ভর্তিযুদ্ধ

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি বিজ্ঞপ্তি



ভর্তিযুদ্ধ ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক কোর্সে ভর্তির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে।

ভর্তি আবেদনের যােগ্যতা 

২০১৯ সালে এইচএসসি বা সমমান এবং ২০১৬ বা ২০১৭ সালের এসএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ অথবা ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরের পরে ‘A’ লেভেল সার্টিফিকেটপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এসএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় কমপক্ষে জিপিএ ৪.০০ বা সমতুল্য গ্রেড পেয়ে উত্তীর্ণ হতে হবে।

এইচএসসি বা সমমানের পরীক্ষায় শিক্ষার্থীকে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন বিষয়ের প্রত্যেকটিতে আলাদাভাবে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৪.০০ ও ইংরেজি বিষয়ে কমপক্ষে গ্রেড পয়েন্ট ৩.৫০ পেয়ে পাশ করতে হবে এবং গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজীতে মােট গ্রেড পয়েন্ট কমপক্ষে ১৭.৫০ পেতে হবে।

ইংরেজী মাধ্যম/ বিদেশী শিক্ষা বাের্ড থেকে সমমানের পরীক্ষায় উক্ত বিষয়সমূহে কমপক্ষে সমতুল্য গ্রেড পেয়ে পাশ হতে হবে। প্রার্থী GCE 'O' লেভেল এবং ‘A’ লেভেল পাশ করে থাকলে তার ক্ষেত্রে ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের জন্য GCE 'O' লেভেল পরীক্ষায় গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও ইংরেজীসহ কমপক্ষে পাঁচটি বিষয়ে কমপক্ষে B গ্রেড থাকতে হবে। GCE “A' লেভেল পরীক্ষায় পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন ও গণিতে পৃথক পৃথকভাবে কমপক্ষে B গ্রেড থাকতে হবে।

বিষয় ও আসনসংখ্যা

চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (চুয়েট) ১২টি বিষয়ে মােট ৮৯০টি আসন এবং রাখাইন সম্প্রদায়ের জন্য ১টি, পার্বত্য চট্টগ্রাম ও অন্যান্য জেলার নৃ-গােষ্ঠীর (উপজাতি) জন্য ১০টি সহ অতিরিক্ত ১১টি আসনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হয়। বিষয়ভিত্তিক আসনসংখ্যা:

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565937216886.png

আবেদনের নিয়ম

ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য অনলাইনে www.cuet.ac.bd/admission ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন ফরম পূরণ করতে হবে। এবং আবেদন ফি রকেট এর মাধ্যমে জমা দিতে হবে। ‘ক’ বিভাগের আবেদন ফি ১০০০ টাকা এবং ‘খ’ বিভাগের আবেদন ফি ১১০০ টাকা।

তবে বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে পাশ করা এবং GCE ‘0/A' লেভেল পাশ করা ছাত্র-ছাত্রীরা অনলাইন এর মাধ্যমে আবেদন করতে পারবে না। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট student.cuet.ac.bd/admission2019 অথবা www.cuet.ac.bd/admission থেকে আবেদন ফরম ডাউনলােড করে নির্ধারিত ফি’সহ আবেদনপত্রের সাথে সংযুক্ত করে রেজিস্ট্রার, চুয়েট, চট্টগ্রাম-৪৩৪৯ ঠিকানায় জমা দিতে হবে।

আবেদনকারীর মধ্য থেকে এইচএসসিতে গণিত, পদার্থ বিজ্ঞান, রসায়ন এবং ইংরেজীতে প্রাপ্ত মােট গ্রেড পয়েন্টের ভিত্তিতে প্রথম ১০ হাজার জনকে ভর্তি পরীক্ষার জন্য নির্বাচিত করা হবে।

একনজরে ভর্তি সংশ্লিষ্ট তারিখ ও সময়সূচী

  • অনলাইনে ভর্তি আবেদন গ্রহণ শুরু : ২৫ আগস্ট ২০১৯।
  • অনলাইনে আবেদনের শেষ সময় : ১৫ সেপ্টেম্বর বিকাল ৪:৩০টা পর্যন্ত।
  • ‘A’ লেভেল ও বিদেশী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রার্থীদের আবেদনের সময় : ২৫ আগস্ট হতে ১৫ সেপ্টেম্বর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৪:৩০টা পর্যন্ত।
  • ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের যােগ্য প্রার্থীদের তালিকা প্রকাশ : ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯
  • ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময় : ১২ অক্টোবর (শনিবার)
    • লিখিত পরীক্ষা : সকাল ১০টা থেকে বেলা ১টা পর্যন্ত।
    • মুক্তহস্ত অংকন : বিকাল ২:৩০টা থেকে ৪:৩০টা পর্যন্ত।
  • ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০১৯।

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565937559535.jpg

https://img.imageboss.me/width/700/quality:100/https://img.barta24.com/uploads/news/2019/Aug/16/1565937573340.jpg

   

৪৬তম বিসিএসের প্রিলি আজ, মানতে হবে যত নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

সাংবিধানিক এই সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইলফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইলফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধসামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইলফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার, শনিবারও চলবে ক্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণি কক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

 

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের বিষয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস করা যাবে। কিন্তু অনেক স্কুলের সেই সুযোগ নেই। ফলে সবকিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এর আগে ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ ফের বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

;

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। এ শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেই কারণে এসএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় এসএসসিতে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা রাখাসহ পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তুত করেছে সেই কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ বা গড় ভারিত্ব ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখা। আর পরীক্ষা হবে মোট পাঁচ ঘণ্টার।

এসএসসির লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখা যেতে পারে। এছাড়া, আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্কুল ভিত্তিক ষাণ্মাসিক (ছয় মাস) ও বার্ষিক মূল্যায়ন এবং পাবলিক মূল্যায়ন একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপস হালনাগাদ করা, চূড়ান্ত মূল্যায়নে সনদ/ট্রান্সক্রিপ্টের সাত পর্যায়ের স্কেলে যোগ্যতা এবং পারদর্শিতার সূচক অভিভাবক ও অংশজনদের অবহিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এ বিষয়ে কমিটি প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বেশি কিছু সুপারিশ রয়েছে। এগুলো এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে শিগগিরই প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হবে। সুপারিশে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখার বিষয়টি রয়েছে। অবশ্য কত নম্বরের পরীক্ষা হবে তা বলতে রাজি হননি তিনি।

নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।

গত ৫ মার্চ গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;