আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর রসবোধ সম্পর্কে কারও অজানা নয়। সিরিয়াস বিষয়কেও রসাত্মক ভঙ্গিতে ব্যক্ত করার দারুণ সক্ষমতা রয়েছে এই তারকার।
আজ তেমনি একটি বিষয় নিয়ে কথা বলেছেন ফারুকী। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি তুলে ধরেছেন বর্তমান সময়ে তাকে দেশের এক শ্রেণির জনগণ কিভাবে দেখছে সে বিষয়ে।
‘আমাকে উপদেষ্টা করা এখন সময়ের দাবী’ এমন শিরোনামে ফারুকী লিখেছেন, ‘‘আওয়ামী প্রোপাগান্ডু লীগ যেভাবে আমার ব্যাপারে তাদের ক্ষোভ জানাচ্ছে তাতে বোঝা যাচ্ছে ফ্যাসিবাদের পতনে আমার বিশাল ভূমিকা আছে। সুতরাং ‘ফ্যাসিবাদের পুচ্ছে আগুন’ কোটায় আমাকে উপদেষ্টা করার জন্য প্রধান উপদেষ্টার প্রতি আহবান জানাচ্ছি!’
এরপর নিজের অবস্থানকে পরিষ্কার করতে তিনি তিনটি পয়েন্ট উল্লেখ করেছেন। ফারুকীর সমালোচক শ্রেনিকে উদ্দেশ্য করে তিনি লিখেছেন, ‘ওদের বুদ্ধি যদিও খুলবে না, তবুও একটু বলি-
১. ওহে, আমি কোনো রাজনৈতিককর্মী না। আমি আওয়ামী লীগ-বিএনপি সবারই ভালো কিছুর প্রশংসা এবং খারাপ কাজের নিন্দা করতে পারি।
২. ফ্যাসিবাদের কালে যেহেতু এই দেশেই থাকতে হয়েছে, ফলে আমাদের বেঁচে থাকা ছিলো বড় কৌতুকময়। সৌভাগ্য হোক দূর্ভাগ্য হোক, রাডারের নীচে থাকার কারণে নানা কায়দা কানুন করে বেঁচে থাকতে হতো। সরকারের সমালোচনা করে একটা পোস্ট দিলে তিনটা দিতে হতো প্রশংসা করে। আবার সমালোচনারও কিছু প্যাটার্ন আছে। প্রধানমন্ত্রীকে বাইরে রেখে অন্যদের সমালোচনা করতে হতো। তারপর ধরেন, আপনার সিনেমা আটকে যাবে যেটা আটকানোই অন্যায়। সেই সিনেমা ছাড়ানোর জন্য তদবীর করবেন। ছাড়ানোর পর ধন্যবাদ দিবেন। নানাবিধ কৌতুকময় ছিলো এই জীবন। সামনে আমার কাজে এইসবের ছাপ দেখবেন অল্প বিস্তর।
৩. ওরাও জানে ওদের লুটপাট, টেন্ডার বানিজ্য, চুরি চামারি, ব্যবসা কোনো কিছুর সাথেই আমাদের কোন সম্পর্ক নাই। কিন্তু আমাদের উপর রাগ আছে। কেনো আমরা ফ্যাসিস্ট পতনের আন্দোলনে নামলাম- এই ক্ষোভ বড় গভীর। এই ক্ষোভ ঢালার জন্য এখন ওদের কষ্ট করে আমার টাইমলাইনের উপর পিএইচডি করতে হচ্ছে।’
গবশেষে ফারুকী তাদের পরামর্শ দিয়ে লিখেছেন, ‘ওদের নিজেদের জন্য ভালো হবে এইসবে সময় ব্যয় না করে, আত্মশুদ্ধির পথে হাঁটা। আর বাংলাদেশের করণীয় হচ্ছে মানবতা বিরোধী অপরাধ আর সীমাহীন লুটপাটের বিচার করা।’