স্বাস্থ্য উপকারিতায় তুলনাহীন তুলসি



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
তুলসি পাতা, ছবি: সংগৃহীত

তুলসি পাতা, ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তুলসি মোটেও মিষ্টি ধরনের কোন উদ্ভিদ নয়, যা খাদ্যে স্বাদ বৃদ্ধির জন্য ব্যবহার করা হয়।

এই সবুজ উদ্ভিদ ওসিমিয়াম টেনুইফ্লরাম (Ocimum tenuiflorum) বা তুলসি নামে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে বেশ পরিচিত। চোখের রোগ থেকে শুরু করে দাদ সারাতেও এটি ঔষধী উদ্ভিদ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

তুলসির পাতা থেকে বীজ, সবকিছুই শরীর-মন সুস্থ রাখতে বলবর্ধক হিসেবে কাজ করে থাকে। তুলসির বিভিন্ন অংশ যেসব চিকিৎসার জন্য ব্যবহার হয়ে থাকে-

১. ব্রঙ্কাইটিস: তুলসির পরিষ্কার ফুল এর জন্য ব্যবহার করা হয়।

২. ম্যালেরিয়া: পাতা ও বীজ কালো গোলমরিচের সাথে ব্যবহার করা হয়।

৩. ডায়রিয়া, মাথা ঘুরানো ও বমিভাব: সম্পূর্ণ উদ্ভিদটিকে ব্যবহার করা হয় এ সমস্যার ক্ষেত্রে।

৪. চর্বি: এ ধরণের সমস্যার জন্য সম্পূর্ণ উদ্ভিদ দিয়ে ট্যাবলেট এবং মলম তৈরি করে ব্যবহার করা হয়।

৫. আলসার ও চক্ষু রোগ: এই উদ্ভিদটির অ্যালকোহল নির্যাস ব্যবহার করা হয়।

৬. পোকাকামড়: পাতা থেকে তেল সংগৃহীত করে ব্যবহার করা হয়।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/27/1561633922923.jpg

বহু গবেষণায় মানুষের চিকিৎসার জন্য তুলসির ব্যবহার গবেষকরা সমর্থন করে থাকেন। পুষ্টির মান সহ এতে রয়েছে উচ্চমাত্রা সম্পন্ন: ভিটামিন এ ও সি, ক্যালসিয়াম, জিংক, ক্লোরোফিল।

তবে তুলসি পাতা প্রাকৃতিক ঔষধ হিসেবে গ্রহণ করলেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে করা উচিৎ। এছাড়াও চিকিৎসকের অনুমোদনে কোনো ঔষধ সেবনরত অবস্থায় এটি সেবন বা ব্যবহার না করাই উত্তম।

তুলসি পাতার নানাবিধ শারীরিক উপকারিতার মাঝে প্রধান কয়েকটি উপকারিতা এখানে তুলে ধরা হলো।

কমায় মানসিক চাপ ও অশান্তি

আয়ুর্বেদ জার্নাল এবং ইন্টিগ্রেটেড মেডিসিন এর তথ্যানুযায়ী, ডায়াজেপাম এবং অ্যান্টি-ডিপ্রেসেন্ট ড্রাগস এর তুলনায় বেসিল এর মধ্যে অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট এবং বিরোধী-উদ্বেগ বৈশিষ্ট্য বেশি রয়েছে। এক গবেষণায় তুলসি পাতা পরীক্ষা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত ৫০০ মিলিগ্রামের মতো তুলসি গ্রহণ করেন তাদের মাঝে উদ্বেগ, মানসিক চাপ ও বিষণ্ণতা তুলনামূলক কম থাকে।   

আয়ুর্বেদিক অনুশীলনকারীরা পরামর্শ দিয়ে থাকেন, তুলসি পাতা দিয়ে চা পান করতে, এটি ক্যাফেইনমুক্ত এবং প্রতিদিন পান করা যাবে। এছাড়া এই চা পানের মাধ্যমে যোগব্যায়াম সমপরিমাণ মানসিক প্রশান্তি পাওয়া যাবে।

