দেশে বর্তমানে কন্টেন্ট ক্রিয়েশন বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। কন্টেন্ট ক্রিয়েট করে অনেকেই সমাজে বেশ আলোড়ন তৈরি করেছে। তাদের মধ্যেই একজন পটুয়াখালি জেলার, কলাপাড়া উপজেলার ছেলে নুরুজ্জামান কাফি। সোশ্যাল মিডিয়ায় নুরুজ্জামান কাফি ‘কাফি ভাই’ নামেই অধিক পরিচিত।
তিনি যেমন হয়েছেন জনপ্রিয় তেমনি জনপ্রিয় তার সঙ্গী কুকুরটিও। অফলাইন কিংবা অনলাইনে দুই জগতেই তার থেকে তার কুকুরের জনপ্রিয়তা কোনো অংশে কম নয়।
এই কুকুরটি মূলত তার বাসার পালিত কুকুর। তবে সে সাধারণ কুকুর নয়, কাফির বিশ্বস্ত একজন সহযোদ্ধাও। এই কুকুরটি ছাড়া তার কন্টেন্ট যেন পূর্ণতা পায়না। এককথায় বলা যায়, কুকুর ছাড়া ভিডিও যেন লবন ছাড়া তরকারির মত।
কাফির ভিডিও কন্টেন্ট বানানোর শুরুটা ২০১৯ সালে। তিনি মূলত বরিশলের আঞ্চলিক ভাষায় আরেকটু রং মাখিয়ে হাস্যরষ্য ভাবে ভিডিও তৈরি করে থাকেন। ভিডিওগুলো হাস্যরসে ভরা থাকলেও দেশের সংকটময় পরিস্থিতিসহ নানা অসংহতি, দূর্নীতি, অনিয়মের প্রতিবাদ থাকে তার ভিডিওতে। আর তার সে সব ভিডিও পছন্দ করেন লাখো দর্শক।
এভাবে ভিডিও বানানোর চিন্তা কি জন্য আসলো জানতে চাইলে কাফি বলেন, ' আমার ইচ্ছে সমাজটাকে বদলে দেয়ার, অন্যায়কে রুখে দেয়ার। বয়স আঠেরোতে কেউ চুপটি মেরে বসে থাকে না, তিনিও বসে থাকবেন না। আঠেরোর তরুণদের নিয়েই তিনি বর্তমান সমাজের চিত্র পাল্টাতে ভূমিকা রাখতে চান। আর এসব চিন্তা থেকেই শুরু হয় ভিডিও বানানো।'
জনপ্রিয়তায় পৌঁছানোর টার্নিং পয়েন্ট জানতে চাইলে বলেন, 'এর পেছনে এক মেয়ের অবদান মূলত অনেক।শুরুর দিকে একটি মেয়ে আমার ভিডিওগুলো পছন্দ করত এবং সে তার প্রোফাইলেও তা শেয়ার করত। আর তার একেকটি শেয়ারের কারণে ভিউজ সংখ্যা হয়ে যেতে ৪ থেকে ৫ হাজারের মত। এটা দেখে আমার ভিডিও বানানোর আগ্রহ আরও দ্বিগুণ হয়ে যায়। সে সময়ে ৪-৫ হাজার ভিউ মানে আমার কাছে অনেককিছু। তবে দূর্ভাগ্যবশত আমার সাথে সেই মেয়েটির কখনো দেখা হয়নি।'
উল্লেখ্য, কাফি বর্তমানে অধিভুক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিষয় নিয়ে অধ্যায়নরত আছে। ছাত্র হিসেবেও তিনি বেশ মেধাবী। তার বাবা একজন শিক্ষক।