একটি টেইলার্সে দর্জির কাজ করে বিউটি।
একই দোকানে শাড়ি সরবরাহ করতো নবাব।
দোকানেই তাদের দেখা, কথা বলা- সেখান থেকেই প্রেম।
নিম্ন মধ্যবিত্ত এই দুজনের স্বপ্নের অনেক মিল আছে।
দুজনের’ই এই শহর ভালো লাগে না।
তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও মিলে যায়।
দীর্ঘদিন ধরে নবাবের পরিকল্পনা- সে বিউটিকে একটি মোবাইল উপহার দিবে এবং তাকে নিয়ে অভিজাত মানুষের মতো একদিন এই শহরটা ঘুরবে।
বিউটি কাজে তেমন অবসর না পেলেও ভালোবাসার মানুষের কথায় সাড়া দিয়ে একদিন বেরিয়ে পরে।
সারাদিন তারা ঘুরে ফেরার পথে নবাব বিউটিকে একটি গলিতে নিয়ে গেলে হঠাৎ একটি গাড়ি এসে বিউটিকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।
নবাব বিউটিকে রক্ষা করতে গেলে উল্টো তাকেই মার খেতে হয়।
ঘটনার পর নবাবের কিছু আচরণে এটা স্পষ্ট হয় যে, সে নিজেই বিউটিকে অপহরণ চক্রের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে।
কিন্তু বিউটির কথা ভেবে তার কষ্ট লাগে।
সে উপলদ্ধি করে যে, বিউটির সঙ্গে ভালোবাসার অভিনয় করতে করতে সত্যিই সে তার প্রেমে পড়েছে।
নবাব চিন্তা করে যেভাবেই হোক সে বিউটিকে অপহরণকারীদের হাত থেকে রক্ষা করবে।
নবাব চরিত্রে অভিনয় করেছেন সজল এবং বিউটি চরিত্রে ভাবনা। নারী পাচারকারীর চক্রের হোতার চরিত্রে অভিনয় করেছেন ফারুক আহমেদ।
তিনি জানালেন-
বর্তমান সময়ে যে নাটকগুলো নির্মান হচ্ছে, তার বেশিরভাগ গল্প এই সময়কে ধরতে পারছে না। নির্মাতা হিসেবে দায়বদ্ধতার জায়গা থেকেই নারী পাচারের এই গল্পটি বেছে নিয়েছি। যেখানে কর্মজীবী একজন মেয়ে কাজের সুত্রেই একটি ছেলের সাথে পরিচিত হয় এবং এভাবেই ভালোবাসায় জড়িয়ে পরে। একদিকে বিশ্বাস, একটি বেঁচে থাকার স্বপ্নের গল্প এবং অন্যদিকে ভালোবাসার মানুষের সাথে প্রতারণার, স্বপ্ন ভঙ্গের নিখুঁত পরিকল্পনা।
অভিনেতা সজল বললেন-
নারী পাচার দেশে প্রতিনয়ত হচ্ছে। কিভাবে হচ্ছে সেটা আড়ালেই থেকে যাচ্ছে। যে ছেলেটি একের পর এক মেয়েদের সাথে ভালোবাসার ফাঁদ তৈরি করে যাচ্ছে, এবার সে নিজের ফাঁদে পা দিয়ে বসে। আমি মনে করি গল্পটি একটু হলেও মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করবে এবং একটি ন্যায়-অন্যায় বোধ জাগ্রত করবে।
ভাবনা বললেন-
দর্জির দোকানে কাজ করে সংসার চালায়, এমন একটি মেয়ের চরিত্র আমার। খুবই সহজ সরল যে মেয়েটি ভালোবাসার মানুষের সাথে আড়ালে আবডালে একটু দেখা করে। তাকে নিয়েই নতুন একটি ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখতে থাকে। কিন্ত কোনো একটা জায়গায় গিয়ে সেই স্বপ্নটা আহত হয়, আঘাত খায়।
শুটিং এর জন্য বেছে নেয়া হয়েছিল বেড়িবাঁধ, আজিমপুর, নিউমার্কেট, পলাশী এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবদুন নূর সজল, আশনা হাবীব ভাবনা, ফারুক আহমেদ, পরান জহীর, হোসনে মোবারক রুমী, আসিফ তালুকদার, মিশু, ম্যাক মুকুল, মানিক, সাদ্দাম প্রমুখ।
আরও পড়ুনঃ
জীবনের কথায় কুমার বিশ্বজিৎ
আসিফের ইদ ধামাকা
রবীন্দ্রসংগীতে ফিউশন: প্রয়োজন না ফ্যাশন?