‘সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে’



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, কুষ্টিয়া
মেধা-দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে

মেধা-দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হবে

  • Font increase
  • Font Decrease

কুষ্টিয়ার পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকিব বলেছেন, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় কৃতি শিক্ষার্থীরা মেধা ও দক্ষতায় বিকশিত হয়ে নিজের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখতে সক্ষম হতে হবে। তোমরা নিজের ও পরিবারের উন্নয়নে কাজ করবে এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রত্যয় নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।

বুধবার (২৭ মার্চ) সকালে কুষ্টিয়া পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সন্তানদের মধ্যে যারা ২০২২ সালে অনুষ্ঠিত এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়েছেন, সেসব মেধাবী শিক্ষার্থীদের ‘বাংলাদেশ পুলিশ মেধাবৃত্তি-২০২২’ প্রদানকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে বলেন, ‘দেশের নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা নিশ্চিত করা বাংলাদেশ পুলিশের গর্বিত সদস্যগণের কৃতি সন্তান হিসেবে তোমাদেরকে ভবিষ্যতে আরও কৃতিত্ব অর্জন করতে হবে। বাবা-মার স্বপ্ন বাস্তবায়নে, কঠোর পরিশ্রম ও সাধনা করতে হবে।’

এসময় তিনি সবার উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ কামনা ও সর্বাঙ্গীন মঙ্গল কামনা করেন।

এই সংবর্ধনা শিক্ষার্থীদের মাঝে আরও বেশি করে পড়াশোনার প্রতি আগ্রহ তৈরিতে ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে শিক্ষার্থীরা আগামী দিনের জন্য উজ্জীবিত ও প্রস্তুত হবে বলে মনে করেন তিনি। শিক্ষার্থীরা নিজ নিজ ক্ষেত্রে সফলতার চূড়ান্ত শিখরে অবস্থান করবে বলেও অনুষ্ঠানে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে শিক্ষার্থীদের মাঝে মেধাবৃত্তির ক্রেস্ট, সার্টিফিকেট ও সম্মানী তুলে দেওয়া হয়।

প্রসঙ্গত, এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ৯ জন ও এইচএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত ১ জন মোট ১০ জনকে এই মেধাবৃত্তি প্রদান করা হয়।

   

চট্টগ্রাম নগরে চোলাই মদসহ তিনজন আটক



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রাম নগরে চোলাই মদসহ তিনজন আটক

চট্টগ্রাম নগরে চোলাই মদসহ তিনজন আটক

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন পুরাতন ফিশারী ঘাট এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ চোলাই মদসহ ৩ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে র‌্যাব-৭।

গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল শুক্রবার (২৬ এপ্রিল) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের আাটক করা হয়।

আটককৃতরা হলেন, বিকাশ দাস (৩৭), আব্দুল মান্নান (৫০) ও মো. জসিম উদ্দিন (৫২)।

র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার জানান, কোতোয়ালী থানার ইকবাল রোড পুরাতন ফিশারী ঘাট এলাকার একটি টিনশেড ঘরের ভিতরে মাদকদ্রব্য মজুদ করে বিক্রয় করছে। এসময় দৌঁড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টাকালে র‌্যাব সদস্যরা বিকাশ দাস, আব্দুল মান্নান ও মো. জসিম উদ্দিনকে আটক করে।

তিনি আরও জানান, এসময় ১৮টি বস্তার মধ্যে ২০০টি প্লাস্টিকের বোতলে রক্ষিত অবস্থায় সর্বমোট ৩৫০ লিটার চোলাই মদ উদ্ধারসহ করা হয়। আটককৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন যাবৎ বিভিন্ন কৌশলে মাদকদ্রব্য স্বল্প মূল্যে সংগ্রহ করে মজুদ করে পরবর্তীতে নগরের বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদক সেবনকারীদের নিকট অধিক মূল্যে বিক্রয় করে আসছে। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্যের আনুমানিক মূল্য ২ লাখ টাকা। আটককৃতদের পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নগরের কোতোয়ালী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

;

'ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলেই আইনগত ব্যবস্থা'



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বন্ধে জনসচেতনতামূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ করেছে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশ। এসময় ট্রেন ভ্রমণে অজ্ঞান পার্টি ও মলম পার্টি থেকে সতর্ক থাকা, রেলক্রসিং ও রেললাইন পারাপারে সতর্কতার বিষয়েও সচেতন করা হয়।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) বিকেলে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া রেলস্টেশনে এই বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে রেলওয়ে এলাকায় বসবাসরত বাসিন্দাদের কাছে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমনে সহযোগিতা কামনা করেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে জেলার পুলিশ সুপার প্রকৌশলী মোহাম্মদ হাছান চৌধুরী।

রেল এলাকায় কোন দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে সে বিষয়ে সবাইকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ দেন হাছান চৌধুরী।

তিনি বলেন, 'রেলওয়ে পুলিশ স্টেশনগুলোতে সিসিটিভি বসিয়েছে নিরাপত্তা জোরদারের জন্য। ইদানিং এই এলাকাগুলোতে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ বেড়ে গেছে। এ বিষয়ে এখন থেকেই সচেতন হতে হবে। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ করলেই পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে।'

