দৈনিক আক্রান্ত হাজার ছাড়াল, শনাক্তের হার ১৩.৩০

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস


স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, ঢাকা
দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়াল, শনাক্তের হার ১৩.৩০ শতাংশ

দৈনিক শনাক্ত হাজার ছাড়াল, শনাক্তের হার ১৩.৩০ শতাংশ

  • Font increase
  • Font Decrease

ফের করোনার প্রকোপ বাড়ছে। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের হার। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে এক হাজার ১৩৫ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ৫৯ হাজার ২০৯ জনে। শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। 

বুধবার (২২ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনায় একজনের মৃত্যু হয়েছে। ফলে মোট মারা যাওয়ার সংখ্যা বেড়ে ২৯ হাজার ১৩৪ জনে দাঁড়িয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ৮ হাজার ৫৩৬টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৩০ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৭৫ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১২২ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৯ লাখ ৬ হাজার ১০৫ জন।

   

২৪ ঘণ্টায় ২২ জনের দেহে করোনা শনাক্ত



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২২ জনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে মোট আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২০ লাখ ৫০ হাজার ১৩৪ জনে। এ সময়ে করোনায় আক্রান্ত হয়ে কারো মৃত্যু হয়নি। ফলে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ২৯ হাজার ৪৯৪ জনে অবস্থান করছে।

শুক্রবার (১০ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে পাঠানো করোনা বিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১০ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২০ লাখ ১৭ হাজার ৬০৭ জন।

গত ২৪ ঘণ্টায় পরীক্ষা করা হয় ৫৯৬ জনের নমুনা। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্তের হার ৩ দশমিক ৬৯ শতাংশ। মহামারির শুরু থেকে এ পর্যন্ত মোট শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ০৬ শতাংশ।

উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৮ মার্চ দেশে প্রথম ৩ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ওই বছরের ১৮ মার্চ দেশে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে প্রথম একজনের মৃত্যু হয়।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

টাঙ্গাইলে ধান ক্ষেত থেকে নারীর মরদেহ উদ্ধার



ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, টাঙ্গাইল
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

টাঙ্গাইলের নাগরপুরে বারাপুষা গ্রামে অঞ্জনা বেগম (৪৩) নামের এক নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছে নাগরপুর পুলিশ।

তিনি নাগরপুর উপজেলার বেকড়া ইউনিয়নের বারাপুষা গ্রামের নজরুল ইসলামের স্ত্রী।

শুক্রবার (১০ মে) সকালের দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

এ বিষয়ে অঞ্জনা বেগমের স্বামী নজরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার সকালে অঞ্জনা তার বাবার বাড়ি যাবে বলে বাড়ি থেকে বের হন। তারপর থেকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

স্থানীয়রা একটি মরদেহ ধান ক্ষেতে দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এইচ এম জসিম উদ্দিন জানান, উদ্ধারকৃত মরদেহটিতে কোন প্রকার আঘাতের চিহ্ন নেই। মরদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য টাঙ্গাইল শেখ হাসিনা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে তার মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

মিরসরাইয়ে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী মুয়াজ্জিনের মৃত্যু



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট,বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রামের মিরসরাই মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসের ধাক্কায় হাফেজ সাইফুল ইসলাম (৪০) নামে মোটরসাইকেল আরোহী এক মুয়াজ্জিনের মৃত্যু হয়েছে।

শুক্রবার (১০ মে) সকাল ১১টার দিকে উপজেলার নয়দুয়ারিয়া এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহত হাফেজ সাইফুল ইসলাম উপজেলার সাহেরখালী ইউনিয়নের পূর্ব সাহেরখালী গ্রামের নুর আহমদের ছেলে। তিনি খৈইয়াছড়া ইউনিয়নের মসজিদিয়া গ্রামের চৌধুরী পাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিনের দায়িত্বে ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে চট্টগ্রামমুখী লেনে একটি জোনাকি পরিবহনের বাস একটি চলন্ত মোটরসাইকেলকে পেছন থেকে ধাক্কা দেয়। এ সময় মোটরসাইকেল আরোহী ঘটনাস্থলে মারা যায়।

কুমিরা হাইওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক আলমগীর হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, চট্টগ্রামমুখী লেনে বাসের ধাক্কায় এক মোটরসাইকেল আরোহী এক ব্যক্তির মৃত্যুর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে হাইওয়ে পুলিশের একটি টিম পাঠিয়েছি। লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। বাসটি থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

 

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;

সম্পত্তির লোভে স্বামীকে হত্যার অভিযোগ স্ত্রীর বিরুদ্ধে



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট বার্তা২৪.কম কুষ্টিয়া
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

সম্পত্তির লোভ এবং চাকরি শেষে প্রভিডেন্ট ফান্ড ও পেনশনের টাকা আত্মসাৎ করতেই ষড়যন্ত্র করে স্বামীকে বিষপানে হত্যার অভিযোগ উঠে স্ত্রীর বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় তার তিন সন্তান ও জামাইয়ের সম্পৃক্ততা রয়েছে বলেও অভিযোগ উঠেছে।

