ব্যক্তিত্বের বাহক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার হোক আদবকায়দার সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের ব্যবহার হোক আদবকায়দার সঙ্গে। ছবি: সংগৃহীত

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে না, বর্তমান সময়ে এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।

একইভাবে দুষ্কর এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া, যিনি জানেন ও মানেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের আদবকায়দা। এমন কথা শুনে অনেকেই চোখ কপালে তুলবেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের জন্য আবার কোন শিষ্টাচারের প্রয়োজন আছে না কি!

ভীষণ জরুরি এই বিষয়টিকে এভাবেই অবহেলা করি আমরা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করা প্রতিটি পোস্ট আমাদের ব্যক্তিত্ব, ব্যক্তিগত জীবন, চিন্তাভাবনা, ধ্যান-ধারণা, বিশ্বাস ও দর্শনকে উপস্থাপন করে।

বিজ্ঞাপন

জেনে নিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারের দারুন গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি শিষ্টাচার।

পণ্যের রিভিউ দিন ওয়েবসাইটে

ইদানীং কেনাকাটা বেশি করা হয় অনলাইনে। সেক্ষেত্রে ভালো-খারাপ সকল ধরণের অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হতে হয়। খারাপ পণ্য হাতে পাওয়ার ফলে অনেকেই ক্ষুব্ধ হয়ে ওয়েবসাইটের ফেসবুক পেইজে নেগেটিভ রিভিউ দিয়ে বসেন। অনলাইন কেনাকাটায় বাজে অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হলে অবশ্যই সেটার রিভিউ দেওয়া উচিৎ। তবে রিভিউ দিতে হবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের পরিবর্তে সরাসরি ওয়েবসাইটে।

বিজ্ঞাপন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/08/1536405359697.jpeg

কর্মক্ষেত্র নিয়ে নেতিবাচক পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন

আবেগের বশবর্তী হয়ে অনেকেই নিজের কর্মক্ষেত্র ও সহকর্মীদের সম্পর্কে নেতিবাচক ও বিদ্রুপমূলক মন্তব্য করেন। নিজের এমন বালখিল্যপূর্ণ আচরণের জন্য পরবর্তীতে ভোগান্তিতে পড়তে হবে নিজেকেই। কারণ দ্রুত যোগাযোগের এই সময়ে কর্মক্ষেত্রের মানুষ এই সকল মন্তব্য সম্পর্কে এক না এক সময় অবগত হবেনই। কিন্তু ততক্ষণে অনেক দেরী হয়ে যাবে নিজের ভুল সংশোধনের জন্য।

আরো পড়ুন: বাড়তি মোবাইল সেট ব্যবহারের দারুণ কিছু উপায়

নিজ পরিবার ও বন্ধুদের বিষয়ে অভিযোগ করবেন না

অস্বীকার করার উপায় নেই, এই অভ্যাসটা কম-বেশি সবার মাঝেই আছে। নাম উহ্য রেখে পরিবার কিংবা বন্ধুদের কোন বিষয় নিয়ে অভিযোগমূলক পোস্ট শেয়ার করার এই প্র্যাকটিসটা, খুব সূক্ষ্মভাবে ব্যক্তিগত জীবনের উপরে নেতিবাচক প্রভাব তৈরি করে। কাছের মানুষদের উপরে অভিমান কিংবা অভিযোগ তো তৈরি হবেই। কিন্তু সেটাকে প্রকাশ্য না করাই শ্রেয়।

রাগান্বিত অবস্থায় কোন পোস্ট না করা

সামাজিক মাধ্যমে মানুষ যা পড়ে, সেটাই তার মনের উপর প্রভাব বিস্তার করে। আপনি যদি রাগের মাথায় বাজে ভাষা ব্যবহার করে কোন পোস্ট করেন, অনেকের কাছে সেই লেখাটাই আপনার ভাবমূর্তি হয়ে দাঁড়াবে। অথচ বাস্তবে ব্যক্তি মানুষ হিসেবে আপনি সম্পূর্ণ ভিন্ন একজন। সামান্য সময়ের সংযত আচরণ আপনার জন্যেই ভালো কিছু বয়ে আনবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Sep/08/1536405386322.jpeg

অন্যের মতামতকে গুরুত্ব দিন

নিজের মতের সাথে অন্য কারোর মতামত না মিললেই যথেচ্ছা কমেন্ট করা খুব ভালো কোন অভ্যাস নয় নিশ্চিতভাবেই। ভিন্ন মানুষ, ভিন্ন মতামত। কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে আপনার মতামতের সাথে অন্য আরো দশজনের মতামত মিলবে, এমনটা ভাবাই তো ভুল! অন্যের মতামতের উপর শ্রদ্ধাশীল হওয়া ও তাদের মতামতকে গুরুত্ব সহকারে গ্রহণ করার বিষয়ে সচেষ্ট হতে হবে।

আনফ্রেন্ড ও আনফলো করুন নির্দ্বিধায়

আপনার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটা হোক আপনার পছন্দ ও শান্তির নীড়। বন্ধু তালিকার কারোর লেখা ও কমেন্ট যদি আপনাকে বিরক্ত ও বিব্রত করে, তার সাথে অহেতুক বাক-বিতণ্ডায় না জড়িয়ে ঝেড়ে ফেলে দিন বন্ধু তালিকা থেকে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের বন্ধু তালিকায় কাউকে রাখা ও নিজের থাকা খুব বড় কোন বিষয় নয়। নিজের মানসিক শান্তিকে সবার আগে অগ্রাধিকার দিন।