গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও নতুন ১২৮ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৪ হাজার ২৪৩ জনে। শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ।
এ সময়ের মধ্যে করোনায় কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা ২৯ হাজার ১৩১ জন অপরিবর্তিত থাকল।
সোমবার (১৩ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ৭১ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৫ হাজার ৩৩৭ জন।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ৬৮৫টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় ৬ হাজার ৬৮৮টি নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১ দশমিক ৯১ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৭ শতাংশ। আর মোট আক্রান্তের মধ্যে রাজধানী ঢাকাতেই আক্রান্ত হয়েছেন ১১৪ জন। আর বাকি আক্রান্ত ১৪ জন ঢাকার বাইরের বাসিন্দা।
দেশে করোনাভাইরাসে সংক্রমিত (কোভিড-১৯) প্রথম রোগী শনাক্ত হয় ২০১৯ সালের ৮ মার্চ। তার ১০ দিন পর ১৮ মার্চ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।
কোরবানির ঈদের এখনো দেড় মাস বাকি। অথচ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তবে এখনো স্বাভাবিক আছে জিরার দাম। ক্রেতারা বলছেন মূলত সামনে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনো বাড়েনি মসলার দাম। তবে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে মসলার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদের আগে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
শুক্রবার ( ১০ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ মাংস শাক সবজি মসলাসহ সকল পণ্য গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাংসের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। এছাড়া রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালী মুরগি। তবে দেশি মুরগির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০/ ৭০০ টাকা কেজি।
মসলার বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি জিরা আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি জিরা ৭০০ টাকা, দারচিনি ৫৫০ টাকা, এলাচ ৩৬০০ টাকা, লং ১৮০০ টাকা, কালো জিরা ৩৪০ টাকা, গোল মরিচ ১২৫০ টাকা, এছাড়া সাদা গোল মরিচ ১৩০০ টাকা, জায়ফল ১৪০০ টাকা, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
মাছের বাজারেও ছিলো বাড়তি দামের প্রভাব। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, নদীর গুলশা ৭০০ টাকা, মাঝারি মাপের চিংড়ি ৮০০ টাকা, কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, রুই মাছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, সরপুটি ২২০ টাকা আর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবজির দামেও অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা । আজ প্রতি কেজি করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি , ঢেড়স ৮০টাকা, পটল-১২০টাকা, টমেটো-৮০, শসা ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা , পুঁইশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিছ ৮০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা , আলু ৫০ টাকা আর পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি। এছাড়া রসুন ছোট সাইজ ২২০ টাকা, রসুন বড় ২৪০ টাকা, আদা ২২০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজ জানায়, 'কদিন আগেও মসলার দাম কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগের থেকে কিছু দাম বেশি চাইছে ব্যবসায়ীরা। যদিও আমাদের তেমন মসলা লাগেনা সারাবছর। শুধু ঈদের আগে মসলা কেনা হয় বা কোন অনুষ্ঠান হলে কিনি।'
এদিকে ব্যবসায়ী বাপ্পি জানান, 'কোন মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামই সব বিক্রি করছি। ক্রেতাদের অভিযোগ সবসময়ই থাকে। এগুলো শুনে লাভ নেই। তবে ঈদের আগে চাহিদা বাড়াতে পারে তখন কিছুটা দাম বাড়াতে পারে।'
টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধি সৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন তিনি।
বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পাঞ্জলি অর্পণের পর তার সম্মানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন তিনি। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর চৌকস সদস্যরা গার্ড অব অনার প্রদান করে।
এরপর বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্ট নিহতদের রুহের মাগফেরাত কামনা করে ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাত করা হয়। মোনাজাতে স্বাধীনতার জন্য আত্মদানকারী শহীদদের আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করা হয়।
মোনাজাতে প্রধানমন্ত্রীর ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে সকালে সড়কপথে গোপালগঞ্জ আসেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
পরে প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে দাড়িয়াকুল গ্রাম উন্নয়ন সমিতির সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং সুবিধা বঞ্চিতদের মাঝে কৃষি ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করবেন।
পরে তিনি টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র পরিদর্শন করবেন। বিকেলে সড়ক পথে ঢাকায় ফিরে আসবেন তিনি।
দেশের সব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। কোথাও কোথাও শিলাবৃষ্টি হতে পারে বলেও ধারণা করা হচ্ছে।
আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, লঘুচাপের বাড়তি অংশ পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। এ অবস্থায় শুক্রবার (১০ মে) সন্ধ্যা পর্যন্ত ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, খুলনা, বরিশাল ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং রংপুর ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।
এ সময় বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেইসঙ্গে কোথাও কোথাও বিক্ষিপ্তভাবে শিলাবৃষ্টিও হতে পারে। দেশের সব বিভাগে ঝড়বৃষ্টির এ প্রবণতা পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টা অব্যাহত থাকতে পারে।
এদিকে যশোরে বৃহস্পতিবার (৯ মে) দেশের সর্বোচ্চ ৩৪.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে আবহাওয়া অফিস। এদিন দেশের সর্বনিম্ন ২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিল কুড়িগ্রামের রাজারহাটে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, সারা দেশে শুক্র ও শনিবার দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। তবে শনিবার রাতের তাপমাত্রা সামান্য বাড়তে পারে এবং পরদিন রোববার দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিন তাপমাত্রা বাড়তে পারে।
নীলফামারীর ডোমারে উপজেলা পরিষদ নির্নাচনে ফলাফল ঘোষণার সময়ে হামলার ঘটনায় মামলা হয়েছে। এ সময় চেয়ার টেবিল ও বিভিন্ন আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়।
শুক্রবার (১০) এপ্রিল সকালে মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহাসীন আলি। এরআগে উপজেলা নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক ফারুক হোসেন বাদী হয়ে ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে ডোমার থানায় মামলা করেন।
গত বুধবার (৮ মে) রাত ৯টার দিকে ডোমার উপজেলা পরিষদের হল রুমে পরাজিত আনারস প্রতীকের প্রার্থী তোফায়েল আহমেদের ছোট ভাই মনজুর আহমেদ ডনের নেতৃত্বে উপজেলা পরিষদের হলরুমের চেয়ার–টেবিল, দরজা–জানালাসহ আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং বিজয়ী প্রার্থীর সমর্থক ও সাংবাদিকদের উপর হামলার ঘটনা ঘটে।
পরে রাত ১১টার সময় নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা, উপজেলা প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা নুর-ই আলম ভোটের ফলাফল ঘোষণা করেন। এতে ৩১ হাজার ৪২১ ভোট পেয়ে সরকার ফারহানা আকতার সুমি (টেলিফোন) বেসরকারিভাবে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী তোফায়েল আহমেদ (আনারস) ২৩ হাজার ১৩৪ ভোট পান। ফল ঘোষণার পর পরাজিত প্রার্থীর সমর্থকরা উপজেলা পরিষদের মূল ফটকে আবারও হট্টগোলের সৃষ্টি করেন। এ সময় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে প্রায় ২০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছোড়ে পুলিশ।
এ বিষয়ে ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহশীন আলী বলেন, গতকালকের ঘটনায় রাতেই মামলা হয়েছে। নির্বাচন অফিসের অফিস সহকারী বাদী হয়ে মামলাটি করেছেন। মামলায় ৭০০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। আমরা সব কিছু তদন্ত করছি। যারা জড়িত ছিল সবাইকে আইনের আওতায় আনা হবে। ইতোমধ্যে ৫ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।