ভর্তিযুদ্ধ

কুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা ১৮ অক্টোবর



ভর্তিযুদ্ধ ডেস্ক, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট)

  • Font increase
  • Font Decrease

খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষা আগামী ১৮ অক্টোবর অনুষ্ঠিত হবে। সকাল সাড়ে ৯টা থেকে দুপুর ১২ টা পর্যন্ত বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং, বিইউআরপি ও বিআর্ক কোর্সে ভর্তি পরীক্ষা নেয়া হবে।

এর আগে ২৫ অক্টোবর ভর্তি পরীক্ষার সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারিত থাকলেও ভর্তি কমিটির সভায় তারিখ পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

জানা গেছে, ২৪ অক্টোবর রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, ২৬ অক্টোবর শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালসের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কাছাকাছি সময়ে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা থাকায় শিক্ষার্থীদের সুবিধার কথা চিন্তা করে নতুন তারিখ নির্ধারণ করেছে ভর্তি কমিটি। তবে ১৮ ও ১৯ অক্টোবর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরো পড়ুন : তারিখ অনুযায়ী দেখে নিন কবে কোথায় ভর্তি পরীক্ষা

   

প্রাকৃতিক বিরূপতায় শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখা জরুরি



কনক জ্যোতি, কন্ট্রিবিউটিং করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
প্রাকৃতিক বিরূপতায় শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখা জরুরি

প্রাকৃতিক বিরূপতায় শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখা জরুরি

  • Font increase
  • Font Decrease

 

শিক্ষা কার্যক্রম একটি সার্বক্ষণিক বিষয়। মাইনাস ডিগ্রির শীতের মেরুদেশে কিংবা উষ্ণতম মরুদেশেও সর্বক্ষণ শিক্ষা কার্যক্রম চলমান। বাংলাদেশে বিরূপ প্রকৃতি দেখা দিলেই থমকে দাঁড়ায় শিক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ। বন্ধ করে দেওয়া হয় স্কুল, কলেজ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ও। কিন্তু প্রাকৃতিক বিরূপতার মধ্যেও শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীলভাবে পরিচালনা করা অতীব জরুরি। আর এজন্য দরকার সঠিক পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী যথাযথ পূর্বপ্রস্তুতি।

বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আদৌ কোনো পূর্বপ্রস্তুতি না থাকায় চলতি গরমের পরিস্থিতিতে সৃষ্টি হয়েছিল নানা দোলাচল এবং এক পর্যায়ে সব ধরনের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জরুরি নোটিশে কিছুদিনের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। তীব্র শৈত্যপ্রবাহের সময়েও শিক্ষা কার্যক্রম বেশ কিছুদিন বন্ধ ছিল। প্রচণ্ড বর্ষাতেও ব্যাহত হয় প্রাতিষ্ঠানিক পড়াশোনা। বৈশ্বিক পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে আবহাওয়া বৈরী হয়ে ভীষণ গরম ও তীব্র শীত কিংবা অতি বা অনাবৃষ্টির মতো পরিস্থিতি তৈরি হচ্ছে বাংলাদেশসহ নানা দেশে। বিরূপ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়াই একমাত্র সমাধান নয়। বরং শিক্ষাক্ষেত্রকে বৈরী প্রকৃতিতে কার্যকর থাকার প্রস্তুতি নেওয়া ও সক্ষমতা অর্জন করাই জরুরি।

বাংলাদেশের শিক্ষা ব্যবস্থাকে প্রাকৃতিক বিরূপ পরিস্থিতি মোকাবেলায় জন্য প্রয়োজনীয় পরিকাঠামো নির্মাণ ও দক্ষতা অর্জন করার প্রয়োজনীয়তা সাম্প্রতিক বাস্তবতার পটভূমিতে অস্বীকার করা যায় না। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও স্থানীয় পর্যায়ে প্রাণ, প্রকৃত ও পরিবেশ বিরোধী কার্যকলাপের দরুণ বাংলাদেশের আবহাওয়া যেভাবে ক্রমেই চরম ভাবাপন্ন হচ্ছে, তাতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবকদের করণীয় নির্ধারণ করা এবং সে অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করাও জরুরি। যার ভিত্তিতে বিরূপ পরিস্থিতিতেও শিক্ষা কাযর্ক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে। পরিস্থিতি খারাপ হলেই বন্ধ ঘোষণার পথে না গিয়ে টেকসই হওয়ার দিকেই সংশ্লিষ্টদের মনোযোগী হওয়া অত্যাবশ্যক।

