মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ। তিনি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় স্বাস্থ্যসেবা প্রদানকারী ডাক্তার, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী এবং মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশেষ স্বাস্থ্যবীমার ঘোষণা দিয়েছেন। করোনার বিরুদ্ধে যে যুদ্ধ চলছে, ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা সেই যুদ্ধের ফ্রন্টলাইন ফাইটার। প্রধানমন্ত্রী জানেন, এই ফাইটারদের উজ্জীবিত রাখতে হবে। তাদের মধ্যে নিরাপত্তা বোধ তৈরি করতে হবে।
পদমর্যাদা অনুযায়ী ৫ থেকে ১০ লাখ টাকার স্বাস্থ্যবীমা দেয়া হবে। পাশাপাশি কর্তব্য পালনকালে কেউ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে তার চিকিৎসার দায়িত্ব নেবে সরকার। দায়িত্ব পালনকালে কেউ মারা গেলে বীমাটি পাঁচগুণ বাড়ানো হবে। বীমার পাশাপাশি এই সময়ে দায়িত্ব পালনকারী ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানী দেয়ার কথাও জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
তবে প্রণোদনার পাশাপাশি যেসব ডাক্তার ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেননি বা পালিয়ে গেছেন, তাদের তীব্র ভর্ৎসনাও করেন প্রধানমন্ত্রী। কয়েকটি ঘটনা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যারা কাজ করেনি, নিজেদের সুরক্ষার জন্য পালিয়ে গেছে এবং যেখানে রোগীরা দ্বারে দ্বারে ঘুরে চিকিৎসা পায়নি, অন্য সাধারণ রোগীরাও চিকিৎসাসেবা বঞ্চিত হয়েছে, তাদের জন্য এই সম্মানী বা প্রণোদনা প্রযোজ্য হবে না। বরং ভবিষ্যতে তারা ডাক্তারি করতে পারবে কিনা সেটাই চিন্তা করতে হবে।
কাজ করার ক্ষেত্রে বিভিন্ন শর্তারোপকারীদের কঠোর সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাদের মধ্যে এতটুকু মানবতাবোধ নেই, তাদের শর্তারোপ করে কোনো কাজ করার দরকার নেই। আল্লাহ না করুন, দেশের তেমন খারাপ অবস্থা হয়ে গেলে প্রয়োজনে বিদেশ থেকে ডাক্তার, নার্স এনে চিকিৎসা করাতে হবে। কারণ, এই ধরনের দুর্বল মানসিকতা দিয়ে কোনো কাজ হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ডাক্তারদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। অনেকে স্বাস্থ্যবীমা এবং বিশেষ সম্মানীর ঘোষণায় খুশি। অনেকের আবার প্রধানমন্ত্রীর বকা খেয়ে মন খারাপ। তবে মন খারাপটা গিলে ফেলেই ডাক্তাররা কাজ করে যাচ্ছেন। আমি মনে করি, প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে ডাক্তারদের খুব মন খারাপ করার কিছু নেই। প্রধানমন্ত্রী ডাক্তারদের প্রশংসাই করেছেন। কিন্তু যারা দায়িত্ব পালন করেননি, রোগী ফেলে সত্যি সত্যি পালিয়েছেন; সুনির্দিষ্টভাবে সেই সব ডাক্তারের জন্যই প্রধানমন্ত্রী কঠোর হয়েছেন। সেটা হওয়াই উচিত। বরং সাধারণভাবে ডাক্তারদের প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণায় খুশিই হওয়ার কথা। কারণ প্রধানমন্ত্রী ঢালাও বকা দেননি। তিনি সুনির্দিষ্ট ঘটনার কথা উল্লেখ করে যারা দায়িত্ব পালনে অবহেলা করেছেন, তাদের নামের তালিকা করতে বলেছেন। কেউ যদি দায়িত্ব পালন না করেন, তিনি শাস্তি পাবেন, এটা নিয়ে মন খারাপ করার কিছু নেই। বরং এ ধরনের ডাক্তারদের আলাদা করা গেলে ঢালাও অভিযোগের সুযোগ কমে যাবে।
