আয়ুর্বেদে কমবে র্যাশের সমস্যা
হুট করেই ত্বকের উপরিভাগে দৃশ্যমান লালচে ভাব দেখা দেয়।
শুধু লালচে ভাবই নয়, সঙ্গে ফুসকুড়ি, চুলকানি ও জ্বলুনির সমস্যাটিও থাকে। ত্বকের এই ধরণের সমস্যাকে র্যাশ বলা হয়। মূলত অ্যালার্জিজনিত কারণেই র্যাশের সমস্যাটি দেখা দেয়। এছাড়া চিকেনপক্স কিংবা অন্যান্য চর্মরোগের কারণেও র্যাশের সমস্যাটি দেখা দিতে পারে।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই প্রচুর পরিমাণ পানি পান ও ঠাণ্ডা স্থানে অবস্থান করলে র্যাশের প্রাদুর্ভাব কমে যায়। তবে অ্যালার্জি ও র্যাশের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা দারুণ উপকারিতা বহন করে। বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক উপাদান ত্বকের যত্নের জন্য উপকারিতা বহনের পাশাপাশি ত্বকের সমস্যাকেও প্রশমিত করে।
তবে প্রথমেই জেনে রাখা প্রয়োজন কী কী কারণে ত্বকে র্যাশের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে থাকে।
১. ত্বক অ্যালার্জি তৈরিকারী কোন উপাদানের সংস্পর্শে আসলে র্যাশের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতে শুরু করে। এমন উপাদানগুলো হলো- রাবার, কেমিক্যাল, বিভিন্ন ধরণের ধাতু, পোষা প্রাণী প্রভৃতি।
বিজ্ঞাপন২. মৌমাছি কিংবা অন্যান্য পোকার কামড়ের ফলে ত্বকে র্যাশ দেখা দেয়।
৩. অতিরিক্ত গরম আবহাওয়ার দরুণ ত্বকের বিভিন্ন স্থানে র্যাশের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়ে থাকে।
৪. অ্যালার্জির উপদ্রব তৈরিকারী খাদ্য উপাদান যেমন- গরুর মাংস, হাঁসের মাংস, চিংড়িমাছ, বেগুন, ডিম প্রভৃতি খাওয়ার ফলে ত্বকে র্যাশ তৈরি হয়।
উপরোক্ত যেকোন একটি কারণে অথবা সম্পূর্ণ ভিন্ন কারণে ত্বকে র্যাশের প্রাদুর্ভাব দেখা দিতেই পারে। সেক্ষেত্রে প্রাকৃতিক উপাদানের ব্যবহার তথা আয়ুর্বেদিক চিকিৎসা হবে সবচেয়ে উপকারী উপায়।
পোস্তদানা ও লেবুর ব্যবহার
পোস্তদানা বাটার সঙ্গে পরিমাণমতো লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি আক্রান্ত স্থানে ম্যাসাজ করে পনের মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। এরপর কুসুম গরম পানিতে ধুয়ে নিতে হবে।
তুলসি পাতা, রসুন ও অলিভ অয়েলের ব্যবহার
১৫-২০টি তুলসি পাতা বেটে এতে আধা কোয়া রসুন ও এক চা চামচ অলিভ দিয়ে পুনরায় বেটে নিতে হবে। তৈরিকৃত পেস্টটি র্যাশযুক্ত ত্বকের উপর প্রলেপের মতো মাখিয়ে ১০ মিনিটের মতো রেখে দিতে হবে। এরপর পরিষ্কার কাপড়ের সাহায্যে মুছে কুসুম গরম পানিতে ত্বক ধুয়ে নিতে হবে। র্যাশের সমস্যা বেশি হলে প্রতিদিন ব্যবহার করতে হবে। যেহেতু এতে রসুন ব্যবহার করা হয়েছে, এই পেস্টটি মুখের ত্বক ব্যবহার করা যাবে না।
ওটসের ব্যবহার
গোসলের পানিতে এক টেবিল চামচ ওটস দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করুন। ওটস পানিতে ভিজে গেলে সেই পানি দিয়ে গোসল সেরে ফেলুন। ওটস র্যাশের জ্বালাপোড়া কমায় অনেকখানি।
ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ব্যবহার
হুট করেই র্যাশের সমস্যা দেখা দিলে তাৎক্ষণিক উপশম পাওয়ার জন্য ঠাণ্ডা টি ব্যাগ ব্যাবহার করতে হবে। র্যাশযুক্ত স্থানের উপর টি ব্যাগ চেপে ধরার ফলে আরাম পাওয়া যাবে।
এসেনশিয়াল অয়েলের ব্যবহার
আমন্ড অয়েল, ক্যামোমিল অয়েল, ও টি ট্রি অয়েল র্যাশের সমস্যা কমাতে সবচেয়ে ভালো কাজ করে।
আরও পড়ুন: কীভাবে বুঝবেন অসুস্থতা আসন্ন?