নতুন ব্যাগ ও পোশাক পাবে প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরা



ইসমাঈল হোসাইন রাসেল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম, ঢাকা
একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, পুরনো ছবি, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী, পুরনো ছবি, বার্তাটোয়েন্টিফোর.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের হার কমাতে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার। এরই ধারাবাহিকতায় এবার প্রাথমিকের সব শিক্ষার্থীকে নতুন স্কুল ব্যাগ ও পোশাক কিনতে দুই হাজার করে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

এরই মধ্যে এ সংক্রান্ত প্রস্তাবনা তৈরি করা হয়েছে, জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) অনুমোদন পেলে আগামী বছর থেকেই শিক্ষার্থীদের টাকা দেওয়া হবে।

জানা গেছে, শিক্ষার্থীদের দুই হাজার টাকা করে দেওয়ার বিষয়টি এখনও উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনার (ডিপিপি) পর্যায়ে আছে। নীতিগতভাবে এ সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হয়েছে। সব কিছু ঠিক থাকলে প্রকল্প পরিকল্পনাটি একনেকে পাঠানো হবে। একনেক অনুমোদন দিলে আগামী বছর এটি বাস্তবায়ন করা যাবে। তবে কোনো কারণে এটি আগামী বছর বাস্তবায়ন করা না গেলে পরের বছর থেকে তা বাস্তবায়ন করা হবে। আর স্কুল ব্যাগের বিষয়টি নভেম্বরের শেষ দিকে চূড়ান্ত হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, বাংলাদেশে মোট সরকারি প্রাথমিক স্কুলের সংখ্যা ৬৩ হাজার ৬০১টি। যেখানে লেখাপড়া করছে দুই কোটি ১৯ লাখ ৩২ হাজার ৬৩৮ শিক্ষার্থী। ২০১৮ সালে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১০ কোটি ৩৬ লাখ ২৫ হাজার ৪০৮টি বই বিতরণ করা হয়।

মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, এখনও পর্যন্ত সবাইকে নতুন পোশাকের টাকা দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। তবে প্রথম দিকে পুরোপুরি বাস্তবায়ন করা না গেলেও হয়তো আংশিকভাবে শুরু হতে পারে। সেটি না হলে শিক্ষার্থীদের শুরুর দিকে পাঁচশ’ টাকা দিয়ে কয়েক মাস পর আবার আটশ' টাকা দেওয়া হতে পারে। অথবা আগামী দুই বছর পোশাকের জন্য শুধু পাঁচশ টাকা করেও দেওয়া হতে পারে। পরে হয়তো তা আরো বাড়বে। সামর্থ্যের কথা চিন্তা করেই এটি বাস্তবায়ন করা হবে। তবে যে পরিমাণ টাকাই দেওয়া হোক না কেন সেটি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে দেওয়া হবে না। এ টাকা শিক্ষার্থীদের অভিভাবকের অ্যাকাউন্টে রূপালি ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবার মাধ্যমে পাঠানো হবে। আর স্কুল ইউনিফর্মের ডিজাইন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতর ঠিক করে দেবে।

এ বিষয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মো. জাকির হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাকের জন্য দুই হাজার করে টাকা দেওয়া হবে। এরই মধ্যে এটি নিয়ে কাজ শুরু হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যখন বছরের প্রথম দিন বই নিতে আসে, অনেকেই পুরনো পোশাক পরে আসে। অনেকের পরিবারের নতুন পোশাক কিনে দেওয়ার সামর্থ্য থাকে না। তাই তারা যেন নতুন পোশাক পরে নতুন বই নেওয়ার উৎসবে শামিল হতে পারে, সে জন্যই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’

a

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেন বার্তাটোয়েন্টিফোর.কমকে বলেন, ‘প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের নতুন পোশাক দেওয়ার বিষয়টি এখনও ডিপিপি পর্যায়ে আছে। একনেক এটি অনুমোদন দিলে বাস্তবায়ন করা যাবে। আমরা এটি নিয়ে কাজ করছি। আর স্কুল ব্যাগের বিষয়টিও একই পর্যায়ে আছে, চূড়ান্ত হলে তা বাস্তবায়ন করা হবে।’