শরীরকে প্রাণবন্ত ও উৎফুল্ল করে

তুলসি পাতায় থাকা পর্যাপ্ত পরিমাণ অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট শরীরকে ডিটক্স করতে সহায়তা করে। স্টাডিজ ট্রাস্টেড জানাচ্ছে, তুলসি শরীরকে বিষাক্ত রাসায়নিক উপাদান থেকে রক্ষা করে এবং ক্যান্সার কোষ ধ্বংস করে সুস্থ রাখে। এতে করে শরীর প্রাণবন্ত ও উৎফুল্ল থাকে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/27/1561634091694.jpg

ইনফেকশন ও ক্ষত প্রতিরোধ করে

সার্জারি হওয়ার পরে ক্ষতস্থান দ্রুত ভালো হওয়ার জন্য তুলসি পাতা ব্যবহার করেন অনেকেই। তুলসি ক্ষতস্থানের শক্তি পুনঃরুদ্ধার করে, ক্ষত সারানোর সময় কমিয়ে আনে এবং দ্রুত কাজ করতে সাহায্য করে।

বিজ্ঞানীরা জানান, তুলসি পাতা যেমন- মুখের আলসার, ব্রন, পুরনো দাগের মতো ইনফেকশন ও ক্ষত থেকে রক্ষা করে।    

রক্তে চিনির মাত্রা কমায়

যদি আপনার প্রিডায়বেটিস বা টাইপ-২ ডায়বেটিস থাকে, তবে তুলসি পাতা তা কমাতে সাহায্য করবে। মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর উপর পরীক্ষা চালিয়ে দেখা গেছে- ওজন বেড়ে যাওয়া, রক্তে অধিক ইনসুলিন, উচ্চমাত্রার কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো ডায়বেটিসের লক্ষণসমূহ কমাতে তুলসি কাজ করে। বিজ্ঞানীরা পরীক্ষা করে দেখেছেন, তুলসি ৩০ দিনে ২৪ শতাংশ ব্লাড-সুগার কমাতে পারে। তবে, খাদ্যাভ্যাসে এটি যুক্ত করার পূর্বে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Jun/27/1561634107036.jpg

কমায় কোলেস্টেরলের মাত্রা

যেহেতু তুলসি পাতার কাজই হচ্ছে বিপাকীয় চাপ কমানো, তাই এটি ওজন ও কোলেস্টেরল কমাতেও কাজ করে। এটি ক্ষতিকর কোলেস্টেরল হ্রাস করে, ভালো কোলেস্টেরল বৃদ্ধি করে। তুলসি পাতা, তেল, তুলসি গুঁড়ার কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

সুস্থ রাখে পাকস্থলী

তুলসি প্রাকৃতিকভাবে পেটের সমস্যা আলসার থেকে প্রতিহত করে এবং প্রতিরক্ষা করে। উপকারী এই পাতা পেটের অ্যাসিড হ্রাস করে, মিউকাস নিঃসরণের মাত্রা বাড়ায়, মিউকাস কোষের আয়ু বৃদ্ধি করে। পেপটিক আলসার হলে বাজারের ওষুধ গ্রহণে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে তুলসি -পাতা গ্রহণে উপকার দেখা দেবে।

আরও পড়ুন: ত্বকের সুস্থতা তুলসি পাতায়

আরও পড়ুন: র‍্যাশের সমস্যা কমাতে পাঁচ উপাদান

   

জেনে নিন ওটস খাওয়ার অপকারিতা



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শুভ সূচনায় সুন্দর দিন। সকাল সক্রিয়তার সাথে শুরু করতে পারলে পুরোদিন অনেক ভালো কাটে।  তাই সকালের খাবার হতে হয় পুষ্টিসম্পন্ন। ব্রেকফাস্টে উন্নত পুষ্টির খাবার খেলে পুরোদিন শরীরে তা সরবরাহ হয়।  সকালে অনেকেই ভারী খাবার খেতে পারেন না। তাই হালকা কিন্তু পুষ্টি সম্পন্ন খাবার খেতে পছন্দ করেন, যা পেটও ভরাবে। 