নিহত রবিউল ইসলাম (৪৯) কুষ্টিয়ার কুমারখালি উপজেলার বাগুলাট ইউনিয়নের বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত: সদর উদ্দিনের ছেলে। সে একই উপজেলার বাঁশগ্রাম সাব পোষ্ট অফিসের পোষ্ট মাস্টার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

এসব বিষয় নিয়ে শুক্রবার (১০ মে) সকালে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিহত পোস্ট মাস্টার রবিউল ইসলামের পরিবার। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রবিউল ইসলামের মা মোছা: রোকেয়া খাতুন।

সংবাদ সম্মেলনে রোকেয়া খাতুন বলেন, প্রায় ৩০ বছর আগে কুমারখালী উপজেলার বানিয়াখড়ি গ্রামের মৃত আদিল উদ্দিন শেখের মেয়ে মোছা: মাহফুজা আক্তার রুলির সাথে বিয়ে দেন তার একমাত্র সন্তান মো: রবিউল ইসলামকে। বিয়ের পর থেকেই রুলি তার সন্তানকে শারীরিক ও মানুষিকভাবে নির্যাতন করতো। দাম্পত্য জীবনে তিন সন্তান ও এক জামাই ছিল। সম্পত্তির লোভে প্রায়ই স্ত্রী, সন্তান ও জামাই রবিউলকে নির্যাতন করতো প্রতিনিয়ত।

নির্যাতনের ধারাবাহিকতায় গত ৪মে রাত আটটার দিকে আমার ছেলে রবিউল ইসলামের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), তার বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা: সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মিলন হোসেন প্রথমে নিজ বাড়ির ছাদে রবিউলকে ব্যাপক মারপিট করে এবং পরে ধানক্ষেতে দেওয়া কীটনাশক জোর করে রবিউলের মুখের মধ্যে দিয়ে দেয় তার স্ত্রী সন্তান ও জামাইরা মিলে। বিষপানের পর রবিউলের গোংড়ানি শুনে তিনি প্রতিবেশীদের সহায়তায় তার ছেলেকে উদ্ধার করে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করেন। সেখানে রবিউলের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ৫মে সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে ছেলের মৃত্যু হয়।

তিনি আরো বলেন, সম্পত্তির লোভে এবং পোস্ট অফিসে চাকরি শেষে সব টাকা নিজের করতেই নানান ফন্দি আঁটে এবং ষড়যন্ত্র করে স্ত্রী, সন্তান, জামাই। এভাবেই স্ত্রীর সহযোগীরা মিলে তার ছেলে রবিউলকে হত্যা করেছে। মৃত্যুর আগে রবিউল তার ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাসে লিখে গেছে ' আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী রুলি, ঋতু, বন্ধন, সেতু, মিলন, বেলি। এরআগেও নিজ বাড়ীর দোতলার ছাদ থেকে ফেলে দেওয়ারও অভিযোগ তোলেন। 'তিনি আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির প্রত্যাশায় থানায় মামলা করেছেন।

এদিকে এ ঘটনায় রোকেয়া খাতুন ৫ মে রবিউলের স্ত্রী মোছা. মাহফুজা আক্তার রুলি (৪৫), স্ত্রীর বড় বোন মোছা. বেলী খাতুন ( ৫৫), ছেলে মো. বন্ধন হোসেন (২০), মেয়ে মোছা. সেতু খাতুন (২৫) ও ঋতু খাতুন (১৫) এবং জামাই মো. মিলন হোসেনের (৩৩) বিরুদ্ধে কুমারখালী থানায় আত্মহত্যার প্ররোচনা দেওয়ার অপরাধে মামলা করেন।

মামলায় ঘটনার দিন রাতেই স্ত্রী রুলিকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। অন্যান্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। তাঁদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

জানতে চাইলে রবিউলের চাচাতো বোন ফারজানা আক্তার জানান, রবিউল ও রুলি সম্পর্কে মামাতো - ফুফাতো ভাই - বোন ছিল। ৩০ বছর আগে পারিবারিকভাবে তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই রুলি শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতন করত। একপর্যায়ে ২০০১ সালে রুলি আদালতে রবিউলের বিরুদ্ধে যৌতুক ও নির্যাতনের মামলা করেছিল। কিন্তু রবিউল ও স্বজনরা চাকুরি হারানোর ভয়ে তা মিটমাট করে নিয়েছিল। তবুও নির্যাতন থামেনি কোনোদিন।

এঘটনায় রবিউলের স্ত্রী জেলহাজতে এবং জামাই ও সন্তানেরা পলাতক থাকায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা কুমারখালী থানার উপ পরিদর্শক সুব্রত বিশ্বাস ফোনে জানান, আত্মহত্যার প্ররোচনা মামলায় স্ত্রীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে। তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে পরে।

  বাংলাদেশে করোনাভাইরাস

;