নির্মিত হচ্ছে কথাসাহিত্যিক শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘চরিত্রহীন’ উপন্যাস অবলম্বনে।
নির্মাতা দেবালয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলছেন-
দিস ইজ মাই টেক অন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের ‘চরিত্রহীন’। এত বছর ধরে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা লেখা রয়েছে। কিন্তু এটা নিয়ে বাংলায় কোনও ছবি হয়নি। আমার মনে হলো ওয়েবটাই সঠিক মাধ্যম যেখানে ইন্টারপ্রেট করতে পারবো। কিরণময়ী, সরোজিনী, সাবিত্রী, হারাণ- প্রধান চরিত্ররা সকলেই রয়েছে। এদের এই সময়ের প্রেক্ষাপটে খুঁজবো।
কিন্তু তার ক’দিন আগে, ২২ সেপ্টেম্বর ইউটিউবে মুক্তি পায় ‘চরিত্রহীন’-এর ট্রেলার।
আর তাতেই কেঁপে গেছে সব।
দর্শকরা বলছেন-
এটি শরৎচন্দ্রের গল্প? উঁহু! হতেই পারে না। এটি তো বাংলা পর্নো সিরিজ!
কারোর ভাষ্য-
ভাগ্যিস শরৎবাবু মারা গেছেন। নইলে এটা দেখলে নিশ্চিত আত্মহত্যা করতেন।
পড়বেই বা না কেন!
গত শতকের গোড়ার দিকের কাহিনি শরৎচন্দ্রের ‘চরিত্রহীন’।
অথচ সেটিই হয়ে গেছে রগরগে এক ওয়েব সিরিজ!
তখনকার সাবিত্রী, কিরণময়ী, সুবলা বা সরোজিনীরা তো এমন ছিলেননা!
অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ বলছেন-
হজম করা কঠিন। চেষ্টা করুন..।
সায়নীর ভাষ্য-
দেবালয় খুব যত্ন করে, এসথেটিকালি কাজটা করেছে। এটাই ‘চরিত্রহীন’-এর উদ্দেশ্য ছিলো যাতে বডি এক্সপোজারের বিষয় যদি গল্পের প্রয়োজনেও আসে তবে সেটা খুব এসথেটিকালি শুট হবে। আমাদের ডিওপি ইন্দ্রনাথও চমৎকার কাজ করেছেন। দর্শক চরিত্রহীন দেখলেই বুঝতে পারবেন, এটা কোনও সেক্স ওয়েব সিরিজ নয়। অযথা যৌনতা নিয়ে বাড়াবাড়ি করা হয়নি। দেবালয় এত ভালো ডিরেক্ট করেছে! আমাকে বলতো, তুই নিজেকে ভাঙ, বদলা। যেগুলো তোর সিগনেচার সেগুলো একদম বদলে ফেল। আমায় খুব হেল্প করেছে এই কাজটায়।
এই ওয়েব সিরিজে সায়নী ছাড়াও দেখা যাচ্ছে- সৌরভ দাস, গৌরব চট্টোপাধ্যায়, অঙ্কিতা চক্রবর্তী, নয়না গঙ্গোপাধ্যায় সহ অনেককেই।
সৌরভ জানাচ্ছেন-
চরিত্রহীন হয়ে যা নাম করলাম, চরিত্রবান থেকে এতো নাম করতে পারিনি। হা হা..। গত শনি এবং রবিবার ‘চরিত্রহীন’-এর জন্য রেকর্ড সাবস্ক্রিপশন হয়েছে। সেটা সোশ্যালি শেয়ারও করেছি। বেশির ভাগ মানুষ পুরোটা দেখেছেন কিন্তু।
তার স্পষ্ট দাবি-
আমরা সেক্স ফ্যাক্টরটা কিন্তু সেল করতে চাইনি। গল্পটা অনেক ওপরে…।
এরইমধ্যে চরিত্রহীন-এর একটি গানও মুক্তি পেয়েছে ইউটিউবে।
আরও পড়ুনঃ