সকালের নাস্তায় অনেকে ওটস খেতে পছন্দ করেন। ওটস একটি পুষ্টিকর খাবার, উচ্চ ফাইবার এবং প্রোটিন, এবং অনেক স্বাস্থ্য সুবিধা প্রদান করে, যেমন কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানো এবং হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতি। বিশ্বাস করা হয়, ওটস খুবই পুষ্টিকর একটি খাবার। তবে এইটা কতটা সত্য, তা নিয়ে এখন সন্দীহান বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন চিকিৎসক স্টিভেন গুন্ড্রি ওটস বা ওট থেকে বানানো খাবার খাওয়ার বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন।  

তিনি জানান, আমেরিকায় যেসব ওটস জাতীয় খাবারে গ্লাইফোসেটের উপস্থিতি রয়েছে,এই ব্যাপারটি তিনি বেশ জোর দিয়ে বলেন। তিনি উল্লেখ করেন গ্লাইফোসেট একটি ভেষজনাশক। স্টিফেন তার বর্ণনায় একে ‘সবচেয়ে  বিষাক্ত’ বলে অভিহীত করেন।

ওটস, ওটস দুধ এবং এই জাতীয় পণ্য প্রচুর পরিমাণে অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমকে মেরে ফেলে। এছাড়া কিছু কোম্পানির ওটসে এক প্রকার  নিষিদ্ধ হার্বিসাইড সনাক্ত করা হয়েছে। এই হারবিসাইড ক্যান্সার সহ স্বাস্থ্য সমস্যা তৈরি করে।

প্রতিদিন ওটস খাওয়ার ফলে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা ও ব্যথা হয়। ওটস খাওয়ার কারণে পেটে গ্যাস জমিতে থাকে। যাদের বেশি পরিমাণে ফাইবার জাতীয় খাবার খাওয়ার অভ্যাস নেই তারা হঠাৎ ওটস খাওয়া শুরু করলে সমস্যা দেখা যায়। তাদের পেট ফোলা ও ফাঁপা ছাড়াও অস্বস্তির সমস্যা দেখা যায়।

ওটস খাওয়া অন্ত্রের সমস্যা বাড়িয়ে তুলতে পারে। এন্টারোকোলাইটিস, ক্রোনস ডিজিজ, ডাইভারটিকুলাইটিস ধরনের রোগে আক্রান্ত রোগীদের সংবেদনশীল খাবার খেতে হয়।  তাই এই ধরনের রোগীদের ওটস এড়াতে হবে।   

এছাড়া ওটসে বেশি পরিমাণে শ্বেতসার থাকে। তাই ডায়বেটিসের রোগীদের ওটস খাওয়ার ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে।  কারণ তাদের নিয়ন্ত্রিত কার্বোহাইড্রেট খাওয়া নিশ্চিত করতে হয়।

পাশাপাশি যারা রক্তশূণ্যতায় ভুগছেন তাদেরও ওটস এড়িয়ে চলা উচিত। অন্ত্রের ট্র্যাক্ট থেকে রক্ত প্রবাহিত হওয়ার সময় আয়রন সম্পূর্ণভাবে শোষিত হতে পারে না ওটসের কারণে। 

তথ্যসূত্রঃ দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস+এইচএসএন স্টোর

;

গরমে যেসব খাবার না খাওয়াই ভালো



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। গরমে অতিষ্ঠি হচ্ছে জনজবীন। এই গরম থেকে স্বস্তি পেতে অনেকেই নানা রকম ঠান্ডা পানীয় ও ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার খাচ্ছেন। সাময়িকভাবে এই ঠান্ডা পানীয় ও খাবার খেয়ে শান্তি পাওয়া গেলেও ঠান্ডা এই খাবারগুলি শরীরকে আরও গরম করে দেয়। এই তালিকায় কী কী রয়েছে? চলুন জেনে নেওয়া যাক-

 

টক দই

টক দই শরীরের জন্য উপকারী হলেও গরমের সময় না খাওয়াই ভালো। তা ছাড়া গরম বলে নয়, সারা বছরই অনেকে টক দই খেতে পছন্দ করেন। তবে আয়ুর্বেদ শাস্ত্র কিন্তু অন্য কথা বলছে। অত্যধিক টক দই শরীরের ভেতর থেকে গরম করে তোলে। এতে গ্যাস ও অম্বলের সমস্যা সৃষ্টি করে। 


