লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার (২০০৭) প্রতিযোগিতায় প্রথম রানারআপ হওয়ার পরেই পরিচিতি পান তিনি।
আলোচনায় আসেন বাংলালিংকের একটি বিজ্ঞাপনচিত্রে কাজ করে।
বিনোদন জগতের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে মাঝেমধ্যেই কথা বলেন ফারিয়া, সরাসরি।
চলতি বছরের প্রথমে কাস্টিং কাউচ নিয়ে মুখ খোলার পর বিতর্কের মুখেও পড়তে হয়েছে তাকে।
সেখানে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন ঘটনা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এখনও সরব।
উপস্থাপক আব্দুন নূর তুষার তো লিখেই ফেলেছেন-
..এএম-পিএম মানে আফটার মিডনাইট বলে যে প্রতিযোগিতার বিচারক, সেখানে মেয়েগুলোর দোষ না দিয়ে বের করেন এই দুরাবস্থার কারণ, এই শিক্ষা কে দিলো, কী দিলো দেশকে? যারা ওখানে যায় তারা অনেকেই এরকম হয়, হবে। পিৎজা হাট বড় বড় করে লিখে রেখেছে পিএইচডি মানে পিৎজা হাট ডেলিভারী। তাই এইচটুও মানে, হালিমের ২নং অফিস বললে, মেনে নিতে হতো।
মডেল এবং অভিনেত্রী ঈশিকা খান লিখেছেন-
আমি একটা উইশ করতে চাই, বাংলাদেশে যেন আর কোনোদিন সুন্দরী প্রতিযোগিতার আয়োজন করা না হয়।
লিখছেন আরও অনেকেই, কথা বলছেন বিভিন্ন মাধ্যমে।
তার প্রশ্ন-
আমরা কেন এই মেয়েগুলাকে নিয়ে হাসতেছি? ওদের কী দোষ? ওরা তো জেনেই আসছে যে ওদের চেহারাটাই আসল। ওদের কি শিক্ষাগত যোগ্যতা দেওয়া হয়েছিল নিবন্ধনের আগে? আমার এ নিয়ে সন্দেহ আছে। আর যদি না-ই দিয়ে থাকে, তবে ওদের কি গ্রুমিং করানো হয়েছে বা কারা ছিলেন যারা ‘হাউ আর ইউ’ বলার পর ‘আই এম ফাইন’টা পর্যন্ত বলা শেখায়নি?
এখানেই থামেননি ফারিয়া।
আয়োজকদের পাশাপাশি প্রশ্ন তুলেছেন বিচারকদের নিয়েও।
ফারিয়ার জিজ্ঞাসা-
এত আনস্মার্ট মেয়েরা কীভাবে ফাইনালিস্ট হয় মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশে? বিচারকেরা কীভাবে এদের এত দূর আনলেন? যতদূর জানি, প্রতিযোগিতায় অনেকগুলো রাউন্ড থাকে। তাহলে এতগুলো রাউন্ড কীভাবে এরা শেষ করে ফাইনালে আসলো?
ফারিয়া বলছেন-
এই দেশে সব সময় ক্ষমতারই মূল্যায়ন হয়, যোগ্যতার না। তাই এসব মেয়ে ওইটা জেনেই আসছে। ব্যর্থতা এসব সংগঠকদের, যারা এত বড় একটা প্ল্যাটফর্মকে কমেডি শো বানানোর সুযোগ করে দেয়।
এবারের চ্যাম্পিয়ন জান্নাতুল ফেরদৌস ঐশী।
সে যে চ্যাম্পিয়ন হবে, এটা ফিনাল শুরু হওয়ার আগে থেকেই জানতো সবাই।
গুঞ্জন ছিলো ভেতরে ভেতরে।
শেষ পর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হলো।
আরেকদফা বিতর্কিত হলো এই আয়োজন।