রুনা খানের শাড়িটি তৈরি হয়েছে দেড় হাজার ঘণ্টায়

, বিনোদন

মাসিদ রণ, সিনিয়র নিউজরুম এডিটর, বার্তা২৪.কম | 2024-05-26 12:59:16

অভিনেত্রী রুনা খানের ফ্যাশন সেন্স সাম্প্রতিক সময়ে বেশ চর্চিত। তিনি সাধারণত শাড়ি পরে থাকেন, তবে তার প্রেজেন্টেশনে থাকে বৈচিত্র্য।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

গতকাল মেরিল প্রথম আলো পুরস্কার প্রদাণ অনুষ্ঠানেও শাড়ি পরে হাজির হন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই অভিনেত্রী।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

মেরিল প্রথম আলোর অনুষ্ঠান হয়ে থাকে তারকাময়। এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। তবে এতো তারকার ভিড়েও রুনা স্বকীয় বৈশিষ্ট্যে ছিলেন সমুজ্জল।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

দেশি পোশাক, দেশি কারুশিল্প তার ভীষণ পছন্দ। তারমধ্যে ঐতিহ্যবাহী ঢাকাইয়া জামদানির প্রতি তার দুর্বলতা চোখে পড়ার মতো। যে কোন বড় ইভেন্টে তিনি জামদানি পরেই হাজির হন।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

এবারের মেরিল প্রথম আলোর আয়োজনেও তিনি পরেছিলেন অফ হোয়াইট জামদানি। তবে পরার ধরণে ছিল ভিন্নতা। কুচি দিয়ে শাড়ি পরেননি তিনি, বরং এক প্যাচে বাঙালিয়ানা ধাচে শাড়ি পরেছিলেন। এমন একটি গ্ল্যামারাস অনুষ্ঠানে তাকে একেবারেই বেমানান লাগেনি, কিংবা তার গ্ল্যামারে কোন কমতি ছিল না। উল্টো সবাই তার এমন সাবেকি বাঙালিয়ানার ঢং পছন্দ করেছেন।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

রুনার সাজে কখনোই ভারিক্কি ব্যাপার থাকে না। তিনি একেবারে মিনিমাল মেকাপে হাজির হন। মেকাপ করেছেন ফারহানা চৈতী। গয়না বলতেও তেমন কিছুই ছিল না। কানে গোল্ড প্লেটেড ঝুমকো আর চুলের খোপার কাটা, দ্যাটস ইট! গয়না মল্লিকা নামের একটি পেজ থেকে নেয়া।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

তবে এদিন রুনার সাজে সবচেয়ে নজরকাড়া বিষয় ছিল তার ব্লাউজ। একপাশে ফুল হাতা আর অন্যপাশে হাতা কাটা। ফুল হাতার নকশা ছিল চোখে লাগার মতো। সাদা আর সোনালী পুতি দিয়ে ফুলেল নকশা আর দামান অংশে ঝালর ছিল হাতায়। সঙ্গে ঝালর দেওয়া হ্যান্ড মেড বেল্ট পরেছিলেন এই তারকা। হাতে ছিল হ্যান্ড মেড বটুয়া। ডিজাইন করেছে পেজ ট্যান।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

এই স্পেশ্যাল সাজ নিয়ে রুনা খান বার্তা২৪.কমকে বলেন, ‘আমি দেশি পোশাক কিংবা দেশি যে কোন কিছু প্রমোট করতে পছন্দ করি। তাই দেশি জামদানিই বেছে নিয়েছিলাম। আমার ইচ্ছেই ছিল অফ হোয়াইট জামদানি পরার। শাড়িটি নিয়েছি তাকওয়া নামের একটি পেজ থেকে। তারা আমাকে জানিয়েছে এই শাড়িটি তৈরি হতে চার মাস সময় লেগেছে। দুজন তাতি দেড় হাজার ঘণ্টা কাজ করেছেন শাড়িটির পেছনে।’

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

বৈচিত্র্যময় ব্লাউজটি রুনা বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম ফুল হাতা ব্লাউজ পরব। এ ব্যাপারে সহযোগীতা করেছে ডাস্ট কোট নামের একটি পেজ। এই পেজের ডিজাইনার আনারকলি খান আমাকে বললেন, শাড়িটি যেহেতু অনেক বেশি গর্জিয়াস, তাই দুই পাশেই ফুল হাতা রাখার পর তাতে কাজ করলে জিনিসটি অনেক ভারি হয়ে যাবে। পরে তিনিই এক হাতা ফুল, আর এক হাতা কাটা রাখেন। এরপর আর যা যা কারুকাজ করা হয়েছে সবটাই আনারকলি খানের মাথা থেকে এসেছে। তিনি অনুষ্ঠানের দিন পার্লারে এসে আমাকে স্টাইলিং পর্যন্ত করে দিয়েছেন। তাকে ধন্যবাদ জানাই।’

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

সবশেষে রুনা বলেন, আমি খুব গর্বিত যে আমার সকল সাজ পোশাক দেশি জিনিস দিয়ে করতে পেরেছি। আরও ভালো লেগেছে এটা ভেবে যে, আমার সাজ পোশাকের পেছনে যারা এফোর্ট দিয়েছেন, সেই পাঁচজনই নারী উদ্যোক্তা। একজন নারী হয়ে আরেকজন নারীর কাজকে সমর্থন করতে পেরে আমি আনন্দিত।

রুনা খান /  ছবি : সজিব মিয়া

এ সম্পর্কিত আরও খবর