ফ্রিজের ঠান্ডা পানি

অনেকেই বাইরে থেকে ফিরেই ঢকঢক করে কিছুটা ঠান্ডা পানি পান করছেন। যা মোটেও শরীরের জন্য ভালো নয়। পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন, ফ্রিজের ঠান্ডা পানি শরীরের জন্য একেবারেই উপকারী নয়। শরীর ঠান্ডা হচ্ছে মনে হলেও আদতে তা হয় না। বরং শরীরের উত্তাপ বৃদ্ধি পায়। সেই সঙ্গে হজমের গোলমালও শুরু হয়।

পাতিলেবু

গরমে পাতিলেবুর শরবতের জনপ্রিয়তা কম নয়। রাস্তাঘাটে তো বটেই, এমনকি বাইরে থেকে ঘেমে ফিরে অনেকেই লেবুর শরবতে চুমুক দিতে ভালবাসেন। লেবুতে ভিটামিন সি ভরপুর পরিমাণে রয়েছে। তবে ঘন ঘন লেবুর শরবত খাওয়া কিন্তু একেবারেই ঠিক নয়। লেবুতে থাকা অ্যাসিড উপাদান শরীরের উত্তাপ বাড়িয়ে দেয়। সেই সঙ্গে বদহজম, গ্যাস-অম্বলের সমস্যা তো রয়েছেই।

;

প্রচণ্ড রোদে চোখের যত্নে করণীয়



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপদাহে নাজেহাল অবস্থা শহরবাসীর। ঘড়ির কাঁটায় সকাল ৮টা বাজতে না বাজতেই চড়া রোদে চোখ ঝলসে যাওয়ার অবস্থা। এই গরমে শরীরের পাশাপাশি যত্ন নিতে হবে চোখেরও। চক্ষু বিশেষজ্ঞদের মতে, অতিরিক্ত তাপ চোখের মারাত্মক ক্ষতি করে। দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদ থাকলে চোখের ছানি হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, এমনকি রেটিনার ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

অনেক সময় ধরে রোদে থাকার পর অনেকের চোখ জ্বালাপোড়া করে, চোখ লাল হয়ে যায়, চোখের পাতা ফুলে যায়। কড়া রোদের কারণে অনেকেই ভাইরাল ও ব্যাক্টেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসেও আক্রান্ত হন। এই সমস্যা ছাড়াও চোখের পাতার মূলে কিছু তৈল গ্রন্থি থাকে। এই গ্রন্থিতে সংক্রমণের ফলে আঞ্জনি সংক্রান্ত সমস্যাও দেখা যায়। গরমের দিনে চোখের যত্ন না নিলে অন্ধত্ব এবং ক্যানসারের ঝুঁকিও থাকে।

চলুন জেনে নেই গরমে চোখ ভাল রাখতে গেলে কোন নিয়মগুলো মেনে চলতে হবে-

১) কনট্যাক্ট লেন্স পরার সময়ে বিশেষ সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অবশ্যই হাত পরিষ্কার করে ধুয়ে তবেই লেন্স পরবেন। লেন্স পরিষ্কার না থাকলে সূর্যের তাপে এবং দূষণের জেরে চোখে সংক্রমণের আরও বেড়ে যায়।

রোদে সানগ্লাস ব্যবহার করুন। 

২) সানগ্লাস দিয়ে চোখ ঢাকা শুধু ফ্যাশন নয়, এই গরমে তা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় বটে। তবে যে কোনও সানগ্লাস ব্যবহার করলেই চলবে না। ইউভিএ এবং ইউভিবি দুই ধরনের রশ্মির হাত থেকেই চোখকে সুরক্ষিত রাখবে এমন সানগ্লাস ব্যবহার করাই শ্রেয়।

৩) আপনার কনট্যাক্ট লেন্সটি যদি ইউভি রশ্মির হাত থেকে সুরক্ষা প্রদান করে সে ক্ষেত্রেও আপনাকে সানগ্লাস পরতে হবে। সানগ্লাস ব্যবহার করলে তবেই পুরো চোখটি কড়া রোদের হাত থেকে সুরক্ষা পাবে।