সর্বাগ্রে এ কথা মনে রাখতে হবে যে, আমরা যদি রাষ্ট্রীয়, সামাজিক ও ব্যক্তিগত পর্যায়ে সতর্ক ও উদ্দ্যোগী না হই, তাহলে বিশ্ব উষ্ণায়নের যুগে গরম ও শীত দিনে দিনে তীব্র থেকে তীব্রতর এবং দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হবেই। প্রকৃতি ও পরিবেশের ক্ষতি করলে কঠিন ফল ভোগ করতে হবে, এটাই স্বাভাবিক। এরই মাঝে নানা রকমের বিপদ এসে হাজিরও হয়েছে এবং ভবিষ্যতের দিনগুলোতে আরো বিপদ আসার আশঙ্কাও রয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে, বায়ুমানের অবনতি, পরিবেশ বিপর্যয়, জলস্তর হ্রাস, মরু প্রবণতা, জমির উর্বরা শক্তিহানি, প্রাণ ও উদ্ভিদ বৈচিত্র্যের অবলুপ্তি ইত্যাদি। যে কারণে, অতিরিক্ত গরম বা অতিরিক্ত ঠাণ্ডার মতো চরমভাবাপন্ন পরিস্থিতিও একদার নাতিশীতোষ্ণ বাংলাদেশে দেখা যাচ্ছে।

ফলে প্রচণ্ড শীত বা বাড়তি গরম হলেই ছুটি দেওয়া একমাত্র সমাধান হতে পারে না। বাস্তব সমাধানের কথা ভাবাই বরং অতি জরুরি। এজন্য কিছু পরিবর্তন, অদল-বদল বা সংস্কার দরকার। যেমন:

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রচলিত পরিকাঠামোর উন্নয়ন দরকার সবচেয়ে আগে। যে সব স্কুলের ক্লাসরুমে টিনের ছাউনি আছে, সে সব স্কুলে স্থায়ী ছাদের ব্যবস্থা করতে হবে। ভবন ও স্থাপনা নির্মাণ করতে হবে তাপ-সহনীয় মান বজায় রেখে। প্রতি ক্লাসরুমে ছাত্র অনুপাতে পর্যাপ্ত ফ্যান এবং প্রাকৃতিকভাবে হাওয়া-বাতাস চলাচলের ব্যবস্থাও রাখতে হবে। সম্ভব হলে, স্কুলকে ছায়াদায়ী বৃক্ষের আচ্ছাদনে এবং প্রচুর উদ্ভিদের আড়ালে সবুজ, সজিব ও শীতল রাখতে হবে। বৃক্ষ ও প্রকৃতি শুধু গ্রীষ্মের তীব্র গরমই নয়, শীতের ঠাণ্ডা হাওয়াও ঠেকাতে সাহায্য করবে।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গরমে পাখা এবং শীতে হিটারের ব্যবস্থার পাশাপাশি সার্বক্ষণিক পাওয়ার সাপোর্টের জন্য বা লো ভোল্টেজ আর লোডশেডিং-এর সমস্যা এড়াতে ব্যাটারি, সোলার প্যানেল বা জেনারেটরের ব্যবস্থা করে দেওয়াও দরকার।

ক্লাসরুমে ভেজা পর্দা, কুঁজো বা মাটির কলসির পানি ব্যবহার, স্যালাইন বা প্রাকৃতিকভাবে শীতল পানির জোগান প্রভৃতি ব্যবস্থা করা যায়। গরমজনিত অসুস্থতা রুখতে প্রশিক্ষণ ও প্রাথমিক কিছু ওষুধের জোগান দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে শরবত বা লেবুর পানি বহনের জন্য প্রণোদিত করতে হবে এবং সব ধরনের প্যাকেটজাত কোমল পাণীয় পান এবং জাঙ্ক ফুট গ্রহণ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত রাখতে হবে। শিক্ষার্থীদের গরম বা আবহাওয়াজনীত অসুখের কবল থেকে নিরাপদ রাখার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অভিভাবকদের একযোগে কাজ করতে হবে।

