চিংড়ি মাছে লাল শাক ভাজি
হাবিজাবি নানাবিধ মুখরোচক খাবারের মাঝে হুট করেই একদিন ইচ্ছা হয়, গরম ভাতের সাথে ফ্রেশ লাল শাক ভাজি খাওয়ার।
সাথে শাক ভাজিতে যদি চিংড়ি মাছের মিশ্রণ থাকে, তাহলে শুধু শাক ভাজি দিয়েই ভরপেট ভাত খাওয়া হয়ে যায়।
খুব সহজ ও পরিচিত রেসিপিগুলোও হুটহাট প্রয়োজন হয়। এছাড়া যারা নতুন রান্না শেখা শুরু করছেন, অতি পরিচিত রেসিপিগুলোও তাদের জন্য কঠিন হয়ে ওঠে। সহজে পরিচিত ও সাদামাটা খাবার তৈরি করে নিতে যেন ঝামেলা পোহাতে না হয়, তাই দেখে রাখুন চিংড়ি মাছে লাল শাক ভাজি তৈরির রেসিপিটি।
চিংড়ি মাছে লাল শাক ভাজি তৈরিতে যা লাগবে
১. চার কাপ লাল শাক কুঁচি।
বিজ্ঞাপন২. ১০-১২টি মাঝারি আকৃতির খোসাবিহীন চিংড়িমাছ।
৩. এক কাপ পরিমাণ পেঁয়াজ কুঁচি।
৪. দেড় টেবিল চামচ রসুন কুঁচি।
৫. আধা চা চামচ আদা কুঁচি।
৬. একটি তেজপাতা।
৭. এক চা চামচ হলুদ গুঁড়া।
৮. ৪-৫ টি কাঁচামরিচ ফালি।
৯. দুইটি শুকনা মরিচ।
১০. দুই টেবিল চামচ তেল।
১১. স্বাদমতো লবণ।
চিংড়ি মাছে লাল শাক ভাজি যেভাবে তৈরি করতে হবে
১. শাক ধুয়ে কুঁচি করে কেটে নিতে হবে। একইসাথে চিংড়িমাছগুলো ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. কড়াইতে তেল গরম করে পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি, আদা কুঁচি দিয়ে নাড়তে হবে। পেঁয়াজ নরম হয়ে আসলে হলুদ গুঁড়া, লবণ, শুকনা মরিচ ও তেজপাতা নিয়ে আবারো নাড়তে হবে।
৩. এতে আধা কাপ পানি দিয়ে জোরে জ্বাল দিয়ে পানি শুকিয়ে মসলা কষিয়ে নিতে হবে। মসলায় চিংড়ি মাছগুলো দিয়ে আবারো এক কাপ পানি দিয়ে কষাতে হবে। পানি টেনে আসলে ও চিংড়ি মাছের সাথে মসলা মাখামাখা হয়ে আসলে শাকপাতা ও কাঁচামরিচ ফালি দিয়ে দিতে হবে।
৪. মাঝারি আঁচে শাক নেড়ে মসলার সাথে মাখিয়ে নাড়াচাড়া করতে হবে। এর মধ্যে শাক থেকে পানি ছেড়ে সেই পানিতে শাক সিদ্ধ হয়ে আসবে। প্রয়োজন হলে আধা কাপ পানি দিতে হবে। তবে একবারে বেশি পানি দেওয়া যাবে না। এতে শাকের স্বাদ নষ্ট হয়ে যাবে।
শাক সিদ্ধ হয়ে আসলে ঝাল ও লবণ দেখে নামিয়ে নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ছোলা-চিংড়ির ঝাল ঝোল
আরও পড়ুন: গরম ভাতে কাটা মসলার মাংসের ঝোল