প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী এরই মধ্যে অ্যাকশন শুরু হয়েছে। করোনা রোগীকে চিকিৎসা দিতে অনীহা প্রকাশ এবং অনুপস্থিত থাকার অভিযোগে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ছয় ডাক্তারকে বরখাস্ত করা হয়েছে। আশা করি, সরকারের এই পদক্ষেপে সৎ ডাক্তাররা খুশি হবেন। করোনা রোগীদের যেমন টেস্ট করে আইসোলেট করতে হবে, কাপুরুষ ডাক্তারদেরও তেমনি শাস্তি দিতে হবে। ভালো কাজ করলে পুরস্কার, খারাপ করলে তিরস্কারের ব্যবস্থা না থাকলে কেউ কাজ করতে অনুপ্রাণিত হয় না।
প্রধানমন্ত্রী ভুল কিছু বলেননি। তারপরও আমার মনে হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী অত কড়া না হলেও পারতেন। এই দুঃসময়ে ডাক্তারদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে তারা আরেকটু মমতা ডিজার্ভ করেন। তবে শাসন করা তারই সাজে সোহাগ করেন যিনি। এটা তো মানতেই হবে শেখ হাসিনাই বাংলাদেশে ডাক্তারদের সবচেয়ে বেশি মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি নিজে ১০ টাকার টিকেট কেটে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়ে রেখেছেন, যত অসুস্থই হন, তাকে যেন কখনো এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তোলা না হয়। দেশের চিকিৎসা ব্যবস্থার হাজার সংকট সত্ত্বেও তাদের ওপর অতীতে কেউ এতটা আস্থা রাখতে পারেননি।
আমি আবারও বলছি, শেখ হাসিনা এই সময়ে এতটা কঠোর না হলেও পারতেন। কিন্তু তার একটু বকায় যেন অভিমান করে আমার ডাক্তার বন্ধুরা পিছিয়ে না থাকেন। আমি জানি, তারা যুদ্ধের ময়দানে পিছিয়ে থাকবেনও না। আরেকটা কথা, আমার মনে হয়েছে, যারা প্রধানমন্ত্রীকে তথ্য দিয়েছেন, তারা পুরো চিত্রটা দেননি। করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি শুরুর পর থেকেই ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। ডাক্তার পালিয়ে গেছেন, এমন একটা ধারণা কীভাবে তৈরি হলো জানি না। কেউ কেউ নিশ্চয়ই পালিয়েছেন, তেমন ছয়জনকে তো বরখাস্তও করা হয়েছে। আর আমিও জানি দুয়েকজন ডাক্তার সত্যি পালিয়েছেন। চতুর ডাক্তারদের কেউ কেউ তুচ্ছ কারণে হোম কোয়ারেন্টাইন বা আইসোলেশনে চলে গেছেন। এটাও এক ধরনের পলায়নই বটে। তবে হাতে গোনা কয়েকজন ভীতু, কাপুরুষ, চতুর ডাক্তার দিয়ে হাজার হাজার ডাক্তারের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দিনরাতের পরিশ্রমকে অবমূল্যায়ন করা অন্যায় হবে।
করোনার সংক্রমণের শুরুতে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অব্যবস্থাপনার কারণে কিছু রোগীর চিকিৎসা না পাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে। তবে সেটা যতটা না ডাক্তারের ব্যক্তিগত অবহেলা, তার চেয়ে বেশি ভুল বোঝাবুঝি। প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ছাড়া একজন ডাক্তার কোনো করোনা রোগী বা সন্দেহভাজন কাউকে চিকিৎসা দেবেন না, এটাই নিয়ম এবং এটাই হওয়া উচিত। এমনকি কোনো সাহসী ডাক্তার যদি এটা করতে যান, তাকে ঠেকানো উচিত। কারণ একজন ডাক্তার হতে পারেন করোনাভাইরাসের সুপার স্প্রেডার। একজন ডাক্তার সংক্রমিত হলে দ্রুতই তিনি অনেককে সংক্রমিত করতে পারেন। তাই প্রয়োজনীয় সুরক্ষা ছাড়া করোনা বা সন্দেহভাজন রোগী দেখাটাও ঝুঁকিপূর্ণ।
