বগুড়ায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের ব্যাপক সাফল্য



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, বগুড়া
ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

বগুড়া জেলার ১২টি থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে গত এক বছরে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ মীমাংসার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের ব্যাপক সাফল্যের কারণে সাধারণ মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরেছে। গ্রামের মানুষ এখন আর মাতব্বরদের কাছে না গিয়ে চলে আসছেন থানায়।

জানা গেছে, ১২ ধরনের অভিযোগ নিয়ে কাজ করে থাকে নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক। এসবের মধ্যে যৌন হয়রানি, যৌতুক, বাল্যবিয়ে, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা, গণধর্ষণ, শারীরিক নির্যাতন, মানসিক নির্যাতন, পারিবারিক কলহ, অপহরণ, পরকীয়া এবং সাইবার ক্রাইম।

২০১৭ সালে জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) বগুড়ায় এ ধরনের অপরাধ নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কাজ শুরু করে। শুরুতে তিনটি থানায় ইউএনএফপিএ'র নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক চালু করা হয়। বাকি ৯ থানার মানুষের কথা চিন্তা করে বগুড়ার পুলিশ সুপার নিজ উদ্যোগে সেখানে নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক চালু করেন। এই হেল্প ডেস্কগুলোতে একজন করে নারী পুলিশ কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।

নারী হেল্প ডেস্কের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হচ্ছে অভিযোগকারীর সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নাম-পরিচয় এবং অভিযোগের বিষয়টি গোপন রেখে তাকে আইনগত সহযোগিতা করা হয়। শুধু তাই নয় বাংলাদেশে একমাত্র বগুড়া জেলাতেই ১২টি থানায় নারী ও শিশু হেল্প ডেস্ক রয়েছে।

জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত এক বছরে ১২টি থানার নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে ১৬৬৫টি অভিযোগ পাওয়া যায়। এর মধ্যে ১৪১৯টি অভিযোগ মীমাংসার মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হয়। ২২২টি অভিযোগ জিডি ভুক্ত করে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হয়। এছাড়াও ৩০৪টি অভিযোগ আপোষ যোগ্য না হওয়ায় মামলা রেকর্ড করা হয়।

এক বছরে যে ১৬৬৫টি অভিযোগ নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে পাওয়া গেছে তার মধ্যে যৌন হয়রানি ১৪২টি, যৌতুক ২৬৯টি, বাল্যবিয়ে ৩৭টি, ধর্ষণ ও ধর্ষণের চেষ্টা ১৫৮টি, গণধর্ষণ ৮টি, শারীরিক নির্যাতন ৭২৫টি, মানসিক নির্যাতন ৩৫৮টি, পারিবারিক কলহ ৫০০টি, অপহরণ ১৩৮টি, প্রেম ও পরকীয়া জনিত ৮৪টি, শিশু পালিয়ে যাওয়া ৪১টি এবং সাইবার অপরাধ ৩০টি।

জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল বগুড়া জেলা প্রতিনিধি তামিমা নাসরিন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, ২০১৭ সাল থেকে বগুড়ায় কাজ শুরু হয়েছে। ইতোমধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়েছে। এখন ১০৫ জনের একটি স্বেচ্ছাসেবী দল গঠন করা হয়েছে। তারা নিজ নিজ এলাকায় বাল্য বিয়ে, যৌতুক, ইভটিজিংসহ নানা ধরনের সামাজিক অপরাধের খবর পেলে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে অবহিত করবেন।

বগুড়ার পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে জানান, নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কের মাধ্যমে পাওয়া অভিযোগগুলোর মধ্যে প্রায় দেড় হাজার অভিযোগ মীমাংসার মধ্য দিয়ে নিষ্পত্তি করা হয়েছে। জনসচেতনতা বাড়াতে জেলার দুর্গম এলাকাতে গত এক বছরে ১৪৮টি সভা করা হয়েছে। এই সভার মধ্য দিয়ে ৩০ হাজার ২০০ জনকে সচেতন করা হয়েছে।

তিনি আরও জানান, নারী ও শিশু হেল্প ডেস্কে এমন অনেক অভিযোগ এসেছে যে অভিযোগকারীর অভিযোগ তার অভিভাবককে না জানিয়ে সমাধান করে দিয়ে তাকে আত্মহত্যার পথ থেকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।

   

গড়াই নদীতে ডুবে যুবকের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
ছবি প্রতীকী

ছবি প্রতীকী

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার খোকসায় গড়াই নদীতে ডুবে সুমন (২০) নামে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে খোকসা উপজেলার গনেশপুর অংশে গড়াই নদী থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

মৃত সুমন কুমারখালী উপজেলার রাজাপুর গ্রামের নিজাম উদ্দিনের ছেলে।

খোকসা ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের ফায়ারম্যান হাবিবুর রহমান জানান, সকালের দিকে গড়াই নদীতে মাছ ধরতে যান সুমন। মাছ ধরার এক পর্যায়ে নদীতে ডুবে যান তিনি। বিকেলের দিকে স্থানীয়দের সহায়তায় তার মরদেহ উদ্ধার করে ফায়ার সার্ভিস।

;

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বজ্রপাতে কিশোরের মৃত্যু



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুমিল্লা
প্রতীকী ছবি

প্রতীকী ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে ফুটবল খেলার সময় বজ্রপাতে সাফায়েত হোসেন (১৯) নামে একজনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময় সালাউদ্দিন (২২) নামের আরেক যুবক গুরুতর আহত হন।

