কবি শহীদ কাদরী : প্রয়াণবার্ষিকীতে ভালোবাসা

  • মারুফ রায়হান
  • |
  • Font increase
  • Font Decrease

অলঙ্করণ কাব্য কারিম

অলঙ্করণ কাব্য কারিম

সৃষ্টিশীলের শারীরিক মৃত্যুর পর সব শেষ হয়ে যায় না, বরং বলতে পারি নবসূচনা ঘটে। তা না হলে বিতোভেনের সুর আজ শুনতাম না, পড়তাম না দস্তয়েভস্কির উপন্যাস। লিওনার্দো ভিঞ্চির ছবিও মুছে যেত। কবির ক্ষেত্রেও একই কথা জোর গলায় বলতে পারলে সুখী হতাম। কবি যা লেখেন তা খনির রত্নরাজি হতে পারে, কিন্তু চাপা পড়ে থাকে। খনন বা উত্তোলন করে সেই মহার্র্ঘের স্বাদ নিতে হয়। সেজন্যে চাই সমঝদার, পাকা জহুরি। বাংলাদেশে তার অভাববোধ আমরা প্রত্যক্ষ করছি কয়েক দশক হলো। এখন আরো বেশি মন্দ সময়। তবু খাঁটি কবিতা খাঁটি সোনার মতোই ঔজ্জ্বল্য ছড়াতে পারে।

কবিতার বিচার করবে মহাকাল—এমন একটা আপ্তবাক্য চালু রয়েছে বটে, যদিও আমরা মনে রাখি না স্বকাল যদি স্বীকৃতির যোগাড়যন্ত্র শুরু না করে, তবে মহাকালের সাধ্য কি মহাকবিকে শনাক্ত করবে! বাংলা সাহিত্যে এমন একজন কবিকেও দেখানো যাবে না যিনি তাঁর সমকালে না-গৃহীত থেকেছেন। এমনকি জীবনানন্দও।

বিজ্ঞাপন

তবে একথা ফ্রেমে বাঁধিয়ে রাখা চাই যে, কবির কবিতার মূল্য বুঝতে হলে তাঁর সময়কে বিবেচনায় নিতে হবে, যেমন পাঠ করতে হবে তাঁর সমকালের বা সমসময়ের সব প্রধান কবিদের। কবি যে ভাষা ও বাকভঙ্গিমায় লিখেছেন, যে ভূমিতে বসে লিখছেন সেইসবও এড়িয়ে যাওয়ার যুক্তি নেই।

শহীদ কাদরীকে নিয়ে কিছু বলবার আগে এই ভূমিকাটুকু দেওয়াটা সমীচীন বোধ করলাম। পশ্চিম বাংলা থেকে উপড়ে নিয়ে তাঁকে রোপণ করা হয়েছিল এই আশ্চর্য নগরী ঢাকায়। পরে তিনিই আবার গুডবাই জানান এই শহরকে; যান বিশ্বের আরো বড় বড় শহরে। কিন্তু সত্য আমরা অস্বীকার করে যেতে পারি না যে, ঢাকায় বসে মাত্র তিনখানা কাব্য যিনি লিখে মহাকালের দরোজায় কড়া নেড়ে গেছেন, সেই তিনিই আবার কবিতারহিত রয়েছেন দশকের পর দশক, বিদেশভূমে। শেষদিকে কুড়িয়ে কাড়িয়ে যে কটি কবিতা পেয়েছেন সেগুলো জড়ো করে বের করলেন সর্বশেষ কাব্য—“আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও”। যেখানে আমরা মিস করে যাই তাঁর যৌবনের, বলা ভালো স্বেচ্ছানির্বাসনে যাওয়ার আগে লেখা ওই তিন কাব্যের সুধা ও সমবৈশিষ্ট্যকে। প্রায় চারটি দশক তিনি ছিলেন মাতৃভূমি থেকে দূরে। এই প্রবাসযাপনকে অনেকেই ‘স্বেচ্ছা নির্বাসন’ বলে থাকেন। এক অর্থে তো এটি সত্যি। অন্য দেশে ডেরা খুঁজে ফেরা নয়, নিজের জায়গা থেকে দূরে সরে যাওয়া, প্রস্থান করা। এই ঢাকা শহর এবং কবিতামগ্ন সময় থেকে নিজেকে অন্যত্র সরিয়ে নেওয়া। ১৯৭৮ সালে দেশত্যাগের সময় তিনি ছিলেন যৌবনের চূড়োয়, মাত্র ছত্রিশ বছর বয়সী। ওই বছরই তাঁর তৃতীয় কাব্যগ্রন্থ ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’ প্রকাশিত হয়। প্রথমে যান বার্লিনে। সেখান থেকে চলে যান লন্ডনে। তারপর ফেরেন বস্টনে। কোথাও সেভাবে থিতু হননি। শেষমেশ আমেরিকারই আরেকটি রাজ্য নিউইয়র্কে বসবাস শুরু করেন।