এদিকে নতুন পোশাকের পাশাপাশি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তির টাকা দ্বিগুণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রণালয়। বর্তমানে প্রাথমিক শিক্ষা উপবৃত্তি প্রকল্পের আওতায় সরকার শিক্ষার্থীদের শ্রেণি ভেদে জনপ্রতি মাসে ১০০ টাকা উপবৃত্তি দিচ্ছে। এটি বাড়িয়ে ২০০ টাকা করা হবে। এখন উপবৃত্তিতে দেড় হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়, সেটি বাড়িয়ে তিন হাজার কোটি টাকা করা হবে।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, প্রাথমিক শিক্ষায় উপবৃত্তি চালু করার পর সারাদেশের বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থীর উপস্থিতি বেড়েছে। বর্তমানে শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে উপস্থিতির হার প্রায় ৮৯ শতাংশ। এছাড়া উপবৃত্তির কারণে শিক্ষার্থীদের ঝরে পড়ার হারও অনেক কমেছে।

   

৪৬তম বিসিএসের প্রিলি আজ, মানতে হবে যত নির্দেশনা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

৪৬তম বিসিএসের প্রিলিমিনারি পরীক্ষা আজ শুক্রবার (২৬ এপ্রিল)। সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলবে এ পরীক্ষা। এ উপলক্ষে পরীক্ষার্থীদের কিছু নির্দেশনা দিয়েছে বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি)।

সাংবিধানিক এই সংস্থাটি এক বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের সকাল সাড়ে ৯টার মধ্যে নিজ কেন্দ্রে আসন গ্রহণ করতে হবে। এরপর পরীক্ষাকেন্দ্রের ফটক বন্ধ করে দেওয়া হবে।

প্রিলিমিনারি পরীক্ষাকেন্দ্রে বইপুস্তক, সব ধরনের ঘড়ি, মোবাইলফোন, ক্যালকুলেটর, সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস, ব্যাংক/ক্রেডিট কার্ডসদৃশ কোনো ডিভাইস, গয়না, ব্রেসলেট ও ব্যাগ আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। নিষিদ্ধ সামগ্রীসহ কোনো প্রার্থী পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে পারবেন না।

পরীক্ষাকেন্দ্রের গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে প্রবেশপত্র এবং মেটাল ডিটেক্টরের সাহায্যে মোবাইলফোন, ঘড়ি, ইলেকট্রনিক ডিভাইসসহ নিষিদ্ধসামগ্রী তল্লাশির মধ্য দিয়ে প্রার্থীদের পরীক্ষাকেন্দ্রে ঢুকতে হবে।

পরীক্ষার দিন উল্লিখিত নিষিদ্ধসামগ্রী সঙ্গে না আনার জন্য সব প্রার্থীর মোবাইলফোনে এসএমএস পাঠানো হবে। এসএমএসের নির্দেশনা অনুসরণ করতে হবে। পরীক্ষার সময় প্রার্থীরা কানের ওপর কোনো আবরণ রাখবেন না, কান খোলা রাখতে হবে। কানে কোনো ধরনের হিয়ারিং এইড ব্যবহারের প্রয়োজন হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শপত্রসহ আগেই কমিশনের অনুমতি নিতে হবে।

পরীক্ষাকেন্দ্রে কোনো প্রার্থীর কাছে এসব নিষিদ্ধসামগ্রী পাওয়া গেলে তা বাজেয়াপ্তসহ বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বয়স, যোগ্যতা ও সরাসরি নিয়োগের জন্য পরীক্ষা) বিধিমালা ২০১৪-এর বিধি ভঙ্গের কারণে সংশ্লিষ্ট প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিলসহ ভবিষ্যতে কর্ম কমিশনের নিয়োগ পরীক্ষার জন্য ওই প্রার্থী অযোগ্য ঘোষিত হবেন।

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে রোববার, শনিবারও চলবে ক্লাস



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

সারা দেশে তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে বন্ধ থাকার পর আগামী রোববার (২৮ এপ্রিল) থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপ-সচিব মোসাম্মৎ রহিমা আক্তার স্বাক্ষরিত মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। 

প্রজ্ঞাপনে, চলমান তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখায় যে শিখন ঘাটতি হয়েছে তা পূরণ করতে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চালানোর কথা বলা হয়েছে। তবে বন্ধ থাকবে অ্যাসেম্বলি। 

