805991593.jpg

তিনি আরও বলেন, ‘পাট জাগ দেওয়ার জন্য শ্রীরামপুর গ্রামের কয়েকজনকে নদীর পাশের ইউনিটের কথা বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমার কথা না শুনে এখানেই জোর করে পাট জাগ দিয়েছে। বিশেষ করে শ্রীরামপুর গ্রামের আব্দুল মালেক শেখ ও ওহিদ ফকীরের ছেলেরাসহ বেশ কয়েকজন পাট জাগ দিয়েছে। শুধু তাই না, পাট জাগ দিতে নিষেধ করায় তারা ক্ষিপ্ত হয়ে এখান থেকে প্রতিনিয়তই আমাদের মাছ চুরি করে লুটপাট করছে।’

চড়আড়কান্দি গ্রামের বাসিন্দা শিহাব শেখ, টিটো শেখ ও এনামুল এবং পাইককান্দি ভাটিপাড়া গ্রামের মো. শিহাবুল ইসলাম বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘এই জলমহালটি সরকারের কাছ থেকে লিজ নিয়ে একটি মৎস্যজীবি সমবায় সমিতি মাছ ছেড়েছে। কিন্তু এখানে পাট জাগ দেওয়ায় সিলভার কার্প, রুই, কাতল, তেলাপিয়া ও পুটিকাপসহ বিভিন্ন প্রজাতির মাছ মরে গেছে। সিলভার কার্প মাছগুলো ভেসে উঠেছে। আর বাকি মাছগুলো মরে তলিয়ে যাচ্ছে।এছাড়া শ্রীরামপুর গ্রামের ওহিদ ফকীরের ছেলেরা এখান থেকে জোর করেই মাছ ধরে নিয়ে যায়।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564806011112.jpg

এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত ওহিদ ফকীরের ছেলে আনোয়ার ফকীর বলেন, ‘আমরা পাট জাগ দিয়েছি সত্য। তবে মাছ মরে যাবে এটা বুঝতে পারি নাই।’

এছাড়া মাছ চুরি করে মারার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা রবিউল হক বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘জলমহালটির মধ্যে অতিরিক্ত পাট জাগ দেওয়ার ফলে পানি বিষাক্ত হয়ে মাছ মরে গেছে। তবে অল্প অল্প করে পাট জাগ দিলে পানি বিষাক্ত হতো না। জলমহালটির মধ্যে শ্যালো মেশিন দিয়ে খুব দ্রুত পানি দেওয়া প্রয়োজন। তাহলে হয়তো কিছুটা ক্ষতি কমতে পারে।’

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564806029635.jpg

বালিয়াকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. নায়েব আলী শেখ বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ক্ষতিগ্রস্ত সমিতির সদস্যরা আমার কাছে এসেছিল। আমি তাদেরকে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি। তবে একজনকে ক্ষতি করে অতিরিক্ত পাট জাগ দেওয়াটা ঠিক হয়নি। যেহেতু তারা সরকারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা দিয়ে লিজ নিয়ে এসেছে।’

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;