বিজ্ঞাপন

শহীদ কাদরী ঠিকই বুঝেছিলেন একজন কবির মাতৃভূমি থেকে দূরে অবস্থান করা একটি অভিশাপ, এ অনেকটা আত্মহত্যার মতোই। আত্মহত্যা বলতে, কবিসত্তার হনন। কিন্তু তিনি দৃঢ়চেতা ছিলেন বলেই প্রবাসে থিতু হয়েও শেষ পর্যন্ত আবার কবিতা লিখতে শুরু করেন। জীবনের গোধূলিবেলায় এসে তারুণ্যের কবিপ্রতিভার নবায়ন ঘটানো আর কোনো কবির পক্ষে সম্ভবত সম্ভবপর হয়নি। প্রবাসে বসবাসকারী লেখকেরা স্বদেশে আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকেন। এক ধরনের পরোক্ষ সংযোগও থাকে। কিন্তু যুগের পর যুগ আক্ষরিক অর্থে নিজ দেশের মাটির গন্ধ নিচ্ছেন না, আলোবাতাস মাখছেন না এমন কবির পক্ষে পুনরায় কবিতার জগতে প্রত্যাবর্তন খুব সহজ নয়। অথচ শহীদ কাদরী পেরেছিলেন।

বাউন্ডুলেপনা, আড্ডাবাজ আর মশকরায় সেই পঞ্চাশের-ষাটের দশকে আর কোনো কবি ছিল না তাঁর মতো। সুরাপানেও অদ্বিতীয়। তাঁর মতো প্রাণখোলা অট্টহাসিও আর কোনো কবিকে হাসতে দেখা যেত না। তাঁর সমকালীন ও কিছুটা অনুজ কবিদের স্মৃতিচারণায় শহীদ কাদরী সমীহ জাগানিয়া কবিতার এক রাজকুমার। মৃত্যু এসে অমরত্ব দিতে পারে ক’জন কবিকে? কবি শহীদ কাদরী তাঁর যৌবনের তিনখানা কাব্য দিয়েই আবহমান বাংলা কবিতার পাঠককে বিশুদ্ধ আধুনিক কবিতাসুধা পান করিয়ে যাবেন—একটি দশকে এমন কবির দেখা খুব বেশি মেলে না। শহীদ কাদরীর যেসব কথোপকথনের ভিডিও দেখেছি, অনলাইন ও কাগজে পড়েছি তাতে শেষ পঞ্চাশ ও গোটা ষাটের দশকে তাঁর মনন তৈরি প্রসঙ্গে ধারণা পাওয়া যায়। বাংলা ভাষা ও ইউরোপের আধুনিক কবিতা যেমন তিনি নিবিষ্টচিত্তে পড়তেন, তেমনি পাঠ করতেন আধুনিক দর্শন ও বিজ্ঞান সম্পর্কিত গ্রন্থাবলি। ফলে কিছুটা বয়োজ্যেষ্ঠ সতীর্থদের মধ্যে তাঁর ছিল বিশেষ কদর। আর প্রথম থেকেই সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র একটি কাব্যভাষা ছিল তাঁর অধিকারে, যে স্বকীয় স্বর প্রতিষ্ঠার জন্য একজন কবির দীর্ঘকাল নিবিষ্ট থাকতে হয়। আধুনিক শাহরিক মানুষের দ্বান্দ্বিক জীবনবোধ এবং সেইসঙ্গে অনন্য শিল্পবোধ ছন্দের ছাঁচে স্বচ্ছন্দভাবে উৎসারিত হতো তাঁর কলমে। কোথায় যেন তাঁর ছিল বিষাদগ্রস্ততা এবং একইসঙ্গে অনিকেত ভাবনা। (তৃতীয় কাব্য ‘কোথাও কোনো ক্রন্দন নেই’-এর একটি কবিতায় পাচ্ছি : একটি মাছের অবসান ঘটে চিকন বটিতে,/ রাত্রির উঠোনে তার আঁশ জ্যোৎস্নার মতো/ হেলায়-ফেলায় পড়ে থাকে/ কোথাও কোনো ক্রন্দন তৈরি হয় না) সব মিলিয়ে এগার বছরের সময়পরিধিতে (১৯৬৭ থেকে ১৯৭৮) যে তিনটি কবিতাগ্রন্থ তিনি পাঠককে উপহার দেন সেগুলো সর্বকালের বাঙালি পাঠকের জন্যই যেন মহার্ঘ্য হয়ে উঠেছিল।