রোববার (৫ এপ্রিল) এই বিকেলে এই ঘটনা ঘটে। তাদের উদ্ধার করে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ওই কিশোরকে মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, উপজেলার আদ্রা দক্ষিণ ইউনিয়নের আটিয়াবাড়ি দক্ষিণপাড়া স্কুল বাড়ির আবদুল আউয়ালের ছেলে সাফায়াত হোসেন এদিন বিকেলে সহপাঠীদের সাথে পার্শ্ববর্তী ঘোড়াময়দান গ্রামের একটি মাঠে ফুটবল খেলতে যায়। বিকাল ৫টার দিকে খেলা চলা অবস্থায় আকস্মিক বজ্রপাতে সাফায়েতের পুরো শরীর ঝলসে যায়। তাৎক্ষনিকভাবে তাকে উদ্ধার করে লাকসামের একটি ক্লিনিকে নেয়া হলে সন্ধ্যায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া বজ্রপাতে ওই ঘোড়াময়দান গ্রামের নুরুল হকের ছেলে সালাউদ্দিন (২২) গুরুতর আহত হয়ে স্থানীয় একটি ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল ওহাব ঘটনার এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।

;

লক্ষ্মী ভাইয়েরা বাসায় যান, নিজেসহ দেশকে বাঁচান



নাহিদ রেজা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঠাকুরগাঁও
ওসি তানভিরুল ইসলাম।

ওসি তানভিরুল ইসলাম।

  • Font increase
  • Font Decrease

আমার লক্ষ্মী ভাইয়েরা দয়া করে বাইরে ঘোরাঘুরি না করে বাসায় যান। নিজে বাঁচেন, পরিবারকে বাঁচান, দেশকে বাঁচান। সচেতন হোন।

ঠিক এসব কথা বলে করোনাভাইরাস প্রতিরোধে জনগণকে সচেতন করছেন ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম। মাঠ পর্যায়ে গিয়ে এভাবে সচেতন করায় সাধুবাদ জানিয়েছে সাধারণ মানুষ।

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রহিমানপুর ইউনিয়নের রেজাউল ইসলাম বলেন, ‘আমি ওষুধ কেনার জন্য স্থানীয় বাজারে এসেছিলাম। কিছুক্ষণ পর থানার একটি গাড়ি বাজারের সামনে এসে দাঁড়ায় এবং ওসি তানভিরুল সবাইকে বাসায় থাকার জন্য অনুরোধ করেন। এর আগে কখনো জনগণের সঙ্গে পুলিশের এমন ভালো আচরণ দেখি নাই।’

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার চৌড়াস্তা মোড়ে কথা হয় জয়নাল নামে এক পথচারীর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমাদের জেলার পুলিশ সাধারণ জনগণের সঙ্গে ভালো ব্যবহার করছে। তাদের ভাই বলে বাসায় ফিরে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করছে। ওসিসহ পুলিশের সদস্যরা নিজেদের কথা চিন্তা না করে আমাদের জন্য এ কাজটি করে যাচ্ছেন। তাদের ধন্যবাদ জানাই।’

স্থানীয় সাহাদত হোসেন নামে একজন বলেন,‘তানভিরুল ভাই একজন মানবিক পুলিশ অফিসার। তার জন্য শুভকামনা ও দোয়া রইল।’

ঠাকুরগাঁও সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। এ ভাইরাস প্রতিরোধে আমাদের সবাইকে সচেতন হতে হবে। সরকার যেসব দিক নির্দেশনা দিয়েছে সেগুলো মেনে চলতে হবে। জনগণের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার না করে তাদের সচেতন করা হচ্ছে। এতে কাজও হচ্ছে।’

;

ডিবি পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই, যুবক গ্রেফতার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, নীলফামারী
গ্রেফতার আবেদ আলী।

গ্রেফতার আবেদ আলী।

  • Font increase
  • Font Decrease

নীলফামারীতে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপপরিদর্শক পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার অপরাধে আবেদ আলী (২৮) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

রোববার (৫ এপ্রিল) বিকেলে নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

আবেদ আলী সৈয়দপুর উপজেলার কাশিরাম বেলপুকুর ইউনিয়নের চওড়া গ্রামের খয়রাত হোসেনের ছেলে।

জানা গেছে, শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে জেলা সদরের কুন্দপুকুর ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামে মোকছেদুল ইসলামসহ কয়েক যুবক মোবাইলে ভিডিও গেম খেলছিলেন। এ সময় আবেদ আলী নিজেকে সৈয়দপুর থানার ডিবি পুলিশের উপপরিদর্শক পরিচয় দিয়ে ওই যুবকদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে যান। পরে এ বিষয়ে মোবাইলের মালিক মোকছেদুল ইসলাম সদর থানায় অভিযোগ করেন।

এরপর রোববার ভোরে আবেদ আলীর বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ওই সময় তার কাছ থেকে ছিনতাই কাজে ব্যবহৃত একটি খেলনা পিস্তল ও ওয়্যারলেস সেট, একাধিক মোবাইল সিম এবং দুটি পরিচয়পত্র জব্দ করে পুলিশ।

নীলফামারী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ডিবি পুলিশের ভুয়া পরিচয়ে মোবাইল ছিনতাই করার সত্যতা স্বীকার করেছেন আবেদ আলী। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করার পর আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;