৪) গরমে শরীরে পানির ঘাটতি হয়, এতে শরীর যেমন অসুস্থ হয়ে পরতে পারে, তেমনই চোখের স্বাস্থ্যেরও ক্ষতি হয়। চোখ অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে গেলে চোখে খচখচ করা, চোখ লাল হয়ে যাওয়া ইত্যাদি সমস্যা দেখা য়ায়। তাই গরমে কোনও ভাবেই শরীরে অয়ানির ঘাটতি হতে দেওয়া যাবে না।

তথ্যসূত্র- আনন্দবাজার পত্রিকা

;

প্রচণ্ড উত্তাপে পুড়ছে দেশ, জেনে নিন হিট স্ট্রোকের উপসর্গ



লাইফস্টাইল ডেস্ক, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রচণ্ড গরমের কারণে স্কুল-কলেজ সব বন্ধ। গতবছরের শেষভাগেই বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছিল এল নিনোর কারণে চলতি বছর তাপমাত্রার রেকর্ড ছাড়াবে। ইতিমধ্যে গরমে অস্থির সকলে। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে সামনে গরম আরও বাড়বে। মে মাসে ৪৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস অবধি তাপমাত্রা ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে।

এই গরমে দেশের বিভিন্ন স্থানে নানান মানুষ হিট স্ট্রোকের শিকার হচ্ছেন। অনেকে অতিরিক্ত গরমে মারাও যাচ্ছেন। এত গরম কোনভাবেই অবহেলা করা উচিত নয়। তাই বাইরে গেলে নিজেকে গরম থেকে রক্ষা করা উচিত। তবে যাদের হিট স্ট্রোক হচ্ছে তারা হয়তো বুঝতেও পারছেন না। হিট স্ট্রোক থেকে নিজেকে রক্ষা করতে অবশ্যই হিট স্ট্রোকের উপসর্গগুলো লক্ষ্য করতে হবে। জেনে নেই হিট স্ট্রোকের উপসর্গ-  

১। দেহতাপ

দেহের স্বাভাবিক তাপমাত্রার থেকে তাপমাত্রা অনেক বেশি বেড়ে গেলে হিট স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সাধারণত দেহতাপ ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস (১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট) বা এরচেয়ে বেশি তাপমাত্রাই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। 

২। ব্যবহার

হিট স্ট্রোকের আক্রমণের আগে মানুষের আচরণে কিছুটা পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। যেমন- এলোমেলো আচরণ, শরীরে অস্বস্তি, চোখে ঝাপ্সা দেখা, বিরক্তবোধ করা, খিচুনি হওয়া এমনকি কোমায় চলে যাওয়ার মতো অনুভূতি।  

৩। ঘাম

গরম আবহাওয়ার কারণে ত্বক গরম এবং শুষ্ক হয়ে যায়। সেই কারণে প্রচণ্ড ঘাম হতে থাকে।

৪। বমি

হিট স্ট্রোকের একটি উপসর্গ হিসেবে পেটের অস্বস্তিকেও চিহ্নিত করা হয়। অনেকে গরমে অসুস্থ বোধ করে বমি করেন। বা বমি না হলেও অনেক সময় শুধু বমি বমি ভাব হয়।

৫। ত্বক

তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বক লালচে হয়ে যেতে পারে।

৬। শ্বাস

তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলে শ্বাস গ্রহণ এবং ত্যাগ করা অস্বাভাবিক হয়ে যায়। সাধারণত শ্বাস দ্রুত এবং অগভীর হতে দেখা যায়।

৭। হৃদক্রিয়া

শরীরের তাপমাত্রা বাড়ার সাথেই পালস উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেতে থাকে। কারণ তাপের কারণে যখন শরীরে অস্বাভাবিকতা শুরু হয় তখন শরীর ঠান্ডা করার জন্য হৃদয়ের উপর চাপ বাড়ে।

৮। মাথা ধরা

হিট স্ট্রোক হওয়ার সময় মাথা ঝিমঝিম করা সাধারণ একটি উপসর্গ।

তথ্যসূত্রঃ মায়ো ক্লিনিক

;