রেলওয়ে আইন অনুযায়ী চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ একটি দণ্ডনীয় অপরাধ উল্লেখ করে পুলিশ সুপার বলেন, 'এ দেশ আমার আপনার। আপনাদের সবাইকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থাকতে হবে।'

সমাবেশ শুরুর আগে প্লাটফর্মের ফুটওভারব্রীজে ঝুকিপূর্ণভাবে চালানোর অভিযোগে সাতকানিয়া রেলস্টেশনের প্লাটফর্ম থেকে আটটি সাইকেল আটক করা হয়।

সমাবেশে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের পাশাপাশি স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, ইউপি সদস্য, সাতকানিয়া রেলস্টেশন মাস্টার রতন দাশ, স্টেশন সংলগ্ন এলাকার মানুষ, রেলওয়ের বিভিন্ন কর্মকর্তা, কর্মচারী, স্থানীয় দোকানি ও স্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষমাণ যাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।

সমাবেশ থেকে চলন্ত ট্রেনে পাথর নিক্ষেপ না করার পাশাপাশি রেললাইন ও রেলক্রসিং দেখে শুনে পারাপার, ফুটওভার ব্রিজ ব্যবহার এবং মাদকদ্রব্য চোরাচালান, চেইন পুলিং ও ট্রেনের ছাদে ভ্রমণ না করতে উপস্থিত সবাইকে অনুরোধ করা হয়।

;

‘চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালু রেলওয়ের এক নম্বর অগ্রাধিকার’



স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম, চট্টগ্রাম ব্যুরো
রেলওয়ের ডিজি সরদার সাহাদাত আলী

রেলওয়ের ডিজি সরদার সাহাদাত আলী

  • Font increase
  • Font Decrease

চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নিয়মিত ট্রেন চালুর বিষয়টি রেলওয়ের এক নম্বর অগ্রাধিকার বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির নতুন মহাপরিচালক (ডিজি) সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেছেন, আমরা নীতিগতভাবে একমত; চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন দিতে হবে। এটা এক নম্বর প্রায়োরিটি। এই রুটে ট্রেন চালুর প্রশ্নে আমাদের কোনো না নেই।

শনিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে নগরীর সেন্ট্রাল রেলওয়ে বিল্ডিংয়ের (সিআরবি) সম্মেলন কক্ষে চট্টগ্রামের সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় এ কথা বলেন রেলের মহাপরিচালক।

মহাপরিচালকের দায়িত্ব নেওয়ার পর প্রথমবার চট্টগ্রাম সফরে এসেছেন সরদার সাহাদাত আলী। এ সময় তিনি রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।

রেলওয়ের মহাপরিচালক আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চালুর দাবি বিবেচনায় নিয়েই টাইম-টেবিলে দুটি ট্রেন রাখা হয়েছে। কিন্তু আমাদের নিজস্ব কিছু হিসাব-নিকাশ আছে। দৈনিক কত যাত্রী যায়, আমরা কয়টা ট্রেন চালাতে পারি-এসব। আমরা জানি এই রুটে ট্রেন চালু হলে মানুষের কষ্ট কম হবে। রেলওয়ের রাজস্ব আয়ও বাড়বে। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে জনবল ও ইঞ্জিন সংকট।

রেলওয়ের সংকট তুলে ধরে সরদার সাহাদাত আলী বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে আমরা ট্রেন চালাতে পারব। সেক্ষেত্রে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের কনটেইনারবাহী একটি ট্রেন কম চালাতে হবে। কারণ হচ্ছে- আমার ইঞ্জিন আছে, বগি আছে, কিন্তু চালক নেই। আমরা নিয়োগ দিচ্ছি-কিন্তু অনেকে চাকরি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। এটা বড় সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই সমস্যা সমাধানে প্যানেল সিস্টেম চালু করা হচ্ছে। চুক্তিতেও পুরোনো লোকদের নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে। তবুও সহজে সমাধান মিলছে না।

চট্টগ্রামের কালুরঘাট সেতু নিয়ে গত কয়েক বছরে কম কথা হয়নি। তবে সেতুটি শিগগির হবে বলে আশার কথা জানিয়েছেন রেলওয়ের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, কালুরঘাট সেতুর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্প্রতি আমরা দাতা সংস্থার সঙ্গে বৈঠক করেছি। সেতুর জন্য ১২ হাজার কোটি টাকার মতো লাগবে। সরকারি অর্থায়ন (জিওবি) থেকে আসবে ৪ হাজার কোটি টাকা। বাকি টাকা দেবে দাতা সংস্থা। কোরিয়ান এক্সিম ব্যাংক কথা দিয়েছে। তারা আগামী জুনে সরকারের সঙ্গে ঋণচুক্তি করতে চায়। এটি হয়ে গেলে আমরা কালুরঘাট সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করব।

