পাস-ফেলের ওপর কারও হাত থাকে না: শিক্ষামন্ত্রী
পরীক্ষায় পাস বা ফেলের ওপর কারও হাত থাকে না উল্লেখ করে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেছেন, ‘শিক্ষার্থীরা যাতে আরও ভালো প্রস্তুতি নেন এবং শিক্ষকেরা যাতে আরও মনোযোগী হন, সেই সঙ্গে বাবা-মা যেন তাদের সন্তানদের স্বাস্থ্যের দিকে আরও নজর দেন, সে বিষয়ে আমি দৃষ্টি আকর্ষণ করব।’
বুধবার (১৮ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে এইচএসসি ও সমমানের ফল প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
বোর্ড ভিত্তিক পাসের হারের তারতম্যের কারণ জানতে চাইলে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশা হচ্ছে, যত শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে, তারা সবাই পাস করুক। আমাদের প্রত্যাশা, বাচ্চারা শতকরা ১০০ ভাগ পাস করুক। পাশের তারতম্য হয় নানা কারণে। কারও প্রস্তুতিতে সমস্যা থাকে, আবার কারও পড়াশুনায় পলিসিগত সমস্যা থাকে। অবশ্য শিক্ষার্থী ভেদে মেধারও তো কিছুটা তারতম্য থাকে। এভাবে নানা কারণে পরীক্ষায় অকৃতকার্য হয়। পাসের হারেও এর প্রভাব পড়ে।’
তিনি বলেন, ‘বাবা-মাকে আমি বলব, সন্তানদের মন যেন ডাইভারটেড হয়ে না যায়, সে জন্য চেষ্টা করতে হবে। সমাজে নানা রকমের ডিসট্রাকশন আছে, ডিজিটাল ডিভাইজ থেকে শুরু করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম পর্যন্ত অনেক ডিসট্রাকশন। বাবা-মায়েরা আরেকটু মনোযোগী হলে আমার মনে হয়, পাসের হার আরও বাড়বে।’
‘বিভিন্ন বোর্ডে পাসের যে তারতম্য সেটা শিক্ষার্থীদের পাসের তারতম্যের কারণেই হয়। প্রশ্নপত্র প্রস্তুতের কোনো প্রভাব পড়ার বিষয় নয়। প্রশ্নপত্র করার একটা ভারসাম্য তো করার চেষ্টা করা হয়। প্রশ্নপত্রে কিছু প্রশ্ন থাকে সহজ এবং কিছু থাকে কঠিন। সব ধরনের শিক্ষার্থী যাতে প্রশ্নের উত্তর দিতে পারেন, সে রকম একটি ব্যবস্থা এখানে রাখা হয়,’ যোগ করেন দীপু মনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘যে যে বোর্ডে বেশি পাস করেছে, সেখানে সহজ প্রশ্ন ছিল, আর যেখানে পাশের হার কম, সেখানে কঠিন প্রশ্ন করা হয়েছিল, আমি তা মনে করি না। এটা নির্ধারণ করা হয় লটারির মাধ্যমে।’
এ সময় মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন ও সব বোর্ডের চেয়ারম্যানরা উপস্থিত ছিলেন।