আগামীকাল আইস্ক্রিনের নতুন ওয়েব ফিল্মের কেন্দ্রীয় চরিত্রে হাজির হতে যাচ্ছেন ছোটপর্দার কুইন’খ্যাত অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরী। ‘নীল জলের কাব্য’ নামের এই ওয়েব সিরিজটি পরিচালনা করেছেন নাটক, সিনেমা ও ওয়েব সিরিজের পরীক্ষিত নির্মাতা শিহাব শাহীন। আর মেহজাবীনের বিপরীতে আছেন এ সময়ের অন্যতম চাহিদাসম্পন্ন অভিনেতা আফরান নিশো। জনপ্রিয় এই জুটি অনেক দিন ধরে নাটকে অভিনয় করেন না। তাই তাদের নতুন কাজ নিয়ে দর্শকের আলাদা আগ্রহ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে অন্যান্য কাজে নিশোকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে দেখা গেলেও এই সিনেমায় মেহজাবীনকে দেখা যাবে কেন্দ্রীয় চরিত্রে। তার মানে এই নয় যে, নিশোর চরিত্রটি গুরুত্বহীন। দুজনই মূখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকায়।
নিম্ন মধ্যবিত্তদের লালন করা ছোট ছোট স্বপ্ন পূরণের গল্প নিয়ে শিহাব শাহীন নির্মান করেছেন ওয়েব সিরিজ ‘নীল জলের কাব্য’। এতে মেহজাবীনের খুব ইচ্ছা সাগর দেখার। সে চায় নিশোকে বিয়ে করে তার সঙ্গে হাত ধরে সাগর দেখতে। এইটুকু স্বপ্ন পূরণের জন্য এই দম্পতিকে কি ধরনের স্ট্রাগলের মধ্য দিয়ে যেতে হয় তা দেখা যাবে এই গল্পে।
ছবিটি মুক্তি উপলক্ষ্যে গতকাল চ্যানেল আইয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সেখানে বার্তা২৪.কমের সঙ্গে কথা বলেন মেহজাবীন। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, আপনি যে অবস্থানে আছেন, তাতে বড় পর্দার জন্য সিনেমা না করলে আপনার কোন অসুবিধা আছে কী? উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমার কেন অসুবিধা থাকবে? আমি একজন শিল্পী, একজন পারফরমার। আমার শুরুটা টিভি থেকে। এরপর ওয়েবে কাজ করেছি। সিনেমার গল্প ভালো লাগলে অনেকগুলো সিনেমাও করা হবে। আমার পক্ষ থেকে কোন না নেই। প্রথমত, আমি ভালো গল্পের সঙ্গে থাকতে চাই। দ্বিতীয়ত, ভালো পরিচালকের সঙ্গে কাজ করতে চাই।’
এই সংবাদ সম্মেলনে নিশো বলেছেন, নারীকেন্দ্রিক গল্প দর্শক সমাদৃত হয় না সেভাবে। এ প্রসঙ্গে মেহজাবীন বললেন, ‘এ ক্ষেত্রে শুধু আমাদের দায় নেই। দর্শকেরও অনেক দায় রয়েছে। এ ধরণের গল্প হলে আপনার কেন দেখবেন না? কেন সাপোর্ট করবেন না, কথা বলবেন না, আলোচনা করবেন না?’
তিনি আরও বলেন, ভালো গল্পের কাজ কেন কম হয়? এর পেছনের কারণ যদি আমরা খুঁজতে যাই তাহলে দেখব, একটি ভালো গল্প নিয়ে কাজ করা হলে সেটির ভিউ কম! তাহলে আমরা কী বানাব? যেটি অনেক মানুষ দেখবে। নির্মাতা বা প্রযোজকও তাই করবে। ফলে দর্শক যদি ভালো কাজ দেখতে চায় তাহলে নির্মাতাও উৎসাহ বোধ করবে। এটা খুব দুঃখজনক যে, ২০২৩-এ এসেও আমাদের নারী পুরুষের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে কথা বলতে হচ্ছে। আশা করছি সামনে যেন এটা নিয়ে আমাদের কথা বলতে না হয়।’