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, পবিত্র ঈদুল ফিতরের ছুটির ধারাবাহিকতায় তাপদাহের কারণে গত ২০ এপ্রিল মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের ঘোষিত ছুটি সমাপ্ত হওয়ার পর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে শ্রেণি কার্যক্রম চালুর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আগামী ২৮ এপ্রিল রোববার থেকে যথারীতি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ খোলা থাকবে এবং শ্রেণি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। তাপদাহ সহনীয় পর্যায়ে না আসা পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে। শ্রেণি কার্যক্রমের যে অংশটুকু শ্রেণি কক্ষের বাইরে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসতে হয়, সে সব কার্যক্রম সীমিত থাকবে। তাপদাহ এবং অন্যান্য কারণে শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ থাকার ফলে যে শিখন ঘাটতি তৈরি হয়েছে তা পূরণ এবং নতুন শিক্ষাক্রম অনুযায়ী শিখন ফল অর্জনের জন্য পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও শ্রেণি কার্যক্রম চলবে।

 

;

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত শনিবার: শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার বলেছেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলা বা বন্ধের বিষয়ে আবহাওয়া পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে শনিবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। 

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে সচিবালয়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো সংক্রান্ত সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

অনলাইন ক্লাসের বিষয়ে তিনি বলেন, অনলাইনে ক্লাস করা যাবে। কিন্তু অনেক স্কুলের সেই সুযোগ নেই। ফলে সবকিছু চিন্তা করেই সিদ্ধান্ত জানানো হবে।

এর আগে ২০ এপ্রিল চলমান তাপপ্রবাহে শিশু শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বিবেচনায় মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ৭ দিনের ছুটি ঘোষণা করে মাউশি। এর ফলে আগামী ২৮ এপ্রিল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলার কথা।

এদিকে সারাদেশে চলছে তীব্র তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে আরও তিনদিন হিট অ্যালার্টের মেয়াদ ফের বাড়িয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, পুরো এপ্রিল মাস জুড়ে তাপপ্রবাহ কমার কোনো সম্ভাবনা নেই। বৃহস্পতিবার আবহাওয়াবিদ মো. শাহিনুল ইসলাম স্বাক্ষরিত তাপপ্রবাহ নিয়ে জারি করা এক সতর্কবার্তায় এ তথ্য জানানো হয়।

;

২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা হবে ৫ ঘণ্টা



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

  • Font increase
  • Font Decrease

নতুন শিক্ষাক্রমে ২০২৫ সালের এসএসসি পরীক্ষা প্রতিটি বিষয়ের মূল্যায়নে বিরতিসহ ৫ ঘণ্টা পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকতে হবে শিক্ষার্থীদের। এই পাবলিক পরীক্ষায় মোট ১০টি বিষয়ের ওপর শিক্ষার্থীদের মূল্যায়ন করা হবে। এতে থাকবে লিখিত পরীক্ষাও। বর্তমান সময়ের মতো আলাদা পরীক্ষা কেন্দ্রে মূল্যায়নে অংশ নেবে শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২২ এপ্রিল) মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডে (এনসিটিবি) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কমিটির এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়।

বৈঠক সূত্রে জানা যায়, ২০২৫ সাল থেকে নতুন শিক্ষাক্রমে অনুষ্ঠিত হবে এসএসসি পরীক্ষা। এ শিক্ষাক্রমে মূল্যায়ন বা পরীক্ষা কীভাবে হবে তা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হওয়ায় উদ্বেগ জানিয়েছিলেন অভিভাবকরা। সেই কারণে এসএসসির মূল্যায়ন পদ্ধতি ঠিক করতে উচ্চ পর্যায়ের কমিটি গঠন করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। সেই ধারাবাহিকতায় এসএসসিতে ৫০ শতাংশ লিখিত পরীক্ষা রাখাসহ পাঁচ দফা সুপারিশ প্রস্তুত করেছে সেই কমিটি। সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে, লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ বা গড় ভারিত্ব ৫০ শতাংশ, আর কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখা। আর পরীক্ষা হবে মোট পাঁচ ঘণ্টার।

