স্কুল মিলের আওতায় আসছে প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থী



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
অনেক স্কুলেই শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে,  ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

অনেক স্কুলেই শিশু শিক্ষার্থীদের খাবার দেওয়া হচ্ছে, ছবি: বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

প্রাথমিক শিক্ষার হার বাড়াতে এবং ঝরে পড়া ঠেকাতে দেশের সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এরই মধ্যে ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি-২০১৯’ অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। সে অনুযায়ী প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার ক্যালরির ন্যূনতম ৩০ শতাংশ স্কুল মিল থেকে নিশ্চিত করা হবে।

জানা গেছে, বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে পরিচালিত মোট ১৭৫টি বিদ্যালয়ের ৩৩ হাজার ৯৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে পাইলট ভিত্তিতে রান্না করা খাবার (মিড ডে মিল) পরিবেশন করা হচ্ছে এবং ১০৪টি উপজেলায় বিস্কুট খাওয়ানো হচ্ছে। ১০৪টির মধ্যে ৯৩টি উপজেলায় সরকার ও ১১ উপজেলায় বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি অর্থায়ন করছে। রান্না করা খাবার দেওয়া এলাকায় ১৬ দশমিক ৭ শতাংশ এবং বিস্কুট দেওয়া এলাকায় রক্ত স্বল্পতা কমেছে ৪ দশমিক ৭ শতাংশ। এ বিবেচনায় জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচির আওতায় সব শিক্ষার্থীকে খাবার দেওয়া হবে। আর এটি বাস্তবায়নের জন্য স্কুল মিল উপদেষ্টা কমিটি গঠনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যেখানে সরকার মনোনীত উপযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে এ কমিটি কর্মপরিধি, কার্যকারিতা, অর্থায়ন ও মূল্যায়নে কাজ করবে। সরকার মনোনীত বিশিষ্ট ব্যক্তির সভাপতিত্বে এ কমিটির সদস্যদের নির্দিষ্ট মেয়াদে নিয়োগ দেবে প্রাথমিক শিক্ষা মন্ত্রণালয়। স্কুল মিল কর্মসূচির প্রধান নির্বাহী কমিটির সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।

এদিকে স্কুল ফিডিং প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিকভাবে ১৬টি উপজেলায় ২ হাজার ১৬৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্কুল মিল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে মন্ত্রণালয়ের। পরিকল্পনা অনুযায়ী, স্কুল মিল চালু করতে প্রতিটি বিদ্যালয়ে রান্নাঘর তৈরি করার প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে। সে ক্ষেত্রে একটি রান্নঘর তৈরি ও তৈজসপত্র কিনতে আনুমানিক ৭০ হাজার টাকা ব্যয় হবে। ফলে ১৬টি উপজেলায় ২ হাজার ১৬৬টি বিদ্যালয়ে রান্নাঘর তৈরি করা হলে ১৫ কোটি ১৬ লাখ ২০ হাজার টাকা প্রয়োজন। এছাড়া প্রতিটি স্কুলে একজন করে রাঁধুনি নিয়োগ করতে ব্যয় হবে ৯ কোটি ৭৪ লাখ ৭০ হাজার টাকা। ২০১৯-২০ অর্থবছরের এডিপিতে বিস্কুট বিতরণ ফি (এনজিও) খাতে ৩৬ কোটি টাকা বরাদ্দ রয়েছে। গত অর্থবছরে এ খাতে প্রায় ২৭ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয় হয়েছে। ফলে এ খাত থেকে রান্নঘর তৈরি ও তৈজষপত্র কেনা যেতে পারে বলেও মতামত এসেছে।

