ক্ষুধাভাব কমাবে এই প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদানগুলো

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কাঁচামরিচ। ছবি: তামিম

কাঁচামরিচ। ছবি: তামিম

ওজন কমাতে চাইলে সবচেয়ে বড় প্রতিবন্ধকতা হিসেবে দেখা দেয় ক্ষুধাভাব।

কিছুক্ষণ পরপর ক্ষুধাভাব তৈরি হবার ফলে নানান রকম খাবার খাওয়া হয়। ফলে ওজনকে নিয়ন্ত্রণের কাঁটায় আটকে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য হয়ে যায়। অনেকেই ভাবেন, হতচ্ছাড়া এই ক্ষুধাভাবকে যদি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত, তবে ওজনকেও কমিয়ে ফেলা যেত সহজেই।

এমন বেশ কিছু খাবার আছে, যা মুখের রুচি ও ক্ষুধাভাবকে বৃদ্ধি করে। ঠিক একইভাবে এমন কিছু খাবার আছে, যা ক্ষুধাভাবকে দমিয়ে রাখতে সাহায্য করে। চমৎকার সেই খাবারগুলোর নাম জেনে নিন।

বিজ্ঞাপন

কাঁচামরিচ

বেশিরভাগ কাঁচামরিচ ও এই গোত্রীয় খাবারে ক্ষুধাভাব দমিয়ে রাখার জন্য প্রাকৃতিক উপাদান পাওয়া যায়। কাঁচামরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন (Capsaicin) ক্ষুধাভাবকে কমিয়ে ফেলে। এছাড়া এই উপাদান শরীররে মেটাবলিজমের মাত্রা বৃদ্ধি করে। ফলে বেশি ক্যালোরি বার্ণ হয়। যা ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

তোকমা

তোমকা হলো আঁশে ভরপুর একটি খাবার। যে কারণে তোকমা খাওয়ার ফলে পেট দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ভরা থাকে ও ক্ষুদাভাব কম দেখা দেয়। দইয়ের সঙ্গে কিংবা তোকমার শরবত তৈরি করে প্রতিদিন সকালে তোকমা খেলে ক্ষুধাভাব কম দেখা দিবে।

বিজ্ঞাপন

আপেল

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/27/1540618708756.jpg

প্রতিদিন একটা করে আপেল খেলে শুধু ডাক্তারের কাছ থেকেই নয়, বাড়তি ওজনের কাছ থেকেও দূরে থাকা সম্ভব হবে। কারণ আপেল একটি চমৎকার প্রাকৃতিক খাদ্য উপাদান, যা ক্ষুধাভাবকে দমিয়ে রাখে। এতে থাকা পেকটিন, দ্রবণীয় আঁশ ও পানি পেট ভরাভাব তৈরি করে।

গ্রিন টি

উপকারী এই পানীয়ের নানান ধরণের উপকারিতার মাঝে ক্ষুধাভাবকে কমিয়ে রাখার উপকারিতা অন্যতম একটি। গ্রিন টি দুইটি গুরুত্বপূর্ণ হরমোনে নরাপিনাফ্রিন (Norepinephrine) ও ডোপামিনের উপর প্রভাব ফেলে। এই দুইটি হরমোন ক্ষুধাভাব দমাতে সাহায্য করে।

অ্যাপল সাইডার ভিনেগার

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Oct/27/1540618755988.jpeg

ক্ষুধাভাব কমাতে অ্যাপল সাইডারের ব্যবহার নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তবে একটি গবেষণা সুপারিশ করে, এসিভির বাজে গন্ধ ও স্বাদ ক্ষুধাভাবকে কমাতে ও দমিয়ে রাখতে সাহায্য করে।

পানি পান

প্রতিবার খাবার খাওয়ার পূর্বে এক-দুই গ্লাস পরিমাণ পানি পান ক্ষুধাভাব অনেকটাই কমিয়ে ফেলে এবং পেট ভরা ভাব তৈরি করে। ফলে খাবার পরিমাণে চাইতে কম খাওয়া হয়। চাইলে এই পানির সঙ্গে সাইট্রাস কোন ফলের রস ও শশা যোগ করা যাবে।