শরীর থেকে দূর করুন অতিরিক্ত চিনি
আমাদের প্রতিদিন প্রায় সকল খাবারের মাঝেই চিনির উপস্থিতি থাকে।
কোমল পানীয়, বিস্কুট, মিষ্টান্ন, টফি-চকলেট থেকে শুরু করে জাংক ফুডেও থাকে চিনি। অথচ সুস্বাস্থ্যের জন্য চিনি গ্রহণ করা থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকা প্রয়োজন সকলের। ওবেসিটি, ডায়বেটিস, হৃদরোগ থেকে শুরু করে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও দেখা দিয়ে থাকে অতিরিক্ত চিনি গ্রহণের ফলে।
এখন হিসেব করে দেখুন ইতোমধ্যে জেনে ও না জেনে কতখানি চিনি গ্রহণ করা হয়েছে আপনার! সচেতনার জন্য এখন থেকেই চিনি গ্রহণ বাদ দেওয়ার পাশাপাশি শরীর থেকে অতিরিক্ত চিনির প্রভাব দূর করতেও মানতে হবে কিছু নিয়ম।
চিনি গ্রহণ বাদ দিতে হবে পুরোপুরি
জানেন কি, কোকেইনের মতোই চিনির উপরে তৈরি হতে পারে প্রবল আসক্তি। যে কারণে চিনি গ্রহণ সম্পূর্ণভাবে বাদ দেওয়ার জন্য নিজের মাঝে যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি রাখতে হবে। যেহেতু শরীর থেকে চিনির প্রভাবকে দূর করার প্রথম ধাপ, সেক্ষেত্রে প্রায়শই চিনি বা মিষ্টি খাবার খাওয়ার প্রতি প্রবল ইচ্ছা দেখা দিবে। এই সময়কালটি ১০ দিন পর্যন্ত স্থায়ী হবে। এরপর ধীরে ধীরে শরীর অভ্যস্ত হয়ে উঠবে।
প্রোটিন গ্রহণে মনযোগী হতে হবে
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় স্বাস্থ্যকর প্রোটিন ও ফ্যাট জাতীয় খাবার রাখতে হবে। এই ঘরানার খাবার পরিপাক হতে এবং শরীরে শোষিত হতে লম্বা সময় নেয়। যার ফলে দীর্ঘসময় পেট ভরা থাকে এবং শরীরে এনার্জি পাওয়া যায়। এছাড়া শরীরে ইন্স্যুলিনের মাত্রাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রেও এই ধরণের খাবার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
খেতে হবে সঠিক শর্করা
রিফাইন্ড শর্করা তথা সাদা চালের ভাত, সাদা আটা প্রভৃতি, আলু, পাউরুটি, পাস্তা ও বেকড খাবার থেকে যথাসম্ভব দূরে থাকতে হবে। কারণ এই সকল খাবার শরীরের জন্য ক্ষতিকর ও এই সকল খাবারেও চিনি থাকে। ন্যাচারাল কার্বোহাইড্রেট পাওয়ার জন্য খেতে হবে ব্রকলি, ফুলকপি, সবুজ শাক, বেগুন প্রভৃতি। এই সকল সবজি ডিটক্সিফাইং এর কাজ করে শরীরে।
আর্টিফিশিয়াল সুইটনার গ্রহণ করা যাবে না
চিনি যেহেতু গ্রহণ করা হচ্ছে না, চিনির বিকল্প হিসেবে আর্টিফিশিয়াল সুইটনার খাওয়া যেতেই পারে- এমনটা ভাববেন না একদম। এই সকল আর্টিফিশিয়াল সুইটনার শরীরের জন্য উপকারী নয়। উপরন্তু চিনি গ্রহণের ইচ্ছাকেও প্রশমিত হতে বাধা দান করে।
পান করতে হবে গ্রিন টি
অ্যান্টি-অক্সিডেন্টপূর্ণ গ্রিন টি শরীর থেকে চিনির প্রভাবকে সম্পূর্ণভাবে দূর করতে এবং ফ্রি-রেডিক্যাল মুক্ত করতে সাহায্য করে। গ্রিন টির সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে নিতে পারলে বেশি উপকারিতা পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুন: আগ্রহ নিয়ে শিশুও খাবে সবজি!
আরও পড়ুন: বিরত থাকুন চিনি গ্রহণ থেকে