‘জোটগত’ ও ‘দলীয়’ আন্দোলনে যাচ্ছে বিএনপি

  • মুজাহিদুল ইসলাম, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

দুই প্রক্রিয়ায় আন্দোলনের ছক কষছে বিএনপি। মূলত ‘জোটগত’ ও ‘দলীয়’ আন্দোলনের মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মাঠে রাখার পরিকল্পনা করছে দলটির হাইকমান্ড। শিগগিরই ড. কামাল হোসেনকে সামনে রেখে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের ব্যানারে এবং দলের পক্ষ থেকে পৃথক পৃথক কর্মসূচির ঘোষণা দেয়া হবে।

জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপি’র নির্ভরযোগ্য সূত্র বার্তা২৪.কম-কে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিজ্ঞাপন

বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ইতোমধ্যে দলকে পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর অংশ হিসেবে তৃণমূল থেকে বিএনপিকে ঢেলে সাজানো হবে। এছাড়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে দলের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলোর পূর্ণাঙ্গ কমিটি সম্পন্ন করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া মাঠপর্যায়ের যেসব নেতা দলের হাইকমান্ডের ওপর রাগে-ক্ষোভে দূরে সরে যাচ্ছেন তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করা হচ্ছে। এসব নেতাদের মাঠে টিকে থাকতে ভেঙে না পড়ে শক্তি সঞ্চয় করতে বলা হয়েছে।

সম্প্রতি দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী আন্দোলনের ইঙ্গিত দিয়ে সাংবাদিকদের জানান, বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। শিগগিরই ঘোষণা আসবে।

আর তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় আন্দোলনে ভয় পাওয়া নেতাদের পদ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান জানান।

সূত্রে জানা গেছে, পরবর্তী আন্দোলন নিয়ে ইতোমধ্যে বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মাঠ পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে উত্তরায় তার নিজস্ব বাসায় ও গুলশানে একাধিক সিরিজ বৈঠক করেছেন। অতীতে ছাত্রদল, যুবদলের যেসব নেতা মাঠ পর্যায়ের ভূমিকা রেখেছিলেন তাদের পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করার নির্দেশনা দিয়েছেন। এমনকি তৃণমূলে সাংগঠনিক পর্যায়ের নেতাদেরও দলের পক্ষ থেকে বার্তা দেয়া হয়েছে।

জানা গেছে, বিএনপির হাইকমান্ড থেকে তৃণমূল নেতাদের জানানো হয়েছে- বিএনপির নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত ঠিক ছিল। ক্ষমতাসীনদের যে চরিত্র তার জবাব জনগণ নীরবে দিচ্ছে। এখন কেউ আর উৎসব নিয়ে ভোটকেন্দ্রে যাচ্ছেন না। ক্ষমতাসীন দল নিজেরা নির্বাচন করলেও সংঘাতে জড়াচ্ছে। নির্বাচনে ভোটার নেই, এজেন্ট, প্রিজাইডিং অফিসাররা ভোটার না পেয়ে ঘুমাচ্ছেন। গণমাধ্যমে প্রকাশিত এমন সংবাদে ক্ষমতাসীন দল দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে।

আরও জানা গেছে, মানুষ এই সরকারকে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রত্যাখ্যান করেছে। এখন জনগণ একটি নির্দেশনার জন্য অপেক্ষা করছে। ফলে বিএনপির কেন্দ্র থেকে জনগণের পক্ষে যখন নির্দেশনা আসবে তখন সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে থাকতে হবে।

এ বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দল পুনর্গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে দলের চেয়ারপারসনকে মুক্ত করা এবং দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা হবে।’

দলের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান বার্তা২৪.কম-কে বলেন, ‘দলকে ঐক্যবদ্ধ করে চূড়ান্ত আন্দোলনের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করা হবে।’

তবে বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বার্তা২৪.কম-কে বলেন, বিএনপি যতদিন তারেক রহমানের নেতৃত্ব থেকে বের হতে পারবে না ততদিন পর্যন্ত দেশে কোনো আন্দোলন হবে না।’