ডাক্তাররা কিন্তু পিপিই ছাড়া আর কোনো শর্ত দেয়নি। যারা করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, তারা আলাদা হবেন, আলাদা থাকবেন। সারাদেশের সব ডাক্তার যদি মানবিক কারণে জ্বর-কাশি-শ্বাসকষ্টের রোগী দেখা শুরু করেন; তাহলে করোনাভাইরাস সারাদেশে ছড়াতে খুব বেশি সময় লাগবে না। এখন কোন কোন ডাক্তার করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেবেন, সেটা তো ডাক্তাররা ঠিক করবেন না, মন্ত্রণালয় ঠিক করে দেবে। ধরুন একজন অনেক সাহসী ডাক্তার করোনার জন্য প্রয়োজনে জীবন দিতে তৈরি। কিন্তু তিনি তো কোনো ভবনের ছাদ থেকে লাফ দিয়ে জীবন দেবেন না বা যে কোনো হাসপাতালে গিয়ে রোগী দেখা শুরু করবেন না। তাকে নির্দিষ্ট দায়িত্ব দিতে হবে। সেই পরিকল্পনার কাজ কিন্তু সরকারের। করোনার জন্য নির্ধারিত হাসপাতালগুলোতে যে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কাজ করছেন, এক পর্যায়ে তারা ক্লান্ত হয়ে যাবেন, তাদের বিশ্রাম লাগবে। তখন আরেক ব্যাচ তৈরি রাখতে হবে। সরকারি-বেসরকারি সব ডাক্তারের ডাটাবেইজ ব্যবহার করে করোনা চিকিৎসা দিতে উপযোগী ডাক্তারদের তালিকা তৈরি রাখতে হবে। যাতে চাইলেই পাওয়া যায়। কেউ যদি চিকিৎসা দিতে রাজি না হন, তখন তাকে বলা যাবে, বকা দেয়া যাবে, সাসপেন্ড করা যাবে, টার্মিনেট করা যাবে।
গত কদিনে আমার সাথে অনেক ডাক্তারের কথা হয়েছে। একজনও চিকিৎসা দেয়ার ব্যাপারে অনীহা দেখাননি। আমি জানি, এই কয়জন ডাক্তার দিয়ে সারাদেশের ডাক্তারদের মনস্তত্ব বোঝা কঠিন। কিছু ব্যতিক্রম থাকবেই। কিন্তু সাধারণভাবে ডাক্তাররা কখনোই বিপদে পিছিয়ে আসেন না। ডেঙ্গুর সময় তারা জীবন দিয়ে চিকিৎসা করেছেন। এবারও করছেন। এখন আমাদেরও তাদের পাশে থাকতে হবে। সাধারণ সময়ে ডাক্তারদের বিরুদ্ধে লেখার মত হাজারটা ঘটনা আমার কাছেই আছে, আগে লিখেছিও। প্রয়োজনে পরে আবার লিখবো। কিন্তু এখন সময় সেটা নয়, এখন সময় ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবিলার।
গত বৃহস্পতিবার রাতে এক ডাক্তার বন্ধু ফোন করলেন। তার গলা কান্নাভেজা। ভেবেছি দেশজুড়ে যেভাবে ডাক্তারদের মুন্ডুপাত হচ্ছে, সে কারণে বুঝি মন খারাপ। কিন্তু তিনি যেটা বললেন, তাতে আমারও মন খারাপ হয়ে গেল। সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজের এক সহকারী অধ্যাপক ও আইসিইউ বিশেষজ্ঞ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার আইসিইউ সাপোর্ট দরকার ছিল। কিন্তু এই আইসিইউ বিশেষজ্ঞ সিলেটে সেই সাপোর্ট পাননি। ঢাকায় আসার জন্য এয়ার অ্যাম্বুলেন্স তো দূরের কথা সরকারি অ্যাম্বুলেন্সও পাননি। ব্যক্তিগত চেষ্টায় তিনি একটা অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় এসেছেন। এসে কুর্মিটোলা হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। এই লেখা পর্যন্ত তিনি সংকটাপন্ন অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন। ওই চিকিৎসকই কিন্তু প্রথম নন, এর আগেও আরো অন্তত ১২ জন আক্রান্ত হয়েছেন। আইসোলেশনে আছেন অন্তত ৫০ জন। ডাক্তার পরিবারের সদস্যদের ধরলে সংখ্যাটা আরো বেশি হবে।
