রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড (হবিগঞ্জ) থেকে: রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ২ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়েছে। এতে দৈনিক ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহ হবে। এখন গ্যাস ফিল্ডটির উৎপাদন বেড়ে দাঁড়াল ৬৬ মিলিয়ন ঘনফুট।
রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রশিদপুর গ্যাস ফিল্ডের ২ ও ৯ নম্বর কূপ থেকে গ্যাস সরবরাহ আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মিজানুর রহমানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।
এর আগে, সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে (ওসমানী নগরের দয়ামীর) মেসার্স হাজী মাসহুদ আলী মডেল পেট্রোল পাম্প উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী।
সিলেট গ্যাস ফিল্ড কোম্পানি লিমিটেডের (এসজিএফসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. মিজানুর রহমান বলেন, কূপ-২ থেকে দীর্ঘদিন গ্যাস উত্তোলন বন্ধ ছিল। ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে উৎপাদন উপযোগী করা হয়েছে। ওই কূপ থেকে ৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস পাওয়া যাচ্ছে। ওয়ার্কওভারের মাধ্যমে এই পরিমাণে গ্যাস পাওয়ার নজির খুবই কম। অন্যদিকে ৯ নম্বর কূপটি নতুন সেখানে পাইপলাইন না থাকায় গ্যাস উত্তোলন করা যাচ্ছিল না।
রশিদপুর-৯ কূপে পাইপলাইন না থাকার কারণে গ্যাস উত্তোলন না করে ৫ বছর ধরে বসিয়ে রাখা হয়েছে। রশিদপুর-৭ নম্বর কূপ পর্যন্ত বিদ্যমান লাইনটি ব্যবহার অনুপযোগী বলে ১৭ কিলোমিটার পাইপলাইন প্রকল্প হাতে নেয় এসজিএফসিএল। বার্তা২৪.কমে একাধিক রিপোর্ট প্রকাশের পর ২০২২ সালের জুলাইয়ে হাইড্রো টেস্টে বিদ্যমান পাইপটি ব্যবহার উপযোগী বলে রিপোর্ট আসে। এরপর ৬ নম্বর কূপে বিদ্যমান লাইনে হুকিং করতে (রশিদপুর-৯) ১০ কিলোমিটার পাইপ লাইন স্থাপনের সিদ্ধান্ত হয়।
পেট্রোবাংলা সূত্র জানিয়েছে, ১৯৬০ সালে আবিষ্কৃত হয় রশিদপুর গ্যাস ফিল্ড। এখানে প্রমাণিত মজুদ ১০৬০ বিলিয়ন ঘনফুট, সম্ভাব্য রয়েছে ১৩৭৩ বিসিএফ, আরও সম্ভাবনাময় বিবেচনা করা হয় ৬৮০ বিসিএফ। উত্তোলন যোগ্য প্রমাণিত (১পি) ও সম্ভাব্য মিলে মজুদ ধারণা করা হয় ২৪৩৩ বিসিএফ। ২০২২ সালের ১ জানুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস ক্ষেত্রটি থেকে ৬৭৫ বিসিএফ গ্যাস উত্তোলন করা হয়েছে। অবশিষ্ট মজুদের পরিমাণ রয়েছে ১৭৫৭ বিএসএফ। বর্তমানে ৭ কূপ দিয়ে ৬৬.৩ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে। রশিদপুরে মোট ১১টি কূপ খনন করা হয়েছে, এর মধ্যে ৯টিতে গ্যাস পাওয়া গেছে।
প্রতিমন্ত্রী তিন দিনের সরকারি সফরে সিলেট অঞ্চলে এসেছেন, কয়েকটি গ্যাস ফিল্ডের কূপ খনন ও প্রসেস প্লান্ট পরিদর্শন, পাইপলাইনে গ্যাস সরবরাহ উদ্বোধনসহ একগুচ্ছ কর্মসূচি রাখা হয়েছে। ১৭ ফেব্রুয়ারি অনুসন্ধান কূপ কৈলাশটিলা-৮ খনন প্রকল্প পরিদর্শন, জালালাবাদ গ্যাস ট্রান্সমিশন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় পরিদর্শন, বঙ্গবন্ধু কর্নার ও প্রিপেইড মিটার প্রকল্পের ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করেন।