ভারতের ক্ষমতাসীন দল বিজেপির সাংসদ ও অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাওয়াত। মাঝে মাঝেই বিতর্কমূলক কথা-বার্তায় সংবাদের শিরোনাম হন তিনি। সম্প্রতি ভারতের জাতির পিতা মহাত্মা গান্ধীকে নিয়ে করা তার এক মন্তব্যে নতুন করে রাজনৈতিক বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। দেশটির বিরোধী দল কংগ্রেস তার মন্তব্যকে ‘অশ্লীল’ বলে অভিহিত করেছে।
মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সামাজিক মাধ্যমে একটি পোস্ট দেন কঙ্গনা রানাওয়াত। সেখানে তিনি লেখেন, ‘দেশের কোনো পিতা হয় না, সন্তান হয়, ধন্য এই ভারতমাতার সন্তানরা।’
যে কোন দেশের স্বাধীনতার পেছনে সবচেয়ে যে নেতার অবদান বেশি, তাকেই সেই রাষ্ট্রের পিতা বলা হয়। সেটা শুধু বাংলাদেশ বা ভারত নয়, বিশ্বের অনেক দেশেই এই সম্মান প্রয়োগের প্রথা রয়েছে। কঙ্গনার এমন মন্তব্য নিঃসন্দেহে মহাত্মা গান্ধীর সারা জীবনের অবদানকে ছোট করে। তিনি মহাত্মা গান্ধীর গড়ে তোলা সংগ্রেস পার্টির বিপক্ষের একটি রাজনৈতিক দল (বিজেপি)’র নেত্রী বলেই এমন অসম্মানজনক মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন দেশটির অনেক মানুষ।
সেই পোস্টে অবশ্য ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী লাল বাহাদুর শাস্ত্রীর ১২০তম জন্মবার্ষিকীতে শ্রদ্ধাও নিবেদন করেছেন কঙ্গনা।
তবে ঘটনার এখানেই শেষ নয়। আরও একটি পোস্টে অভিনেত্রী কঙ্গনা লেখেন, ‘যেখানে তিনি মহাত্মা গান্ধীর স্বচ্ছতার উত্তরাধিকার বহন করার জন্য প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে কৃতিত্ব দিয়েছেন।’ আর এতেই রাজনৈতিক দিকে টেনে নিয়ে গেছেন অনেকে। একইসঙ্গে কঙ্গনার এই মন্তব্যকে অশ্লীল এবং নিন্দনীয় বলেও অভিহিত করেছেন।
কংগ্রেস নেত্রী সুপ্রিয়া শ্রীনাতে তার এই মন্তব্যের সমালোচনা করে লেখেন, ‘বিজেপি সাংসদ কঙ্গনা মহাত্মা গান্ধীর জন্মবার্ষিকীতে তাকে অশ্লীল কটাক্ষ করেছেন। জাতির পিতা আছেন, পুত্র আছেন, শহিদ আছেন। সবারই সম্মান প্রাপ্য।’
উল্লেখ্য, কঙ্গনা রানাওয়াতকে এরপর দেখা যাবে ‘ইমার্জেন্সি’ সিনেমাতে। যেখানে ইন্দিরা গান্ধীর চরিত্রে দেখা যাবে তাকে। সেন্সর জটে আটকে আছে ছবির মুক্তি।