নতুন বছর আসুক সঞ্চয়ের প্রতিজ্ঞায়

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

ঠিক দুই দিন পরেই চলে আসবে নতুন একটি বছর।

নতুন বছরের শুরুতে থাকে নতুন লক্ষ্য, নতুন রেজ্যুলিউশন। নতুনভাবে নিজেকে সাজানোর পরিকল্পুনা। যার বেশিরভাগ কাগজে-কলমেই থেকে যায়। বাস্তবায়িত হওয়ার সুযোগ পায় না।

এলোমেলো রেজ্যুলিউশনের পরিবর্তে সবচেয়ে প্রয়োজনীয় রেজ্যুলিউশন নির্ধারন করা উচিৎ সবার আগে। আগত নতুন বছরে খরচের মাত্রা কমিয়ে সঞ্চয়ের মাত্রা বৃদ্ধি করার লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে সবার আগে।

বিজ্ঞাপন

অপ্রয়োজনীয় মাসিক সাবস্ক্রিপশন বাদ দিন

অনলাইনে তো বটেই অফলাইনেও অপ্রয়োজনীয় বেশ কিছু জিনিসের জন্য মাসিক সাবস্ক্রিপশন করে রাখা হয়। হয়তো প্রতি মাসে ম্যাগাজিন পড়াই হয় না ভালোমতো। অথচ মান্থলি সাবস্ক্রিপশনের জন্য প্রতি মাসেই খরচ গুণতে হচ্ছে। এমন বাড়তি খরচ ছেঁটে ফেলুন একেবারেই।

ডিক্লাটার করুন আলমারি

শুধু আলমারি নয়, প্রয়োজনে সম্পূর্ণ ঘরে চিরুনি অভিযান চালিয়ে বাড়তি জিনিস ডিক্লাটার করে ফেলুন। পুরনো জিনিস বেচাকেনার সাইট তো বটেই, ফেসবুকেও পুরনো জিনিস বেচাকেনার গ্রুপ রয়েছে। জমে থাকা জামা, ব্যাগ, গহনা, বই আসবাব ও অন্যান্য জিনিস সহজেই বিক্রি করে দেওয়া যাবে। জিনিস বিক্রির টাকা দিয়ে নতুন ও প্রয়োজনীয় জিনিস কিনে নেওয়া যাবে। ফলে বাড়তি খরচের মুখোমুখি হতে হবে না একেবারেই।

বিজ্ঞাপন

সুপার শপ এড়িয়ে চলুন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/29/1546079674781.jpeg

আশেপাশের কয়েকটি পরিচিত কাঁচাবাজার ঘুরলে খুব সহজেই ফ্রেশ সবজি ও ফল পাওয়া সম্ভব। তাও আবার তুলনামূলক বেশ কম দামেই। কারণ খোলা বাজারে দরদাম করার সুযোগ থাকে। অন্যদিকে সুপার শপের ফিক্সড প্রাইসের সঙ্গে ভ্যাটের টাকাও গুণতে হয়। হাতে কিছুটা সময় বেশি নিয়ে কাঁচাবাজার ও মুদি দোকান ঘুরে কেনাকাটা করা হবে সবচেয়ে বুদ্ধিমানের মতো কাজ।

সঞ্চয়ের বিষয়টি চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিন

নানান খাতে খরচ করার ফলে সঞ্চয়ের বিষয়টি বেশ কষ্টকর হয়ে যায়। তাই প্রতি মাসে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা সঞ্চয়ের একটি লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারন করে নিজের জন্যই চ্যালেঞ্জ ঠিক করুন। ভাংতি যত টাকাই বাঁচবে, সেখান থেকে একটা বড় অংশ সঞ্চয় করতে পারলে বছর শেষে বেশ ভালো পরিমাণ টাকা জমে যাবে।

ঘরে তৈরি খাবারের প্রতি গুরুত্ব দিন

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2018/Dec/29/1546079870118.jpeg

রেস্টুরেন্টের খাবার মুখরোচক হলেও সেগুলো যে একবারেই স্বাস্থ্যসম্মত নয় সেটা বলাই বাহুল্য। উপরন্তু সেই সকল খাবারের জন্য গুণতে হয় মোটা অংকের টাকা। রেস্টুরেন্টে যে সকল খাবার পাওয়া যায় সেগুলো কিন্তু খুব সহজে ঘরেই তৈরি করে নেওয়া যায় বেশ কম খরচেই। ঘরে তৈরি খাবার একদিন দিয়ে যেমন স্বাস্থ্যসম্মত হয়, তেমনিভাবে খরচও হয় অল্প। তাই রেস্টুরেন্টে বা বাইরের খাবার খাওয়ার সংখ্যাটি কমিয়ে ঘরে নিজ হাতে তৈরি খাবার খাওয়ার প্রতি মনযোগী হতে হবে।

বাদ দিতে হবে উইন্ডো শপিং

অনলাইন ও অফলাইনে উইন্ডো শপিং করে প্রচুর টাকা খরচ হয়ে যায়। অকারণে কেনা এই সকল জিনিস বেশিরভাগ সময় অপ্রয়োজনীয় হয়ে থাকে। সাধারণত মন খারাপ থাকলে, বিরক্তিবোধ কাজ করলে মানুষ উইন্ডো শপিং এর প্রতি ঝুঁকে থাকে। তাই যখনই মন খারাপভাব দেখা দিবে নিজেকে অন্য কাজে ব্যস্ত রাখতে হবে।

আরো পড়ুন: ১২ কারণে গড়ে তুলুন বই পড়ার অভ্যাস

আরো পড়ুন: এখনই নজর দিন নিজের অর্থনৈতিক অবস্থায়