বয়স বাড়লেও সুস্থ থাকবেন মাছ খেলে!
শারীরিক সুস্থতার জন্য প্রয়োজন সঠিক খাদ্যাভাস ও নিয়ম মেনে চলা।
সঠিক খাদ্যাভাস মানে অবশ্যই স্বাস্থ্যকর খাবারকে স্বাগত জানানো ও অস্বাস্থ্যকর ক্ষতিকর খাবারকে বিদায়।
স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভাসের চর্চা ধরে রাখার জন্য প্রাকৃতিক ফল ও সবজী তো বটেই, তার পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণে মাছও খেতে হবে। কারণ মাছে থাকা বিশেষ কিছু ফ্যাট ও ওমেগা-৩ পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাটি অ্যাসিড বয়স্ক মানুষদের সুস্থ রাখতে ও রোগের হাত থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে।
মাছ, বাদাম, সবুজ শাক ও বিভিন্ন ধরণের সবজীতে এই ওমেগা-৩ পাওয়া গেলেও সামুদ্রিক মাছে পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি। একটি গবেষণার মূল গবেষক ও টাফটস ফ্রেডম্যান স্কুল অফ নিউট্রিশন সাইন্স এন্ড পলিসির পোস্টডক্টরাল ফেলো হেইডি লাই জানান, ওমেগা-৩ এর সর্বাধিক শক্তিশালি প্রভাব পাওয়া যায় সামুদ্রিক মাছে।
মূলত গবেষণা করা হয়েছে, মাছ খাওয়ার সঙ্গে সুস্থভাবে বয়স বাড়ার সম্পর্ক নিয়ে, দীর্ঘদিন বেঁচে থাকার বিষয়ে নয়। অর্থাৎ একজন মানুষের পুরো আয়ু জুড়ে, তিনি কতটা সুস্থভাবে ও বড় ধরণের কোন রোগের কবল থেকে দূরে থাকবেন- সেটাই নির্ভর করে মাছ খাওয়ার অভ্যাসের ওপর। এমনটাই জানান গবেষক হেইডি।
প্রায় ২৬০০ জন মানুষের উপর ২৫ বছর ধরে পরীক্ষামূলক গবেষণা কাজ চালানো হয়। গবেষণায় অংশগ্রহণকারীদের গড় বয়স ছিল ৭৪ বছর। এতোজন অংশগ্রহণকারীদের মাঝে মাত্র ১১ শতাংশের বয়স বৃদ্ধি পেয়েছে শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে। নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষার মাধ্যমে দেখা গেছে তাদের শরীরে ওমেগা-৩ রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে। অন্যদিকে যারা ঘনঘন অসুস্থ হয়েছেন, তাদের শরীরে ১৮ শতাংশ কম ওমেগা-৩ পাওয়া গেছে।
আগেই বলা হয়েছে, অন্যান্য প্রাকৃতিক খাবার থেকে ওমেগা-৩ পাওয়া গেলেও সামুদ্রিক মাছ থেকে পাওয়া ওমেগা-৩ সবচেয়ে উপকারী। কারণ প্রতিটি খাবারের পুষ্টিগুণ শরীর ভিন্নভাবে শোষিত হয়। এছাড়া গবেষকেরা তাদের পরীক্ষালব্ধ ফলাফল থেকে আরো দেখেছেন, সামুদ্রিক মাছ থেকে প্রাপ্ত ওমেগা-৩ হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ভালো রাখতে দারুণ কার্যকর।
সমুদ্রিক মাছ যদি সবসময় খাওয়া সম্ভব নাও হয়, চেষ্টা করতে হবে বিভিন্ন ধরণের তৈলাক্ত মাছ খাওয়ার। সপ্তাহে অন্তত ৩ বার মাছ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে, সুস্থ থাকা যাবে নিশ্চিন্তে।