আর বর্তমানে বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির অর্থায়নে পরিচালিত বামনা ও ইসলামপুর উপজেলার ৮৭টি বিদ্যালয়ে বর্তমানে রান্নাঘর ও তৈজষপত্র আছে। এ অবস্থায় প্রথম পর্যায়ে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বিস্কুট বিতরণ ফি (এনজিও) খাতে বরাদ্দ থেকে আরও ১৪টি উপজেলার ৩১৩টি বিদ্যালয়ে রান্নাঘর তৈরি ও তৈজষপত্র কেনা সম্ভব। ফলে বামনা ও ইসলামপুরসহ ১৬টি উপজেলার ৪০০টি বিদ্যালয়ে স্কুল মিল কার্যক্রম শুরু করার বিষয়ে সুপারিশ এসেছে। আর সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবে (আরডিপিপি) স্কুল মিল পাইলটিং খাতে ১৬৫ কোটি ৪৮ লাখ ২৭ হাজার টাকা বরাদ্দ রয়েছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরের বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে (এডিপি) স্কুল মিল পাইলটিং খাতে ২০ কোটি টাকা থোক বরাদ্দ রয়েছে। কিন্তু ১৬টি উপজেলায় রান্না করা খাবার (চাল, ডাল, সবজি, মসলা ও ডিম) সরবরাহ করতে আনুমানিক ৫৮ কোটি ৮২ লাখ ৫০ হাজার টাকা প্রয়োজন হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘জাতীয় স্কুল মিল নীতি এরই মধ্যে মন্ত্রিসভা অনুমোদন দিয়েছে। আমরা এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছি। আমাদের শিশুদের ক্ষুধার্থ রাখতে চাই না। ক্ষুধা পেটে থাকলে শিক্ষার্থীরা লেখাপড়ায় মনোযোগ দিতে পারে না। তারা সঠিক পুষ্টিগুণ নিয়ে বেড়ে উঠুক, সেটাই আমরা চাই। আর তাই সরকার দেশের সব স্কুলে মিড ডে মিল যাতে চালু করা যায়, সেই লক্ষ্যে কাজ করছে। তবে শিক্ষার্থীদের কি ধরনের খাবার দেওয়া হবে, সেটি এখনও চূড়ান্ত নয়। খিচুরি খাওয়ার ক্ষেত্রে অনেক শিক্ষার্থীর সমস্যা হতে পারে, তাই ভিন্ন কোনো খাবার রাখা যায় কিনা সেটিও দেখা হচ্ছে।’

মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের প্রয়োজনীয় শক্তি চাহিদার ন্যূনতম ৩০ শতাংশ ক্যালরি স্কুল মিল থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। যা প্রাক-প্রাথমিক ও প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পড়ুয়া ৩ থেকে ১২ বছরের ছেলে ও মেয়ে শিশুদের জন্য প্রযোজ্য হবে। এছাড়া জাতীয় খাদ্য গ্রহণ নির্দেশিকা অনুযায়ী দৈনিক প্রয়োজনীয় শক্তির ১০-১৫ শতাংশ প্রোটিন থেকে এবং ১৫-৩০ শতাংশ চর্বি থেকে আসা নিশ্চিত করা হবে। ন্যূনতম খাদ্য তালিকার বৈচিত্র্য বিবেচনায় নিয়ে ১০টি খাদ্যগোষ্ঠীর মধ্যে ন্যূনতম চারটি খাদ্যগোষ্ঠী নির্বাচন নিশ্চিত করা হবে। এরই মধ্যে মিড ডে মিল অনেক জায়গায় পাইলট বেসিজে চালু হয়েছে। সমন্বিতভাবে সারাদেশে এটি বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি বাস্তবায়ন কর্তৃপক্ষ গঠন করা হবে। এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি সেল বা ইউনিট কাজ করবে। কার্যক্রমের পরিধি বাড়াতে প্রয়োজনে প্রাথমিক মন্ত্রণালয়ের অধীনে একটি আলাদা জাতীয় স্কুল মিল কর্মসূচি কর্তৃপক্ষ গঠনের বিষয়টি বিবেচনা করা হবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘ন্যাশনাল স্কুল মিল পলিসি বাস্তবায়নে কর্মপরিকল্পনা তৈরি করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে প্রকল্পটি চূড়ান্ত হলে আমরা কাজ শুরু করব। বর্তমানে আমরা ১০৪টি উপজেলার স্কুলগুলোতে খাবার দিচ্ছি, বাকিগুলোতেও ধাপে ধাপে চালু করা হবে। তবে কবে নাগাদ এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যাবে, তা অনুমোদনের ওপর নির্ভর করছে।’

