কাঁদলে কমবে ওজন!

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

একবার ভাবুন তো কেমন হয়,

যদি খুব বড়সড় ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই ওজন কমিয়ে ফেলা যায়, তাও আবার কান্নাকাটি করেই। চলুন একটু বিস্তারিতভাবে জানানো যাক বিষয়টি।

শারীরিক ব্যথা, মানসিক চাপ, আনন্দিত হওয়া কিংবা মনঃকষ্টতে মানুষ কাঁদে। যা মানুষদের প্রাকৃতিক ও সহজাত একটি প্রতিক্রিয়া।

বিজ্ঞাপন

লস অ্যালটস এর অপ্টোমেট্রিক গ্রুপ এর চিকিৎসক ডাঃ অ্যারন নিউ ফেল্ড জানান, চোখের জল (Tears) প্রধানত তিন প্রকারের হয়ে থাকে- বাসাল (Basal), রিফ্লেক্স (Reflex) ও ফিজিক্যাল টিয়ারস।

বাসাল টিয়ারস হলো একেবারেই প্রাথমিক তথা ‘বেসিক ফাংশন টিয়ারস’, যা আমাদের চোখকে আর্দ্রতাপূর্ণ রাখতে কাজ করে। রিফ্লাক্স টিয়ারস হলো ‘ইরিটেশন টিয়ারস’। অর্থাৎ বাইরের আবহাওয়া, ধুলাবালি, ধোঁয়া বা অন্যান্য কোন কারণে চোখে পানি আসলে সেটা হবে রিফ্লাক্স টিয়ারস। সর্বশেষ ধরণ হলো ফিজিক্যাল টিয়ারস, যা মানুষের আবেগ-অনুভূতির সাথে সম্পর্কিত।

বিজ্ঞাপন

এদিকে সাম্প্রতিক গবেষণা জানাচ্ছে, রিফ্লাক্স টিয়ারসের ফলে ওজন কমে। কারণ এর সাথে হরমোন কর্টিসলের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। রসায়নবীদ উইলিয়াম ফ্রে পরীক্ষা থেকে পেয়েছেন, স্ট্রেস সম্পর্কিত কান্নার সাথে শরীর থেকে অনেক ধরনের টক্সিক পদার্থ বের হয়ে যায়।

যা থেকে বলা যায়, আমাদের শরীর খুব বেশি ফ্যাট সংরক্ষণ করতে পারবে না, যদি কান্নার মাধ্যমে স্ট্রেস হরমোন নিঃসৃত হয়।

এখানে বলে রাখা ভালো, শুধুমাত্র বিশুদ্ধ আবেগের ফলে যে কান্নাকাটি করা হয়, তাতেই ওজন কমার সম্ভবনা থাকে।

বিজ্ঞানীরা পরামর্শ দেন, সকাল ৭টা থেকে রাত ১০টার মধ্যে কাঁদলে ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সেটা সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে।

আরও পড়ুন: পোষা প্রাণির সঙ্গে কথা বলা হয়?

আরও পড়ুন: টাকা নয়, সুখী হতে প্রয়োজন শরীরচর্চা!