আপনার কি হেয়ারকাট দেওয়ার সময় হয়েছে?
নিয়মিত চুলে কাটানোর ফলে চুল সুস্থ থাকার পাশাপাশি নিজেকে দেখায় দারুণ ফ্রেশ।
হট অয়েল ম্যাসাজ, হেয়ার প্যাক ব্যবহারের মতো নির্দিষ্ট সময় পরপর চুল কাটানোও চুলের যত্নের মাঝে পরে। নিজেকে আত্মবিশ্বাসী, দৃঢ় ও ব্যক্তিত্বপূর্ণ দেখানোর পেছনেও সঠিক হেয়ারকাটের অবদান রয়েছে।
কিন্তু কীভাবে বুঝবেন হেয়ারকাট দেওয়ার সময় হয়েছে কি না! আপনার দ্বিধা দূর করতেই তুলে ধরা হলো কয়েকটি পয়েন্ট।
চুলের আগা দ্রুত শুকিয়ে যায়
সম্পূর্ণ চুল ভেজানোর পর স্বাভাবিকভাবেই চুলের আগা দ্রুত শুকাবে। কিন্তু খেয়াল করে দেখুন, সাধারণত যে সময়টুকু প্রয়োজন চুলের আগা শুকানোর জন্য তার আগেই শুকিয়ে যাচ্ছে কি না। যদি তাই হয়ে থাকে তবে বুঝে নিন হেয়ারকাটের প্রয়োজন দেখা দিয়েছে।
প্রতিদিন চুলের অবস্থা খারাপ থাকে
হুট করেই খেয়াল করলেন, প্রায় নিয়মিত চুলের বেহাল দশা থাকছে। যতই চুলকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হোক না কেন, কোনভাবেই কাজে আসছে না। এমন সমস্যা যখন মাথাচাড়া দিচ্ছে তখন দারুণ একটি হেয়ারকাট দিয়ে দিন।
চুলের কোন শেইপ নেই
চুল অনেক লম্বা হয়ে গেছে। কিন্তু পুরো চুলেই কোন নির্দিষ্ট আকার কিংবা আকৃতি নেই। পেছন থেকে পুরো চুলকে দেখতে মোটেও আকর্ষণীয় দেখায় না। এক্ষেত্রে হেয়ারকাট না দিলেই নয়। চুল খাটো হয়ে যাবার ভয় থাকলে হেয়ারড্রেসারকে তেমন ধরণের হেয়ারকাট বুঝিয়ে দিতে হবে। যে হেয়ারকাট দিলে চুলের শেইপ ঠিক হয়ে যাবে এবং চুল খুব একটা খাটোও হবে না।
চুলের আগা ফেটে যাওয়া
চুলের আগা ফাটার সমস্যায় ভোগেন না এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম। চুলের আগা ফাটার নানাবিধ কারণ থাকলেও, নির্দিষ্ট সময় পরপর ট্রিমিং না করালে এই সমস্যাটি দেখা দেয়। তাইতো বিউটিশিয়ানরা প্রতি তিন মাস অন্তর চুল ট্রিম করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
চুল হারিয়েছে তার ঔজ্জ্বল্য
নিয়মিত চুলের যত্ন করার পরেও দেখছেন চুলে কোন উজ্জ্বলতা নেই। ক্ষেত্র বিশেষে চুলের উপরিভাগের অংশে উজ্জ্বলতা বজায় থাকলেও, নিচের দিকে একেবারেই নিস্প্রভ ও নিস্প্রাণ। এমন অবস্থায় পারফেক্ট হেয়ারকাট চুলে এনে দিতে প্রাণ।
বেড়েছে চুল পড়ার সমস্যা
স্বাভাবিক ক্ষেত্রে দিনে ৫০-১০০ টা চুল পড়াকে একেবারেই স্বাভাবিক ধরা হয়। তবে এর বেশি চুল পড়ার সমস্যা দেখা দিলেই চুলে যত্ন নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। যদি দীর্ঘদিন যাবত চুল পড়ার সমস্যা রয়ে যায়, তবে হেয়ারকাট দেওয়ার সময় এসেছে বলে ধরে নিতে হবে।