শহীদ কাদরীর প্রথম কাব্যের প্রথম কবিতা ‘বৃষ্টি, বৃষ্টি’, এটি তাঁর সিগনেচার পোয়েম। কোনো কবির আত্মপ্রকাশ এবং আত্মস্বর প্রচার-প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে প্রথম কবিতাটি সবসময় বিশেষ বিবেচনার দাবি রাখে। এই কবিতায় পাই সম্পূর্ণত নগরের বৃষ্টি; এবং বৃষ্টি নিয়ে বাঙালির কবিতাপনার সম্পূর্ণ বিপরীত ছবি। প্রথম পঙ্ক্তির প্রথম বাক্যটি আগেকার বর্ষাবাদনের সব সুর মুছে দেয় যেন—‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো।’ বর্ষার এসে পড়া প্রকাশ করতে গিয়ে ‘সন্ত্রাস’ শব্দের প্রয়োগ। একেবারে অভাবিত। এখানে বৃষ্টির জল জীবন্ত এক অস্তিত্ব যেন (কেবল করুণ ক’টা / বিমর্ষ স্মৃতির ভার নিয়ে সহর্ষে সদলবলে/ বয়ে চলে জল পৌরসমিতির মিছিলের মতো/ নর্দমার ফোয়ারার দিকে,—)। এই কবিতা নিয়ে যত বিশ্লেষণ পড়েছি সেগুলোর ভেতর আমেরিকায় বসবাসকারী কবি ওমর কায়সারের অভিমত বিশেষ লক্ষণীয়। তিনি লিখেছেন, ‘এই বৃষ্টির বিবরণ কোনো নারী, প্রকৃতি, প্রেমিকের বাদল দিনের প্রথম কদম ফুল-এর অভিষেক নয়; নয় আবেগ, যে ‘কেঁদেও পাবে না তাকে’ বর্ষায়। এটি কেয়া-কেতকী তমাল-তরী-ধান দোলানো মিষ্টি বৃষ্টি নয়—এটি শহরের অলি-গলি-দালান, রাস্তা, সাইনবোর্ড অফিস-আদালত, যান, ব্যবসা, মহাজন-সাহেব, পৌর সমিতিকে তাড়িত করা বিহ্বল বর্ষা : ‘অবিরল করাত কলের চাকা, লক্ষ লেদ মেশিনের আর্ত অফুরন্ত আর্বতন—বিপন্ন বিদ্যুৎ মেঘ, জল, হাওয়া—ময়ূরের মত যার বর্ণালি চিৎকার, জল, জল, জল, তীব্র হিংস্র খল’। এই পৃথক সুর এবং ক্ষিপ্র বেগ কাদরী তাঁর নিজস্ব অক্ষর-বৃত্ত চালে ঝরিয়েছেন, যা বাংলা-পদ্যে-ধারাবাহিত ঝংকৃত ৮/৬ চাল নয় আবার জীবনানন্দের বিলম্বিত সুরও নয়। প্রথমেই ৮ মাত্রার শোঁ শোঁ : ‘সহসা সন্ত্রাস ছুঁলো’, তারপর যতি নিয়ে ১২ অথবা ২০ মাত্রা-র দৌড়। এই আনোখা বাঁটের চলনে কবিতার শ্রুতিকল্প বক্তব্যটিকেও স্বতন্ত্র ওজন দিয়েছে। ‘বৃষ্টিতে নাগরিক উপাদান সব ভেসে যাচ্ছে।’

এই কবিতাটিকে শহীদ কাদরী স্বয়ং কতটা গুরুত্ব দিতেন তা ওমর শামসেরই রেফারেন্স থেকে জানতে পারি। ২০০৫-এর দিকে, তাঁর এ কবিতা প্রসঙ্গে তিনি একদিন ফোনে বলেছিলেন, “এই হচ্ছে আমার ওয়েস্ট ল্যান্ড।” টি এস এলিয়টের ওয়েস্ট ল্যান্ড যাঁরা পড়েছেন তাঁরা শহীদ কাদরীর বক্তব্যের তাৎপর্য বুঝবেন।

নবযাত্রার শেষ বইটিতে কোমলগন্ধি লিরিকের সন্ধান পাব। অক্ষরবৃত্তের শক্তি আমরা দেখেছি কাদরীতে। এমনকি অন্ত্যমিল ও অন্তরমিলের জাদুও। চিত্রকল্পের চমৎকারিত্ব-ভরা তাঁর কবিত্বে মোহিত হয়েছি আমরা বহুবার। শেষের কবিতায় প্রবলভাবে তার দেখা না মিললেও বুঝতে অসুবিধে হয় না যে সেই অভিন্ন পরাক্রম কবির কলম থেকেই নিঃসৃত হয়েছে এইসব বুদ্ধিদীপ্ত সুসম্পাদিত পঙ্ক্তিমালা।