পরিকল্পনা আর কাজের মধ্যে সমন্বয়হীনতার কথা স্বীকার করে রেলওয়ের এই শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, নানা কারণে সমন্বয়টা অনেক ক্ষেত্রে হয়নি। এর কারণ হচ্ছে-আমরা অবকাঠামো এবং রোলিং স্টক নিয়ে কাজ করি। দুটো কাজ যখন সমান্তরালভাবে হয় না, দুটোর মধ্যে যখন গ্যাপ থেকে যায়, তখন সমস্যা হয়। দেখা যায়-আমার লাইনগুলো চালাতে পারছি না।

তবে এই সমস্যার জন্য রেলওয়ের কোনো দোষ নেই বলে দাবি করেন সরদার সাহাদাত আলী। তিনি বলেন, আমাদের প্রকল্পগুলো কিন্তু প্রায় বিদেশি দাতা সংস্থার ফান্ডিংয়ে হয়। দেখা গেল- অবকাঠামোর ক্ষেত্রে ফান্ডিং পেলাম-কিন্তু রোলিং স্টকে পেলাম না। তখন সমস্যাটা হয়। তবে আমরা কাজ করছি। রানিং প্রজেক্টগুলো শেষ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।

;

উপজেলা ভোট: নিরাপত্তায় ৫ দিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন



স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম
ছবি: বার্তা২৪.কম

ছবি: বার্তা২৪.কম

  • Font increase
  • Font Decrease

চার ধাপে অনুষ্ঠেয় ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন থাকবে।

উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে গত মঙ্গলবার নির্বাচন ভবনে অনুষ্ঠিত উচ্চপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সংক্রান্ত বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে কমিশনের একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

বৈঠকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোয়েন্দা রিপোর্টে নির্বাচনের প্রথম ধাপে ৪৯টি উপজেলাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ভোট গ্রহণের দিন পরিস্থিতি অবনতি হতে পারে এমন তথ্য ইসিকে জানানো হয়। এসময় পরিস্থিতি মোকাবিলায় একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়।

সূত্র জানায়, আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সভায় চার ধাপের নির্বাচনে অনেক উপজেলায় আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী সংসদ সদস্যদের আত্মীয়-স্বজন প্রার্থী থাকায় পরিস্থিতি অবনতির আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়। এছাড়া অনেক জায়গায় নিজেদের মধ্যে কোন্দল নিয়েও আলোচনা করা হয়।

গোয়েন্দা রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশেষ করে ভোটকেন্দ্রের নিরাপত্তা নিয়ে একাধিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, সাধারণ ভোট কেন্দ্রে নিরাপত্তায় তিনজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৬ জন, ঝুঁকিপূর্ণ্য কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ থেকে ১৮ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হবে। পার্বত্য ও দুর্গম এলাকার সাধারণ কেন্দ্রে চারজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৭ জন এবং ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে পাঁচজন অস্ত্রধারী পুলিশসহ ১৮-১৯ জন নিয়োজিত করা হবে।

এছাড়া নির্বাচনী এলাকায় শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষার্থে পাঁচদিন মোবাইল স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে দায়িত্বপালনের জন্য বিজিবি, কোস্টগার্ড, র‍্যাব, পুলিশ ও আর্মড পুলিশ মোতায়েন করা হবে। প্রতিটি উপজেলার ইউনিয়ন, পৌরসভার সংখ্যা, আয়তন, ভোটার সংখ্যার ভিত্তিতে মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্সের সংখ্যা নির্ধারিত হবে। মোবাইল ও স্ট্রাইকিং ফোর্স ভোটগ্রহণের পূর্ববর্তী ২ দিন, ভোটগ্রহণের দিন ও ভোটগ্রহণের পরবর্তী ২ দিন মোট ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে।

এসময় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হলে তা সমন্বয়ের জন্য একটি টিম গঠন করা হবে। নির্বাচনী এলাকায় মোতায়েনকৃত আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট রিপোর্ট করবে এবং জেলা ম্যাজিস্টেটের সিদ্ধান্ত ও পরামর্শক্রমে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে। রিটার্নিং অফিসারের চাহিদা অনুযায়ী জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশনাক্রমে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোবাইল টিম কাজ করবে।

পাশাপাশি ভোটের মাঠে প্রার্থীদের প্রচারণায় আচরণবিধি মানাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হবে বলে জানা গেছে। চার ধাপের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই ভোট গ্রহণের দিন পর্যন্ত প্রতি উপজেলায় একজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের সঙ্গে ভোটের আগে পরে পাঁচদিন নির্বাচনী এলাকায় অপরাধের তাৎক্ষণিক বিচারকার্য পরিচালনা করার জন্য প্রতি উপজেলায় একজন করে জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দেওয়া হবে।

নির্বাচন কমিশনের পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী চারধাপে ৪৭৭টি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রথমধাপে ১৪৮টি উপজেলা ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৮ মে। দ্বিতীয় ধাপে ১৫৯টিতে ২১ মে, তৃতীয় ধাপে ১১২টিতে ২৯ মে এবং চতুর্থ ধাপে ৫৫টিতে ৫ জুন ভোট হবে।

;