গেলো ঈদুল আজহায় মুক্তিপ্রাপ্ত সিনেমা ‘ময়ূরাক্ষী’র নির্মাতা ও নায়িকার মারামারির ঘটনা এখন শোবিজের অন্যতম আলোচিত ইস্যু। এ নিয়ে কদিন ঘরে সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ জল ঘোলা হলেও মুখে তালা দিয়ে রেখেছিলেন নির্মাতা রাশিদ পলাশ এবং ইয়ামিন হক ববি দুই পক্ষই।
তবে এবার মৌনতা ভাঙলেন জনপ্রিয় এই চিত্রনায়িকা। একেবারে সংবাদ সম্মেলন করে কথা বলেছেন ঘটনাটি নিয়ে। ববি নিজ মুখেই শিকার করেন যে তিনি নির্মাতা রাশিদ পলাশকে থাপ্পড় মেরেছেন। এই নায়িকার ভাষ্য, ‘চড়কাণ্ডের বাইরে আসলে আর বেশিকিছু হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ, আমি তো এতো নিচে নামতে পারবো না। এতো সস্তা আমি হতেই পারবো না।’
নির্মাতার সঙ্গে সমঝোতা করবেন কিনা জানতে চাইলে ববি বলেন, ‘তার সঙ্গে এমন কিছুই হয়নি যে সমঝোতা করতে হবে। ওখানে যারা ছিলেন তারা ভালো বলতে পারবেন আসলে কতোটুকু ঘটনা ঘটেছিল।’
ববি আরও বলেন, ‘অল্প বয়স থেকে সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছি। এতো বছর এখানে কাজ করছি, সবাই বলেন ববি মেয়ে হিসেবে খুবই ভদ্র। তবে তার মানে এই নয় যে অন্যায় হলে আমি চুপ করে না সহ্য করবো। সে (রাশিদ পলাশ) খুবই অসৎ একজন মানুষ। প্রোডিউসারকে অনেক ভুগিয়েছে। আমাকে যে যে কথা দিয়েছিলো আমি পর্দায় কিংবা পর্দার বাইরে তার কিছুই সেভাবে পাইনি। প্রোডিউসার আমাকে বলেছেন, যে বাজেটে ছবিটি হওয়ার কথা ছিলো তার দ্বিগুণ যে খরচ করে ফেলেছে।’
যুক্ত করে ববি বলেন, ‘সে আমার নামে যেসব অভিযোগ এনেছে সবটাই মিথ্যা। আমি তাকে অনেক সাপোর্ট করেছি। এমনও হয়েছে, আমাকে বলেছে আপা আজকে আপনাকে পেমেন্টটা না দিই, প্রোডাকশনের খবচটা আগে চালাই। আমি বলেছি, ঠিক আছে আমার পেমেন্ট পরে দাও। আমার নামে সে প্রোডিউসারের কাছ থেকে বার বার পেমেন্ট নিয়েছে অথচ আমি পুরো পেমেন্টটা এখনো পাইনি! সেই ছেলে এখন এসে যখন আমার নামে এসব কথা বলে সেটি তো আমি মেনে নেব না। তাছাড়া সে যদি পর্দায় ভালো একটি কাজ উপহার দিতে পারতো তাও আমি সব ভুলে যেতাম। সেখানেও সে তেমন কিছুই করতে পারেনি এজন্য দর্শক ছবিটি পছন্দ করেনি। এছাড়া তার নামে প্রযোজকের আরও অভিযোগ রয়েছে।’