অ্যালোভেরা সংরক্ষণের দারুণ তিন উপায়
প্রকৃতির এক অনন্য উপহার হিসেবে ধরা হয় অ্যালোভেরাকে।
প্রাকৃতিক উপাদানের মাঝে এই পাতার জেলের রয়েছে সবচেয়ে ভালো ‘হিলিং পাওয়ার’, যা কোন ক্ষতকে দ্রুত সারাতে সবচেয়ে কার্যকরি। স্বাস্থ্য গুণে ভরপুর এই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা যায় প্রায় সকল কাজেই। শরীরে কোথাও কেটে গেলে, রোদে পোড়াভাব দূর করতে, চুল ও ত্বকের পরিচর্যায় ও শরবত হিসেবে খাওয়া যায় দারুণ এই উপাদানটি.
তবে হাতের নাগালে সবসময় অ্যালোভেরা পাওয়া সম্ভব হয় না। দেখা যায় প্রয়োজনের সময়েই বাজারে অ্যালোভেরার কোন খোঁজ নেই। এমন সমস্যা এড়াতে চাইলে একবারে বেশি করে অ্যালোভেরার জেল সংরক্ষণ করে রাখতে হবে। জেনে রাখুন অ্যালোভেরা সংরক্ষণের তিনটি চমৎকার উপায়। যার ফলে একবারে কিনেই দীর্ঘদিন পর্যন্ত ব্যবহার করতে পারবেন অ্যালোভেরা।
ভিটামিন-ই অয়েলের সঙ্গে সংরক্ষণ
মুখ ও শরীরে ত্বক এবং চুলের পরিচর্যার জন্য যদি অ্যালোভেরা সংরক্ষণ করতে চান তবে এটা সবচেয়ে ভালো উপায়। অ্যালভেরার পাতা থেকে চামচের সাহায্যে জেল আলাদা করে এতে ভিটামিন-ই অয়েল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিতে হবে। এতে অ্যালোভেরা জেলের উপকারিতা বৃদ্ধি পাওয়ার সঙ্গে এর মেয়াদও দীর্ঘস্থায়ী হবে। ব্লেন্ড করা এই অ্যালো জেল মুখবন্ধ কাঁচের জারে সংরক্ষণ করে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিতে হবে।
মধুর সঙ্গে সংরক্ষণ
পাতা থেকে যতখানি জেল তোলা হয়, সবটুকু কখনোই ব্যবহার করা হয় না। বাড়তি অ্যালো জেল মধুর সঙ্গে সংরক্ষণ করুন। এতে দীর্ঘদিন পর্যন্ত ভালো থাকবে অ্যালোভেরা জেল। সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো, মধুর সঙ্গে অ্যালোভেরা জেল সংরক্ষণের ফলে এই অ্যালো জেল চুল-ত্বকে ব্যবহারের পাশাপাশি শরবত হিসেবেও পান করা যাবে।
ভিটামিন-সি’র সঙ্গে সংরক্ষণ
রেফ্রিজারেটরে সাধারণ অ্যালোভেরার জেল রাখা হলে বড়জোর এক সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকবে। কীভাবে এই জেলের মেয়াদ এক মাস পর্যন্ত উত্তীর্ণ করতে পারবেন? অ্যালোভেরার জেলের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে রেফ্রিজারেটরে রেখে দিন। এতে করে খুব সহজেই এক মাস পর্যন্ত অ্যালো জেল ভালো থাকবে।