নো ব্রা ডে: ব্রেস্ট ক্যান্সার প্রতিরোধে জরুরি সচেতনতা

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

নো ব্রা ডে। ছবি: সংগৃহীত

নো ব্রা ডে। ছবি: সংগৃহীত

পুরো বিশ্বের কথা বাদ দেই। শুধু বাংলাদেশেই নারীদের ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর ভেতর ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার হলো ৬৯ শতাংশ।

১৫ থেকে ৪৪ বছর বয়সী নারীদের মাঝে অন্য যেকোন ক্যান্সারের চাইতে, ব্রেস্ট ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। ভয়াল ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সকলের মাঝে সচেতনতা গড়ে তুলতে ও ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ সম্পর্কে নারীদের সচেতন করতেই পালন করা হয় ‘নো ব্রা ডে’।

২০১১ সালের ৯ জুলাই থেকে নো ব্রা ডে পালন করা শুরু হয়। প্রথম তিন বছর জুলাইয়ে নো ব্রা ডে পালন করা হলেও, পরবর্তিতে অক্টোবরের ১৩ তারিখ থেকে পালন করা হয়ে আসছে এই বিশেষ দিনটি।

বিজ্ঞাপন

এখন কৌতূহলী হয়ে অনেকেই জানতে চাইবেন- ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে সচেতনতা গড়ে তুলতে নো ব্রা ডে কেনো? বিশেষত এই দিনটিতে সকল নারীদের স্তন্য পরীক্ষা করানোর প্রতি উদ্বুদ্ধ করা হয়। যার প্রতীকী রূপে দিনটিকে বলা হয়ে থাকে নো ব্রা ডে!

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/13/1539429659102.jpg

বিজ্ঞাপন

খুব স্বাভাবিকভাবেই, আমাদের দেশের নারীরা ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে একেবারেই সচেতন নন। এমনকি ব্রেস্ট ক্যান্সার সম্পর্কে বিন্দুমাত্র ধারণা নেই, এমন নারীর সংখ্যাও নেহাত কম নয়। অজ্ঞতা, অসচেতনতা, বিভ্রান্তিমূলক ধারণা, জড়তা ও সঠিক তথ্যের প্রচারণার অভাবে প্রতি বছর ব্রেস্ট ক্যান্সারে আক্রান্ত নারীদের সংখ্যা বেড়ে চলছে ক্রমেই।

বলা হয়ে থাকে সঠিক চিকিৎসা ও নিয়মতান্ত্রিক জীবন ব্যবস্থা মেনে চলার মাধ্যমে ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্মূল করা সম্ভব। তবে এখানেও রয়েছে বড়সড় একটি ‘কিন্তু’। প্রায় ৯৫ শতাংশ ক্ষেত্রেই প্রাথমিক অবস্থায় ব্রেস্ট ক্যান্সার নির্ণয় করা সম্ভব হয় না। যে কারণে নীরব ঘাতক ব্রেস্ট ক্যান্সারে অকাল প্রাণ হারাতে হয় অনেক ভুক্তভোগীকেই।

ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণসমূহ জানা থাকলে একদম শুরু থেকেই সতর্ক হওয়া যায়। ক্যান্সার ছড়িয়ে পড়ার আগেই চিকিৎসা শুরু করলে, সুস্থ হয়ে ওঠা যায় পুনরায়। ব্রেস্ট ক্যান্সারের লক্ষণগুলো জানানো হলো।

১. স্তন্য ও বগলের নিচের দিকে পিন্ড (লাম্প) বা চাকার মতো বোধ হওয়া।

২. স্তন্যের ত্বকের রঙ পরিবর্তন হওয়া।

৩. স্তন্যের আকার ও আকৃতিতে পরিবর্তন আসা।

৪. স্তন্যের ত্বক কুঁচকে যাওয়া।

৫. স্তন্যের বোঁটা (নিপল) ভেতরের দিকে ঢুকে যাওয়া।

৬. স্তন্য বোঁটা ও বোঁটার চারপাশে ফুসকুড়ি কিংবা র‍্যাশের মতো দেখা দেওয়া।

৭. বোঁটা থেকে সাদা কিংবা হলদেটে তরল বের হওয়া।

৮. স্তন্যে ব্যথাভাব দেখা দেওয়া।

এক্ষেত্রে জেনে রাখা ভালো যে, স্তন্যের ৯০ শতাংশ পিন্ডই নিরীহ। অর্থাৎ সেই সকল পিন্ড থেকে ক্যান্সার হবার কোন সম্ভবনা নেই। তবে নিয়মিত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের কাছে স্তন্য পরীক্ষা করানোর বিষয়ে ভোলা যাবে না একদম।

জড়তা ও লজ্জা ভেঙে প্রতিটি নারীকেই ব্রেস্ট ক্যান্সারের বিষয়ে সচেতন হতে হবে। একজন সচেতন নারী যদি আরও দশজনকে সচেতন করতে পারেন, তবেই বাড়বে সচেতনতা। কমবে ব্রেস্ট ক্যান্সারে মৃত্যুর হার।