আমরা যাই বলি না কেন, যতই বকা দেই আর গালি দেই; ডাক্তাররা কিন্তু কাজ থামাননি। সংক্রমণের হারে ডাক্তাররাই এগিয়ে। নারায়ণগঞ্জে এক স্বাস্থ্যকর্মী মারাও গেছেন। কিন্তু আমরা তাদের গালি ছাড়া আর কী দিচ্ছি। ডাক্তারদের গাল দেয়ার সময় আমরা সবাই মুক্তকণ্ঠ। কিন্তু তাদের জন্য সিলেটের মত বিভাগীয় শহরে একটা আইসিইউর ব্যবস্থা করতে পারি না।
করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ডাক্তাররাই হলেন ফ্রন্টলাইনার। তারাই সবার আগে রোগীর কাছে আসেন। তাদের ঝুঁকিটাই সবচেয়ে বেশি। সারবিশ্বেই তারা সম্মানিত। সবাই তাদের স্যালুট জানান। ভারতের বিভিন্ন শহরে ডাক্তারদের জন্য ফাইভ স্টার হোটেল থেকে খাবার আসে। আর আমাদের দেশে কুয়েত মৈত্রী হাসপাতালের ডাক্তারদের রান্না করার লোক পালিয়ে যায়। ডাক্তাররা ঝুঁকিপূর্ণ, তাই তাদের বাসা ভাড়া দিতে চান না অনেকে, বাসা ছেড়ে দিতে বলেন। তাহলে কি আমরা আশা করবো ডাক্তাররা ফুটপাতে থেকে, না খেয়ে চিকিৎসা দেবেন?
আগেই বলেছি, গত কদিনে অনেক ডাক্তারের সাথে কথা হয়েছে। তারা চিকিৎসার জন্য তৈরি। তবে তারাও মানুষ, তাদেরও পরিবার আছে, তারাও ভয় পান। তাই জোর করে, ভয় দেখিয়ে, হুমকি দিয়ে, গালি দিয়ে কাজ হবে না। বরং গভীর মমতা নিয়ে ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মীদের পাশে দাঁড়াতে হবে, ভালোবাসা দিয়ে বোঝাতে হবে। তাদের মনোবল চাঙ্গা রাখতে হবে। কারণ তারাও মানুষ, মৃত্যু দেখে তারাও মানসিকভাবে দুর্বল হয়ে যেতে পারেন। গত সপ্তাহে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে ডাক্তারদের জন্য বিশেষ সেশনের আয়োজন করা হয়, যেখানে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ তাদের কাউন্সেলিং করেছেন, ছিল ইয়োগাও। ডাক্তাররা নিজেরাই নিজেদের চাঙ্গা রাখার চেষ্টা করছেন।
সময়টাই এমন, সব ভুলে আমাদের ডাক্তারদের পাশে দাঁড়াতে হবে। কারণ এখন তারাই আপনার যোদ্ধা। দেশের বাইরে থেকে ডাক্তার-নার্স এনে কিন্তু চিকিৎসা ব্যবস্থা চলবে না। দেশের ডাক্তার-নার্স-স্বাস্থ্যকর্মীরাই কিন্তু শেষ ভরসা। এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সার্ভিসও কিন্তু বন্ধ। গালি দেয়ার আগে ভাবুন, যত খারাপই হোক, শেষ নিঃশ্বাসের সময় পাশে কিন্তু শুধু ডাক্তারই থাকবে। ডাক্তারদের এই ত্যাগ, এই লড়াইকে সম্মান জানিয়ে নিউজ চ্যানেল এটিএন নিউজ ‘থ্যাংক ইউ ডাক্তার’ নামে একটি বিশেষ ক্যাম্পেইন শুরু করেছে। চ্যানেলটির প্রধান নির্বাহী সম্পাদক মুন্নী সাহার পরিকল্পনায় ৭ এপ্রিল বিশ্ব স্বাস্থ্য দিবসে শুরু হওয়া এই বিশেষ ক্যাম্পেইনে প্রতিদিন ঢাকা ও ঢাকার বাইরে যেসব ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন, তাদের ধন্যবাদ জানানো হয়। এটিএন নিউজের সাথে সুর মিলিয়ে আমরাও বলতে চাই- থ্যাংক ইউ ডাক্তার।
প্রভাষ আমিন: হেড অব নিউজ, এটিএন নিউজ