উল্লেখ্য, ২০১০ সালে স্কুল শিক্ষার্থীদের বিস্কুট দেওয়ার কর্মসূচি চালু করা হয়। এরপর বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বৃদ্ধি ও পাঠে মনোযোগী করার লক্ষ্যে এবং শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়া রোধে এ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।

   

এসএসসি পরীক্ষার নাম পরিবর্তন হতে পারে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবই পড়ে মাধ্যমিক স্কুল সার্টিফিকেট (এসএসসি) পরীক্ষায় অংশ নেয় শিক্ষার্থীরা। দীর্ঘদিন ধরে এ পদ্ধতি চলে আসলেও নতুন কারিকুলামে আসছে পরিবর্তন। নতুন কারিকুলামে এই পরীক্ষার নামও পরিবর্তন হতে পারে। তবে নতুন নাম কী হবে সেটি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।

জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) জানিয়েছে, আগামী ২০২৬ সালে নতুন পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। সে হিসেবে যে শিক্ষার্থীরা বর্তমানে নবম শ্রেণিতে পড়ছে, তারাই প্রথমবার নতুন কারিকুলামের এই ‘এসএসসি’ পরীক্ষায় অংশ নেবে। এতদিন নবম ও দশম শ্রেণির পাঠ্যবইয়ের ওপর এসএসসি পরীক্ষা নেওয়া হলেও নতুন পদ্ধতিতে শুধুমাত্র দশম শ্রেণির ১০টি বিষয়ের ওপরই পরীক্ষা বা মূল্যায়ন হবে। এরমধ্যে একটি অংশের মূল্যায়ন হবে বিদ্যালয়েই শিখনকালীন। বাকি আরেকটি অংশের মূল্যায়ন হবে কেন্দ্রীয়ভাবে শিক্ষা বোর্ডগুলোর অধীন।

সূত্রমতে, এখনকার মতোই কেন্দ্র ব্যবস্থাপনা ঠিক করে হবে এই পরীক্ষা। তবে, শিখনকালীন ও পাবলিক পরীক্ষার মূল্যায়ন সমান গুরুত্ব পাবে।

এসএসসি পরীক্ষার নতুন নাম কী হবে, এ প্রসঙ্গে এনসিটিবি চেয়ারম্যান অধ্যাপক মো. ফরহাদুল ইসলাম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতিসহ বিভিন্ন বিষয় যুক্ত করে একটি খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তবে এটি এখনো চূড়ান্ত হয়নি। চূড়ান্ত হওয়ার পর পাবলিক পরীক্ষার নাম কী হবে, তা বলা যাবে।

এনসিটিবির খসড়া অনুযায়ী, দশম শ্রেণির পর যে পাবলিক পরীক্ষা হবে, তাতে প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়ন হবে এক কর্মদিবসের সর্বোচ্চ পাঁচ ঘণ্টায়। বিরতি দিয়ে হবে এ পরীক্ষা। এর মধ্যে একটি অংশের মূল্যায়নে অনুসন্ধান, প্রদর্শন, মডেল তৈরি, উপস্থাপন, পরীক্ষণ, পরিকল্পনা প্রণয়ন ইত্যাদি বিষয় থাকবে। অর্থাৎ হাতে-কলমে শেখার বিষয়টি মূল্যায়ন করা হবে। আরেকটি অংশে থাকবে লিখিত পরীক্ষা। সেখানে লিখিত উত্তরপত্র ব্যবহার করা হবে। লিখিত পরীক্ষার অংশ বিষয়ভেদে এক ঘণ্টা থেকে দুই ঘণ্টাও হতে পারে।

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

পবিত্র রমজান, স্বাধীনতা দিবস ও ঈদুল ফিতরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে আজ মঙ্গলবার থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি শুরু হয়েছে। এর মধ্যে মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো ছুটি থাকবে আগামী ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত। ১৯ ও ২০ এপ্রিল শুক্র ও শনিবার হওয়ায় ২১ এপ্রিল থেকে যথারীতি ক্লাস শুরু হবে বলে জানা গেছে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাদরাসা ও কলেজে আগেই ছুটি শুরু হলেও ২১ এপ্রিল সব পর্যায়ের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চালু হবে।

