কোরবানির ঈদের এখনো দেড় মাস বাকি। অথচ সব ধরনের মসলার দাম বেড়েছে বলে ক্রেতাদের অভিযোগ। তবে এখনো স্বাভাবিক আছে জিরার দাম। ক্রেতারা বলছেন মূলত সামনে কোরবানি ঈদকে কেন্দ্র করে অসাধু ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে মসলার দাম বাড়িয়েছে। অন্যদিকে ব্যবসায়ীরা বলছেন এখনো বাড়েনি মসলার দাম। তবে চাহিদার তুলনায় যোগান কম এবং ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে মসলার দাম বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে। ব্যবসায়ীদের ধারণা ঈদের আগে দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাবে।
শুক্রবার ( ১০ মে ) সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজার ঘুরে দেখা গেছে এমন চিত্র।
খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, মাছ মাংস শাক সবজি মসলাসহ সকল পণ্য গত সপ্তাহের তুলনায় বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। তবে মাংসের দাম ছিলো অপরিবর্তিত। প্রতি কেজি গরুর মাংস ৭৮০/৮০০ টাকা, আর খাসির মাংস বিক্রি হচ্ছে ১১০০ টাকা কেজি। এছাড়া রয়েছে ব্রয়লার মুরগি, সোনালী মুরগি। তবে দেশি মুরগির দাম আকাশছোঁয়া। প্রতি কেজি দেশি মুরগি বিক্রি হচ্ছে ৬৬০/ ৭০০ টাকা কেজি।
মসলার বাজারে দেখা গেছে প্রতি কেজি জিরা আগের দামে পাওয়া যাচ্ছে। প্রতি কেজি জিরা ৭০০ কেজি, দারচিনি ৫৫০, এলাচ ৩৬০০,লং ১৮০০, কালো জিরা, ৩৪০,গোল মরিচ ১২৫০, এছাড়া সাদা গোল মরিচ ১৩০০ টাকা কেজি, জায়ফল ১৪০০, জয়ত্রী ৩৬০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি।
মাছের বাজারেও ছিলো বাড়তি দামের প্রভাব। গত সপ্তাহের তুলনায় মাছের দাম কেজি প্রতি ৩০ থেকে ১০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে বলে অভিযোগ ক্রেতাদের। বাজার ঘুরে দেখা যায়, প্রতি কেজি টেংরা মাছ বিক্রি হচ্ছে ৬৫০ টাকা, নদীর গুলশা ৭০০ টাকা, মাঝারি মাপের চিংড়ি ৮০০ টাকা , কাচকি মাছ ৬০০ টাকা, রুই মাছে ৪৫০ টাকা, কাতল ৪৮০ টাকা, কৈ ২৬০ টাকা, শিং ৬০০ টাকা, তেলাপিয়া ১৮০ টাকা, সরপুটি ২২০ টাকা আর পাঙ্গাশ মাছ বিক্রি হচ্ছে ২৬০ টাকা কেজি দরে।
এদিকে সবজির দামেও অস্বস্তিতে রয়েছেন ক্রেতারা । আজ প্রতি কেজি করল্লা বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি , ঢেড়স ৮০টাকা, পটল-১২০টাকা, টমেটো-৮০, শসা ১০০ টাকা, জালি কুমড়া ১২০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া ৮০ টাকা। এছাড়া প্রতি আঁটি লালশাক ৩০ টাকা, পাটশাক ২০ টাকা , পুঁইশাক ৫০ টাকা, মুলাশাক ২০ টাকা, ফুলকপি প্রতি পিছ ৮০ টাকা, লেবু হালি ৪০ টাকা , আলু ৫০ টাকা আর পেঁয়াজ ৭০ টাকা কেজি। এছাড়া রসুন ছোট সাইজ ২২০ টাকা, রসুন বড় ২৪০ টাকা, আদা ২২০ টাকা কেজি।
কারওয়ান বাজারে বাজার করতে আসা হাফিজ জানায়, 'কদিন আগেও মসলার দাম কিছুটা কম ছিলো। কিন্তু এখন মনে হচ্ছে আগের থেকে কিছু দাম বেশি চাইছে ব্যবসায়ীরা। যদিও আমাদের তেমন মসলা লাগেনা সারাবছর। শুধু ঈদের আগে মসলা কেনা হয় বা কোন অনুষ্ঠান হলে কিনি।'
এদিকে ব্যবসায়ী বাপ্পি জানান, 'কোন মসলার দাম বাড়েনি। আগের দামই সব বিক্রি করছি। ক্রেতাদের অভিযোগ সবসময়ই থাকে। এগুলো শুনে লাভ নেই। তবে ঈদের আগে চাহিদা বাড়াতে পারে তখন কিছুটা দাম বাড়াতে পারে।'