সময়টা ভালো যাচ্ছে না পৃথিবীর। অন্ধকারে নিমজ্জিত পুরো বিশ্ব। পৃথিবীর ১৮০ কোটি মানুষ আজ অবরুদ্ধ। অদৃশ্য বস্তুর কাছে আজ হার মেনেছে আধুনিক চিকিৎসাবিজ্ঞান। দীর্ঘদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও এখন পর্যন্ত আশার কোন আলো দেখাতে পারেনি তারা। মহাশক্তিধর রাষ্ট্রগুলোও আজ নিশ্চুপ।
করোনাভাইরাস নামক এক অচেনা অদেখা প্রাণঘাতী ভাইরাসের কাছে আজ আমরা বড় অসহায় হয়ে পড়েছি। অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রম আজ স্থবির। মুখ থুবড়ে পড়ে আছে বিশ্ব অর্থনীতি। কবে রেহাই পাবো তাও কেউ বলতে পারছে না। রাত যখন গভীর হয় তখন অদৃশ্য এক দু:স্বপ্ন চেপে বসে ঘুমের ঘোরে। নিস্তব্ধ পৃথিবীতে তখন মৃত্যু ছাড়া আর কিছুই ভাবার থাকে না। নিজেকে সৃষ্টিকর্তার কাছে আত্মসমর্পণ করা ছাড়া আর কোন পথই খোলা থাকে না।
মাঝে মাঝে গভীর রাতে ঝিঁ ঝিঁ পোকার ডাকে ঘুম ভেঙে গেলেও দুচোখে থাকে হতাশার চাপ। ভোরের সূর্যের আলোয় পৃথিবী আলোকিত হলেও আগের সেই প্রাণটা আর নেই।
আমরা কি আবার ফিরে যেতে পারবো আগের পৃথিবীতে? যেখানে মেঘের ভেলার ফাঁকে আকাশে দেখা দেবে এক অখণ্ড চাঁদ। আলো-আধাঁরির খেলায় আবার কি মেতে উঠবে পৃথিবী? খোলা আকাশে দেখা যাবে সহস্র তারার মেলা? ক্ষুদ্র জোনাকির আলোয় আবার কি ভরে উঠবে পৃথিবীর রূপ? দূর হবে মানবজাতির হিংস্র দানবিকতা?
এমন স্বপ্ন কি আমরা দেখতে পারি না? অবশ্যই পারি। আমরা স্বপ্নবাজ মানুষ। স্বপ্ন আমরা দেখবই। আমরা স্বপ্ন দেখি সেই পৃথিবীর যেখানে একটি মানুষও না খেয়ে মরবে না। আমরা স্বপ্ন দেখি সেই পৃথিবীর যেখানে থাকবে না কোন হিংসা-বিদ্বেষ আর অস্ত্রের ঝনঝনানি।
আমরা স্বপ্ন দেখি সেই পৃথিবীর যে পৃথিবীর সবাই হয়ে উঠবে মানবিক। আবার পৃথিবী ভরে উঠবে জোনাকির আলোয়। দেখা দেবে মেঘের ভেলার ফাঁকে এক অখন্ড চাঁদ। সব কিছু ভেদ করে দিন শেষে জয় হোক আমাদেরই- এমনটাই প্রত্যাশা সৃষ্টিকর্তার কাছে।
সোহেল মিয়া: স্টাফ করেসপন্ডেন্ট, বার্তা২৪.কম