বছরের শুরুতে প্রকাশিত ছুটির তালিকা অনুযায়ী- ১০ মার্চ থেকে প্রাথমিক ও মাদরাসায় এবং ১১ মার্চ থেকে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে টানা প্রায় এক মাসের ছুটি শুরুর কথা ছিল। কিন্তু শিখন ঘাটতি পূরণে মাধ্যমিকে ১৫ দিন ছুটি কমিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ফলে রোজার শুরুতে মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ক্লাস চালু ছিল। আর রোজার প্রথম ১০ দিন খোলা রাখার সিদ্ধান্ত জানায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।

পরে এই সিদ্ধান্ত চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন এক আইনজীবী। সেই আবেদনের ওপর শুনানি নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রথম রোজা থেকে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন আদালত। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে আপিল করে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ স্কুল বন্ধ রাখার আদেশ স্থগিত করে।

প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে ২১ মার্চ পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা চালু ছিল। ২২ মার্চ থেকে প্রাথমিকেও স্বাধীনতা দিবস, পবিত্র রমজান, লাইলাতুল কদরসহ বেশ কয়েকটি ছুটি সমন্বয় করে ১৮ এপ্রিল পর্যন্ত বন্ধ থাকবে। সাপ্তাহিক ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল প্রাথমিকে ক্লাস-পরীক্ষা শুরু হবে।

;

এইচএসসি পরীক্ষার কেন্দ্রের তালিকা প্রকাশ



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

এ বছরের উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) পরীক্ষার কেন্দ্র তালিকা প্রকাশ করেছে ঢাকা শিক্ষাবোর্ড। বোর্ডের ওয়েবসাইটে কেন্দ্র অনুযায়ী কলেজের তালিকা দেওয়া হয়েছে।

তবে চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা কবে শুরু হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। ৩০ জুন এই পরীক্ষা শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি।

গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক প্রফেসর মো. আবুল বাশার স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়, এ বছর এইচএসসি পরীক্ষার অনলাইনে ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল ও জরিমানা ছাড়া ফরম পূরণ চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। বিলম্ব ফিসহ ২৯ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ২ মে পর্যন্ত। আর পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।

ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

সাধারণত এপ্রিলে দেশে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নেওয়া হলেও কোভিড মহামারির ধাক্কায় শিক্ষা সূচি এলোমেলো হওয়ায় এবারও পরীক্ষা পিছিয়ে নেওয়া হচ্ছে। চলতি বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফরম পূরণ শুরু হবে আগামী ১৬ এপ্রিল থেকে, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত।

 

;

এইচএসসির ফরম পূরণ ১৬ এপ্রিল থেকে, পরীক্ষা শুরু হতে পারে ৩০ জুন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমানের পরীক্ষার ফরম পূরণ আগামী ১৬ এপ্রিল, চলবে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত। আর পরীক্ষা শুরু হতে পারে আগামী ৩০ জুন থেকে।

বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) ফরম পূরণের তারিখ ঘোষণা করেছে ঢাকা শিক্ষা বোর্ড। সেখানেই পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ জানানো হয়।

জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা।

নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, বিলম্ব ফিসহ আবেদন ২৯ এপ্রিল শুরু হয়ে চলবে ২ মে পর্যন্ত। পরীক্ষা শুরুর সম্ভাব্য তারিখ ৩০ জুন।

ফরম পূরণের ক্ষেত্রে বিজ্ঞান শাখার পরীক্ষার্থীদের জন্য ২ হাজার ৬৮০ টাকা, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ২ হাজার ১২০ টাকা করে ফি নির্ধারণ করা হয়েছে।

নির্দেশানায় জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ জুন উচ্চ মাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) ও সমমান পরীক্ষা শুরু হতে পারে। জানা গেছে, শিগগিরই এ পরীক্ষার বিষয়ে রুটিন চূড়ান্ত করার প্রস্তাব শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে।

;