সাদুল্লাপুরে ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন চাষাবাদ



তোফায়েল হোসেন জাকির, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, গাইবান্ধা
সাদুল্লাপুরে জমিতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

সাদুল্লাপুরে জমিতে আমন চাষে ব্যস্ত কৃষকরা

  • Font increase
  • Font Decrease

 

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলায় প্রায় ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে শুরু হয়েছে চারা রোপণের কাজ। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছেন কৃষকরা। বিরামহীন গতিতে চলছে চারা রোপণের কাজ।

জানা যায়, এবারে গাইবান্ধা জেলার সবকটি উপজেলায় বন্যার পানি প্লাবিত হয়। এসব উপজেলার মধ্যে সাদুল্লাপুর উপজেলার অধিকাংশ ফসল মাঠ অনেকটাই উঁচু। তাই বন্যার প্রভাব তেমন লাগেনি। তবে উপজেলার নিচু এলাকা পুরাণ লক্ষীপুর ও জয়েনপুর গ্রামসহ আরও কয়েকটি গ্রামে প্লাবিত হয়েছিল। ফলে আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন কৃষকরা।

সম্প্রতি প্রচন্ড রোধ ও ভ্যাপসা গরমকে উপেক্ষা করে রোপা আমন চারা বুননে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা । তাদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পুরণে কাদা মাটিতে চারা বুনন কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

অপরদিকে সাদুল্লাপুর উপজেলার বর্গাচাষিরা পড়েছেন বিপাকে। তাদের মধ্যে দেখা দিয়েছে বীজচারা সংকট। এসব চারা সংগ্রহে বিভিন্ন হাট-বাজারে ও আদর্শ কৃষকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন তারা ।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/03/1564827558246.jpg

শনিবার (৩ আগস্ট) সাদুল্লাপুর বাজারস্থ বীজচারা কিনতে আসা কলিম উদ্দিন ব্যাপারি বলেন, আমন চাষাবাদ করার জন্য আমাদের নিজস্ব কোনো জমি নেই। ঘরের চাউলের ভাত খাওয়ার জন্য অন্যের জমি বর্গা নেওয়া হয়। ফলে বীজচারা কিনে জমি রোপণ করতে হচ্ছে। চারাও তেমন পাওয়া যাচ্ছে না। অন্য বছরের তুলনায় এবারে বীজচারার দাম বেশী বলে জানান তিনি।

জামালপুর এলাকার  আদর্শ কৃষক  হাফিজার রহমান জানান, ইতোমধ্যে চার বিঘা জমিতে আমন চারা রোপণ করেছি। অতিরিক্ত চারাগুলো হাটে গিয়ে বিক্রি করা হয়েছে। প্রতি পোন (২০ গোন্ডা) ৬০০ টাকা দামের বিক্রি করেছেন বলে জানান তিনি।

আরেক কৃষক আবু হোসেন মন্ডল আক্ষেপ করে জানান, গেল বোরো মৌসুমে ইরি ধান চালাবাদ করে ন্যায্য মূল্য পাওয়া যায়নি। অনেক লোকশানের হিসাব গুণতে হয়েছে। ফের আমন চারা রোপণ  শুরু করেছি। জানি না ঘুরে দাঁড়াতে পারব কিনা।

সাদুল্লাপুর উপজেলা কৃষি অফিসার খাজানুর রহমান বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, চলতি আমন মৌসুমে ১৪ হাজার ৯৫০ হেক্টর জমিতে চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার হেক্টর জমিতে চারা রোপণ করা হয়েছে।

তিনি আরো বলেন, এ উপজেলায় বন্যায় আংশিক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের জন্য ১১ একর জমিতে বীজতলা তৈরি করা হয়েছে।  এতে করে কৃষকদের বিনামূল্যে চারা বিতরণ করা হবে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;