নারীর ক্ষমতায়নে সরকার ভিত রচনা করেছে: শ্রম প্রতিমন্ত্রী

  • স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, খুলনা, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান বলেছেন, নারীদের অধিকার নারীদেরই আদার করে নিতে হবে। নারীর ক্ষমতায়নে সরকার ভিত রচনা করেছে। কর্মক্ষেত্রে নারীদের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করে যাচ্ছে সরকার। পুরুষের পাশাপশি নারীরা আজ সমান তালে এগিয়ে যাচ্ছে।

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে শুক্রবার (৮ মার্চ) সকালে খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিজ্ঞাপন

শ্রম প্রতিমন্ত্রী বলেন, কৃষিক্ষেত্র ও গৃহস্থালি থেকে শুরু করে সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীদের অবদান রয়েছে। তাদের এই অবদানকে মূল্যায়ণ করতে হবে, নারীদের সম্মান করতে হবে। তাদের আরো উন্নয়নে সম্মিলিতভাবে এগিয়ে আসতে হবে। নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সকলকে এগিয়ে আসতে হবে। নারীরা আজ কোনো ক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই। সরকার ‘জাতীয় নারী উন্নয়ন নীতি ২০১১‘’ প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে নারীদের নিয়োগ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং রাজনৈতিক দলেও নারী প্রতিনিধিত্ব বেড়েছে।

তিনি বলেন, সরকার দেশের বিভিন্ন স্থানে ইতোমধ্যে ১০০ অর্থনৈতিক অঞ্চল নির্মাণ শুরু করেছে। পদ্মাসেতু নির্মিত হলে খুলনা অঞ্চলের অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Mar/08/1552035008478.jpg

পুলিশ উইমেন্স নেটওয়ার্ক, খুলনা রেঞ্জ ও খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) যৌথভাবে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। কেএমপি’র ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কমিশনার সরদার রকিবুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন খুলনার অতিরিক্ত ডিআইজি মো. হাবিবুর রহমান, সিটিএসবির বিশেষ পুলিশ সুপার মোছা. রাশিদা বেগম, পুলিশ সুপার এস এম শফিউল্লাহ, ডেপুটি পুলিশ কমিশনার মো. জাফর হোসেন, মহিলা কাউন্সিলর মোছা. লুৎফুন নেছা, মহিলা শ্রমিক লীগের সভাপতি নাসরিন আক্তার, মহিলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং জাতীয় মহিলা সংস্থার সাধারণ সম্পাদক প্রমুখ। স্বাগত বক্তব্য দেন খুলনা আর আর এফ এর কমান্ড্যাট মোছা. তাসলিমা খাতুন।

এর আগে প্রতিমন্ত্রীর নেতৃত্বে পাওয়ার হাউজ মোড় থেকে বর্ণাঢ্য র‌্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে হাদিস পার্কে গিয়ে শেষ হয়। র‌্যালিতে পুলিশ বিভাগের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার জনগণ অংশগ্রহণ করেন।