পুনশ্চ
আজ কবির তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকীর দিনে মনে পড়ছে তাঁর অন্তিম প্রত্যাগমনের ক্ষণটি। কী ভালোবাসায় দেশের কবি ও কবিতাপাঠকেরা অপেক্ষা করছিলেন তাঁর জন্যে। তাঁকে অন্তিম অভিবাদন জানাবার জন্যে। শহীদ মিনারে ঢল নেমেছিল। বাংলা মা তাঁর আঁচল বিছিয়ে রেখেছিল কবির জন্যে। একদিকে চলছিল প্রয়াণ-পরবর্তী আনুষ্ঠানিকতা; অন্যদিকে শোকগ্রস্ত শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ থেকে ফিরে নিভৃতে আমি তৈরি করছিলাম কবিকে নিয়ে টিভি অনুষ্ঠানের পাণ্ডুলিপি। ইতোমধ্যেই সংগৃহীত হয়েছে কিছু ব্যতিক্রমী ফুটেজ। ‘জন্মেই কুঁকড়ে গেছি মাতৃজরায়ণ থেকে নেমে’—কবিকণ্ঠে এই কবিতার আবৃত্তি, তাঁকে ঘিরে আড্ডার ফুটেজ ছাড়াও বেশ কিছু দুর্লভ আলোকচিত্র। ‘তোমাকে অভিবাদন প্রিয়তমা’—এই কবিতায় সুরারোপ করে গেয়েছেন কবিরই প্রবাসকালীন বন্ধু এবং বাংলা গানের বাঁকবদলকারী গানওয়ালা সুমন। সেই গানটিও নেওয়া হয়ে গেছে পেনড্রাইভে। বিটিভিতে রেকর্ডিং শুরু হলো। কবিপত্নী নীরা শোনালেন কবির শেষতম কাব্যের জন্মইতিহাসসহ হৃদয়স্পর্শী স্মৃতিকথা। কবি বলেছিলেন, ১৯৯১ সালে প্রবাসী পত্রিকায় প্রকাশিত ‘আমার চুম্বনগুলো পৌঁছে দাও’ কবিতাটি না পেলে এই বই করা সম্ভব নয়। কবিতাটির খোঁজে বিজ্ঞাপন দেওয়া হলো। ২০০৮ সালে সেটি উদ্ধার করা বাস্তবিকই কঠিন ছিল। ভাগ্যিস বাংলাদেশের একজন পাঠিকা সেসময় আমেরিকায় বেড়াতে গিয়েছিলেন এবং তাঁর নজরে পড়েছিল সেই বিজ্ঞাপন। তিনি দেশে ফিরে তাঁর সংগ্রহ থেকে কবিতাটি কপি করে নীরা কাদরীকে পাঠিয়েছিলেন। কবির প্রকাশক মফিদুল হক ও কবি রুবী রহমানের সঙ্গে শুরু হলো আমার আলাপচারিতা। সেখানে ওই দুজনের দুটি কথা খুব গুরুত্বপূর্ণ মনে হয়েছিল বলেই এখানে তার উল্লেখ করছি।

মফিদুল হক ১৯৬৭ সালকে আধুনিক বাংলা কবিতার তাৎপর্যর্পূণ কাল বলে চিহ্নিত করলেন। চট্টগ্রাম থেকে সেসময় চার আধুনিক কবির চারটি টাটকা কবিতাগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছিল বিশেষ প্রকাশনা সৌকর্য নিয়ে। সেই চার কবির ভেতর শহীদ কাদরী তো ছিলেনই, ছিলেন শামসুর রাহমান ও আল মাহমুদ; এবং সৈয়দ আলী আহসান। মফিদুল হক বলছেন, পূর্ববাংলার আধুনিক বাংলা কবিতা সমস্বরে বেজে উঠেছিল ওই চার কাব্যে, যদিও তাঁদের মধ্যে কনিষ্ঠতম কবি শহীদ কাদরীর কবিতাই ছিল কারো দ্বারা প্রভাবিত নয়, একেবারে স্বতন্ত্র কণ্ঠস্বর। বিশ্বসভ্যতা ও বিশ্বনাগরিকতার মধ্যে বেজে উঠেছিল ঢাকা নগরীর নিজস্বতা। আর কবি রুবী রহমানের মতে সেই ষাটের দশকে বাংলা কবিতার নিয়ন্ত্রক শক্তির অন্যতম একজন ছিলেন শহীদ কাদরী।

কবি শহীদ কাদরী যখন প্রবাসে ছিলেন আমরা তাঁর জন্মদিন স্মরণে রাখিনি। তাঁর প্রয়াণের পর জন্ম ও প্রয়াণবার্ষিকীতে অন্তত স্মরণ করে তাঁকে ভালোবাসা ও কৃতজ্ঞতা জানানোর প্রয়াসের ধারাবাহিকতা যেন রক্ষা করতে পারি—সেটিই পরম প্রত্যাশা।