ভদ্রা নদীর তীরের গ্রামের মেঠো পথে হাঁটছি। সকালের সূর্যটা উঁকি দিয়েছে কিছুক্ষণ হলো। ভোরের এ সময়ে গ্রামের সৌন্দর্য যেনো চোখে পরার মতো। ডুমুরিয়া উপজেলার নদী তীরের শহর লাগোয়া গ্রাম খর্ণিয়া, যেনো সবুজে-শ্যামলে টইটুম্বুর। শিল্পীর হাতে আকাঁ যেনো সবকিছু।
হঠাৎ দেখা পাওয়া গেলো রঙ্গিন পাখার বাংলা কাঠঠোকরা পাখির। ঘন কালো সূচালো তীক্ষ্ম ঠোটে হাতুড়ির মতো ঠকঠক শব্দে এক মনে গাছের ডাল ঠুকরিয়ে যাচ্ছে। কর্কশ ডাক ছেড়ে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে সতর্ক হয়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে আশ্রয় নিয়ে খাবারের সন্ধানে উড়ে বেড়াচ্ছে কাঠঠোকরা। শরীরের ভারসাম্য রাখতে শক্ত পা দিয়ে অাঁকড়ে ধরছে গাছের বাকঁল।
আগে কাঠঠোকরা পাখি নিয়মিত দেখা গেলেও এখন তেমন চোখে পরেনা। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটারের মত লম্বা এ কাঠঠোকরার আকর্ষণীয় দিক হলো পুরুষ কাঠঠোকরার ঝুঁটি উজ্জ্বল লাল রঙের। আর স্ত্রী জাতীয় পাখির হলদে। এক সময়কার সুপরিচিত বাংলা কাঠঠোকরা চেনা পাখি হলেও এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এ পাখি। গাছের পোকামাকড় খেয়ে গাছের উপকার করা পাখি এটি।
সৌন্দর্যের দ্যুতি ছড়ানো আকর্ষণীয় রঙ্গিন এ পাখিটি গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায়। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে কমে গেছে কাঠঠোকরার প্রজনন।