এসএসসির লিখিত পরীক্ষার বিষয়ে কমিটির সুপারিশে বলা হয়েছে, মূল্যায়ন পদ্ধতিতে যোগ্যতা ও কার্যক্রম ভিত্তিক মূল্যায়নের পাশাপাশি লিখিত (পরীক্ষা) মূল্যায়ন রাখা যেতে পারে। এছাড়া, আন্তঃসম্পর্ক বজায় রেখে লিখিত মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ এবং কার্যক্রমভিত্তিক মূল্যায়নের ওয়েটেজ ৫০ শতাংশ রাখার কথা বলা হয়েছে। একই সঙ্গে স্কুল ভিত্তিক ষাণ্মাসিক (ছয় মাস) ও বার্ষিক মূল্যায়ন এবং পাবলিক মূল্যায়ন একই পদ্ধতিতে অনুষ্ঠিত হবে।

এছাড়া, শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের জন্য ‘নৈপুণ্য’ অ্যাপস হালনাগাদ করা, চূড়ান্ত মূল্যায়নে সনদ/ট্রান্সক্রিপ্টের সাত পর্যায়ের স্কেলে যোগ্যতা এবং পারদর্শিতার সূচক অভিভাবক ও অংশজনদের অবহিত করারও সুপারিশ করেছে কমিটি।

আর এসএসসি পরীক্ষা হবে কেবল দশম শ্রেণির বিষয়ের ওপর। অর্থাৎ আগে নবম-দশম এই দুই শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হলেও নতুন শিক্ষাক্রমে শুধু দশম শ্রেণির ওপর পরীক্ষা হবে। এই শ্রেণিতে মোট ১০টি বিষয় পড়বে শিক্ষার্থীরা। বিষয়গুলো হলো— বাংলা, ইংরেজি, গণিত, বিজ্ঞান, ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ডিজিটাল প্রযুক্তি, জীবন ও জীবিকা, ধর্মশিক্ষা, স্বাস্থ্য সুরক্ষা, শিল্প ও সংস্কৃতি।

এ বিষয়ে কমিটি প্রধান ও শিক্ষা মন্ত্রণায়ের অতিরিক্ত সচিব মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, নতুন শিক্ষাক্রমের মূল্যায়ন পদ্ধতি নিয়ে বেশি কিছু সুপারিশ রয়েছে। এগুলো এখন চূড়ান্ত পর্যায়ে যাচাই-বাছাই চলছে। এরপর বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে শিগগিরই প্রতিবেদনটি আনুষ্ঠানিকভাবে জমা দেওয়া হবে। সুপারিশে পরীক্ষা পদ্ধতি রাখার বিষয়টি রয়েছে। অবশ্য কত নম্বরের পরীক্ষা হবে তা বলতে রাজি হননি তিনি।

নতুন শিক্ষাক্রম গত বছর প্রথম, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে বাস্তবায়ন করা হয়। আর চলতি বছর বাস্তবায়ন করা হয় দ্বিতীয়, তৃতীয়, অষ্টম ও নবম শ্রেণিতে। এরপর ২০২৫ সালে পঞ্চম ও দশম শ্রেণিতে, ২০২৬ সালে একাদশ এবং ২০২৭ সালে দ্বাদশ শ্রেণিতে এই শিক্ষাক্রম চালু হবে।

বর্তমানে শিক্ষার্থীদের দুই পদ্ধতিতে মূল্যায়ন করা হয়। এর একটি বছরজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিখনকালীন মূল্যায়ন, অন্যটি বছর শেষে সামষ্টিক মূল্যায়ন। শিক্ষাক্রমের রূপরেখা অনুযায়ী, প্রাক-প্রাথমিক থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত কোনো পরীক্ষা নেই। এ তিন শ্রেণিতে হবে শতভাগ শিখনকালীন মূল্যায়ন। আর চতুর্থ শ্রেণি থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পাঁচটি বিষয়ে কিছু অংশের মূল্যায়ন হবে শিখনকালীন। বাকি অংশের মূল্যায়ন হবে সামষ্টিকভাবে।

গত ৫ মার্চ গঠিত শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মোহাম্মদ খালেদ রহীমকে আহ্বায়ক করে ১৪ সদস্য বিশিষ্ট উচ্চপর্যায়ের কমিটির প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

;