আবাস হোক আনন্দময়!
দিনের বেশিরভাগ সময় যেখানে কাটাতে হচ্ছে, সেটা অবশ্যই নিজের বাড়ি ও ঘর।
মজার বিষয় হলো, মানসিক প্রশান্তি ও স্বস্তি অনেকটাই নির্ভর করে এই অন্দরঘরের সাজসজ্জা ও গোছগাছের উপর। চাকরি, পড়ালেখা, সাংসারিক কাজ নিয়ে যতই ব্যস্ত থাকা হোক না কেন, প্রত্যেকের উচিৎ নিজের ঘরকে সঠিকভাবে সাজিয়ে রাখা।
মুড ভালো কিংবা খারাপের উপরে ঘরের আসবাবের সাজসজ্জা, রঙের ব্যবহার প্রভাব ফেলে দেয়। যে কারণে নিজের আবাস হওয়া প্রয়োজন অনুপ্রেরণাদায়ক ও ইতিবাচক। যা একইসাথে মনকে প্রফুল্ল ও আনন্দিত রাখবে।
ঘরে থাকুক উজ্জ্বল রঙ
বাসার রঙ সাধারণত সাদা, ঘেয়া কিংবা সবুজাভ হয়ে থাকে। ধরাবাঁধা এই রঙগুলো থেকে বেরিয়ে ঘরের জন্য পছন্দ করুন উজ্জ্বল রঙ। লাল, কমলা, লেমন, গোলাপি, সি-গ্রিন রঙগুলো ঘরের আবহ বদলে দেবে। চাইলে একটা ঘরে দুই-তিন রঙের শেড ব্যবহার করে রঙের ভিন্নতাও আনা যেতে পারে।
অফিস থেকে বাসায় ফিরে উজ্জ্বল রঙের পরিবেশ মনের ক্লান্তিভাবকে দূর করতে ও মনকে চাঙ্গা করতে সাহায্য করে।
ছোটখাট কিছু পরিবর্তন
ঘরে আসবাবপত্রের একঘেয়েমি লে-আউটে বিরক্তিবোধ কাজ করলে, ছোটখাটো কিছু পরিবর্তন নিয়ে আসা যায় অল্প সময়ের মাঝে, স্বল্প পরিশ্রমে। এমন কিছু পরিবর্তন হলো-
১. পর্দার রঙ বদলে ফেলা।
২. টেবিলের হাবিজাবি জিনিস সরিয়ে আকর্ষণীয় শো-পিস রাখা।
৩. ঘরের ছোটখাটো আসবাবপত্র রিঅ্যারেঞ্জ করা।
৪. বাসার শিশুদের হাতে আঁকা ছবি বাঁধিয়ে দেয়ালে ঝুলানো।
৫. রঙিন ওয়ালপেপার দেওয়ালে টাঙানো।
ঘরে প্রয়োজন আলোর আনাগোনা
ঘর যদি অন্ধকারাচ্ছন্ন হয় তবে সেই ঘর ও ঘরে বসবাসরত মানুষদের ওপর বিষাদের ছায়া পড়ে যায়। যে কারণে ঘরের পর্দা সবসময় হালকা কাপড়ের হতে হবে এবং সকালের দিকে পর্দা খুলে রাখতে হবে। প্রাকৃতিক আলো-বাতাস যত বেশি ঘরে প্রবেশ করবে, ঘরে চনমনে ভাব বজায় থাকবে। যদি বাসা ভেতরের দিকে হয় এবং বাইরের আলো ঘরে খুব একটা প্রবেশ না করে, তবে ঘর আলোকিত রাখার জন্য ল্যাম্প ও লাইট জ্বালিয়ে রাখতে হবে।
অপ্রয়োজনীয় জিনিস সরিয়ে ফেলা
খেয়াল করলে দেখা যাবে ঘরের আনাচে-কানাচে অপ্রয়োজনীয় বহু জিনিস পড়ে থাকে। যা ঘরের সৌন্দর্য নষ্ট করার পাশপাশি ঘরে জবড়জং ভাব তৈরি করে। তাই প্রতি মাসে অন্তত একবার ঘর পরিষ্কার করার পরিকল্পনা করতে হবে। এই পরিষ্কারের মাধ্যমে ঘরের ময়লা নয়, অকেজো ও অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রও ফেলে দিতে হবে। এতে করে দেখা যাবে, ঘরে ময়লা কম হচ্ছে ও ঘর অনেক ফাঁকা দেখাচ্ছে।
সবুজের ছোঁয়া
ঘরে প্রানবন্ত ও চনমনে ভাব আনতে গাছের কোন বিকল্প নেই। বিভিন্ন ধরণের হোম প্ল্যান্ট ঘরের চেহারা একেবারেই পালটে দেয়। বসার ঘরের সেন্ট্রাল টেবিল, ডায়নিং টেবিলের মাঝখানে, সোফাসেটের পাশে, বেডসাইড টেবিলে এবং বারান্দা জুড়ে সবুজের আনাগোনা ফ্রেশ অক্সিজেনের নিশ্চয়তার পাশপাশি মনকেও ভালো রাখবে নিশ্চিত।