স্কুল টাইমিং-এর দিকেও মনোযোগী হওয়া বাঞ্ছণীয়। ‘মর্নিং স্কুল’ ভাল বিকল্প। বর্তমানে অনেক জায়গায় প্রাথমিকে অনেক সকালের দিকে স্কুল হয়। এতে তাপ ও ভিড় থেকে শিক্ষার্থীরা রেহাই পায়।

স্কুলে লম্বা গরমের বা অন্যান্য ছুটিতে অনলাইনে ক্লাস করার বিষয়টিও বিবেচনায় রাখা যায়। বাড়িতে পড়ানোর জন্য অনলাইনে নজরদারিও বৃদ্ধি করা যায়। শুধু স্কুলেই সব পড়তে হবে, এমন না করে শিক্ষার্থীদের বাড়িতেও স্কুল ও শিক্ষকদের অনলাইন মনিটরিং-এর আওতায় আনলে তাদের পাঠের গতি বৃদ্ধি পাবে এবং সিলেবাস শেষ না হওয়ার ঝুঁকি কমে যাবে। সরকারি ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের হাতে কেবলমাত্র ‘কাস্টমাইজ়ড ট্যাব বা মোবাইল’ (শুধুমাত্র পড়াশোনার কাজে ব্যবহারযোগ্য) দেওয়া যেতে পারে, যার সঙ্গে থাকবে সুলভ ডাটা প্যাক। এতে তীব্র গরমের বা অনসহনীয় শীতে ছুটি দেওয়ার মাত্রা কমবে এবং ছুটি হলেও শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা নির্বিঘ্নে চলতে পারবে।

প্রাকৃতিক বিরূপতায় বন্ধ দিয়ে বা স্থবির হয়ে নয়, কিছু কাঠামো ও নিয়ম-কানুন বদল করে শিক্ষা কার্যক্রম গতিশীল রাখাই জরুরি কর্তব্য।

;

প্রাথমিকে মঙ্গলবার থেকে স্বাভাবিক রুটিনে ক্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গত কয়েকদিন সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন সময়সূচিতে পাঠদান চলছিল। গরম কমে আবহাওয়া স্বাভাবিক হওয়ায় বিদ্যালয়ও ফিরছে স্বাভাবিক সময়সূচিতে। মঙ্গলবার (৭ মে) থেকে শিক্ষাপঞ্জি অনুযায়ী আগের সময়সূচিতে পুরোদমে চালু হচ্ছে ক্লাস।

সোমবার (৬ মে) বিকেলে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিনের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়েছে, মঙ্গলবার থেকে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিশু কল্যাণ ট্রাস্টের প্রাথমিক বিদ্যালয় ও উপানুষ্ঠানিক শিক্ষা ব্যুরোর লার্নিং সেন্টারে শ্রেণি কার্যক্রমসহ সব কার্যক্রম ২০২৪ শিক্ষাবর্ষের বর্ষপঞ্জি অনুযায়ী চলবে।

গত ২৭ এপ্রিল প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনায় বলা হয়েছিল, এক শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলো প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়গুলোতে প্রথম শিফট সকাল ৮টা থেকে সাড়ে ৯টা এবং দ্বিতীয় শিফট ৯টা ৪৫ মিনিট থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত চলবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে।

উপজেলা শিক্ষা অফিসার সংশ্লিষ্টদের নিয়ে শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে পাঠানো রুটিন বিবেচনায় নিয়ে উপজেলাভিত্তিক শ্রেণি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য সাপ্তাহিক রুটিন প্রণয়ন করবেন। প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির কার্যক্রম পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ থাকবে বলে নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়েছিল।

;

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ২৮৬০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি ২৮ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংসদ কাজে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।

রোববার (৫ মে) বিকেলে জাতীয় সংসদের অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে তিনি এ তথ্য জানান।

