বর্ষায় ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দূর হবে কীভাবে?

  • ফাওজিয়া ফারহাত অনীকা, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, লাইফস্টাইল
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

কয়েকটি নিয়মেই দূর হবে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব, ছবি: সংগৃহীত

কয়েকটি নিয়মেই দূর হবে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব, ছবি: সংগৃহীত

গ্রীষ্মের অস্বস্তি ও তাপদাহের পর প্রশান্তি নিয়ে আসে বর্ষাকাল।

শান্তির বৃষ্টিতে শুধু মানবজীবনে নয়, প্রকৃতিতেও নেমে আসে শীতলতার পরশ। কিন্তু কয়েকদিন যেতে বিরক্তিকর হয়ে ওঠে একঘেয়ে বৃষ্টি। বর্ষাকালে প্রবল বৃষ্টি শুধু বাইরে নয়, ঘরের ভেতরেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। স্বাভাবিক সময়ের চাইতে এই সময়ে আবহাওয়াতে ও বাতাসে আর্দ্রতা বেড়ে যাওয়ার দরুন ঘরে দেখা দেয় স্যাঁতস্যাঁতে ভাব। যা ভীষণ বিরক্তিকর। বিরক্তিকর ভাব সবচেয়ে বেশি দেখা দেয় যখন ঘরের ভেতর চাপা গন্ধভাব তৈরি হয় ও ঘরের আবহাওয়া জুড়ে গুমোটভাব বিরাজ করে।

নিজের ঘরের ভেতরকে ফ্রেশ, সুগন্ধযুক্ত রাখতে এবং স্যাঁতস্যাঁতে ভাবকে দূর করতে কিছু সাধারণ নিয়ম মেনে চললেই ঝামেলা মিটে যাবে অনেকখানি।

বিজ্ঞাপন

ঘরে বাতাস চলাচল উপযোগী করতে হবে

অনেকেই ঘরদোর এমনভাবে বদ্ধ করে রাখেন যে খুব সহজেই ঘরের ভেতর গুমোটভাব তৈরি হয় এবং ঘরে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে ঘরে যেন সহজেই বাতাস চলাচল করতে পারে এমন ব্যবস্থা করতে হবে। বাতাসের সাথে বাইরের আলো ঘরে প্রবেশ করলে ঘরের স্যাঁতস্যাঁতে ভাব অনেকটাই কমে যাবে।

এক্ষেত্রে একটি বিষয়ের উপরে নজর দিতে হবে খুব বেশি। এ সময়ে ডেঙ্গু মশার প্রকোপ দেখা দিচ্ছে খুব বেশি সেক্ষেত্রে সন্ধ্যা হওয়ার আগেই জানালা ও বারান্দায় নেট টেনে দিতে হবে। এতে করে বাতাস চলাচল করতে পারলেও মশা ঘরে প্রবেশ করতে পারবে না। পাশাপাশি খেয়াল রাখতে হবে, বৃষ্টি দেখা দেওয়ার সাথে সাথেই ঘরের জানালাগুলো বন্ধ করে দিতে হবে। এতে করে ঘরের ভেতরে বৃষ্টির পানি প্রবেশ করতে পারবে না। 

বিজ্ঞাপন

ভারি পর্দা এড়িয়ে যাওয়া

মোটা ও ভারি ধরনের দরজা-জানালার পর্দা সম্পূর্ণ এড়িয়ে যেতে হবে। মোটা কাপড় বাতাস থেকে আর্দ্রতা বেশি শোষণ করে। এতে করে পুরো ঘরের আবহাওয়া জুড়ে স্যাঁতস্যাঁতে ভাব বিরাজ করে। এছাড়া হুটহাট বৃষ্টিতে পর্দা ভিজে গেলে শুকাতে দীর্ঘসময় প্রয়োজন হবে যদি ভারি কাপড়ের পর্দা হয়। তাই এই সময়ে হালকা কাপড়ের পর্দা নির্বাচন করতে হবে।

কাপড় ধুতে হবে সীমিত

বর্ষাকালে স্বাভাবিকভাবেই ভেজা কাপড় শুকাতে দীর্ঘসময় প্রয়োজন হয়। ফলে অনেকেই ভেজা কাপড়চোপড় ঘরে ফ্যানের নিচে এনে শুকাতে দেন। এতে করে ঘর আরও বেশি স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে ওঠে। তাই বর্ষাকালে যথাসম্ভব সীমিত কাপড় ধুতে হবে এবং ঘরের ভেতরে শুকাতে দেওয়ার ক্ষেত্রে ভেবেচিন্তে তবেই শুকাতে হবে।

মেঝে মুছতে ফিনাইল

ঘরের মেঝে অপরিষ্কার রাখলে পুরো বাড়িই অপরিষ্কার হয়ে যায়। তাই প্রতিদিন নিয়ম করে ঘরের মেঝে অবশ্যই মুছতে হবে। কিন্তু বর্ষাকালে এমনিতেই মেঝে স্যাঁতস্যাঁতে হয়ে আছে। মেঝেতে পা দিলে দেখা যায়  ভেজা ভেজাভাব রয়েছে। এর মাঝেও মেঝে পরিষ্কার করতে চাইলে পানির সাথে মিশিয়ে নিতে হবে ফিনাইল। এতে মেঝে দ্রুত শুকিয়ে যাবে।

কার্পেট গুটিয়ে নিতে হবে

সাধারণত ড্রইংরুমে কার্পেট বিছানো হয়। মোটা বুননের কার্পেট অনেকখানি আর্দ্রতা শোষণ করে ও ভেজা ভেজা হয়ে থাকে। যা থেকেও ঘরে স্যাঁতস্যাঁতেভাব তৈরি হয়। সেক্ষেত্রে শুধুমাত্র বর্ষাকালের জন্য কার্পেট গুটিয়ে তুলে রাখতে হবে।

দারুচিনির সুঘ্রাণ

বর্ষায় ঘরের স্যাঁতস্যাঁতেভাবে থেকে গন্ধের উৎপত্তি হয়। বিশেষত যাদের বাড়িটি বহুকাল আগের ও পুরনো ধাঁচের কিংবা বেশখানিকটা ভেতরের দিকে, তাদের বাসাবাড়িতে এই সমস্যাটি বেশি দেখা দেয়। এমন সমস্যার ক্ষেত্রে দুই কাপ পানিতে মাঝারি আকৃতির একটি দারুচিনি ফুটিয়ে নিতে হবে। এতে করে পুরো ঘর জুড়েই দারুচিনির সুঘ্রাণ ছড়িয়ে পড়বে।

আরও পড়ুন: বর্ষাকালে কাপড় শুকানো নিয়ে ঝামেলা?

আরও পড়ুন: বায়ু পরিশোধক গাছে দূষণমুক্ত ঘরোয়া পরিবেশ