এর আগে ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী ক্যাডেট কলেজের টিউশন ফি বাড়ানোর নতুন প্রস্তাব যৌক্তিক পর্যায় নির্ধারণ করা হবে কিনা, তা জানতে চান।

আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, পিতা-মাতার আয়ের ওপর ভিত্তি করে ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি নির্ধারণ করা হয়। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি সর্বনিম্ন এক হাজার ৫০০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ২২ হাজার টাকা নির্ধারিত রয়েছে। সম্প্রতি নিম্ন ধাপের টিউশন ফি অপরিবর্তিত রেখে অন্যান্য ধাপগুলোর ফি বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ধাপের টিউশন ফি বাড়িয়ে ২৮ হাজার ৬০০ টাকা নির্ধারণের প্রস্তাব করা হয়েছে।

একই প্রশ্নের জবাবে আইনমন্ত্রী জানান, ক্যাডেট কলেজগুলোর টিউশন ফি ছাড়া অন্য কোনো নিজস্ব আয়ের উৎস না থাকায় ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, নিজস্ব আয় বাড়াতে প্রাথমিকভাবে টিউশন ফি বাড়ানোর প্রস্তাবনা থাকলেও সেটা করা হয়নি। পরে নিম্ন মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তানদের কথা বিবেচনা করে সপ্তম শ্রেণির নবাগত ক্যাডেটদের ফি ২০ ধাপে সর্বনিম্ন বর্তমানের এক হাজার ৫০০ টাকা বহাল রেখে সর্বোচ্চ ২৮ হাজার ৬০০ টাকা (বর্তমানে ২২ হাজার) নির্ধারণের প্রস্তাবনা সব ক্যাডেট কলেজগুলোতে মতামতের জন্য পাঠানো হয়েছে। এ বৃদ্ধির হার সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রবর্তিত টিউশন ফি’র তুলনায় ৩০ শতাংশের বেশি নয়।

একই বিষয়ে সরকার দলের সংসদ সদস্য সালাউদ্দিন মিয়াজীর সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, ক্যাডেট কলেজের পেনশন সংক্রান্ত বকেয়া অর্থ প্রধানমন্ত্রী অনুমোদন দিয়েছেন। তারা যেহেতু একটি সুখবর পেয়েছেন, এখন হয়তো টিউশন বাড়ানোর যৌক্তিক পর্যায়ে নির্ধারণে বিবেচনা করতে পারবে। আমি অভিভাবকদের বলবো, ক্যাডেট কলেজ পরিষদের কাছে এ বিষয়ে একটি আবেদন করতে।

;

নিম্ন মাধ্যমিক পর্যন্ত মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকার নিশ্চিত করা হবে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

মৌলিক ন্যূনতম শিক্ষা অধিকারের ধাপ প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক স্তরে উত্তরণের লক্ষ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় একযোগে কাজ করবে।

রোববার (৫ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় এই দুটি মন্ত্রণালয়ের যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় তাদের অবৈতনিক শিক্ষা তথা পাঠদান কার্যক্রম ৬ষ্ঠ, ৭ম ও ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত সম্প্রসারণ করবে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিম্ন মাধ্যমিক পর্যায়ে বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা ব্যয় কমিয়ে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়ার সুযোগ করে দিতে কাজ করবে।

প্রাথমিক থেকে নিম্ন মাধ্যমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা ব্যয় বৃদ্ধি ও নানান আর্থ-সামাজিক কারণ ও প্রক্রিয়াগত কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হার রোধ করতে নিম্ন মাধ্যমিক স্তর পর্যন্ত শিক্ষা অবৈতনিক বা নামমাত্র ব্যয়ে করার ব্যবস্থা করার বিষয়ে শিক্ষানীতি ২০১০ এ বর্ণিত অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।

শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুমানা আলী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবাল, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং (সিএসই) বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান ড. মোহাম্মদ কায়কোবাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট (আইইআর) এর পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. আবদুল হালিম, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খান, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমদ, প্রাথমকি ও গণশক্ষিা মন্ত্রণায়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ এবং প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালক শাহ রেজওয়ান হায়াতসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

;