হেমন্তে গন্ধরাজ, মল্লিকা, শিউলি, কামিনী, হিমঝুরি, বকফুল, ছাতিমের গন্ধ যেমন কাছে টানে। তেমনি সকালের হালকা কুয়াশায় শিশির ভেজা ঘাসে মন জুড়ায় হেমন্তে। ভোরের পাখির কিচির মিছির শব্দে নীল আকাশের রং ও রোদের মিতালী জানান দেয় হেমন্তের। সব মোহ বাদ দিয়ে প্রকৃতিতেই হারাতে চায় মানুষ। সঙ্গে সোনালি ধান, কৃষকের ধান ঘরে তোলা আর কৃষক-কৃষাণির আনন্দ সবই হেমন্তের রূপের অনুষঙ্গ।
হেমন্তের শহর খুব একটা লোভনীয় না হলেও গ্রাম রূপ নেয় স্বর্গে। সাদামাটা মানুষের সাথে প্রকৃতির মিলনের এক মধু ঋতু এটি।
বিজ্ঞাপন
শিশির ভেজা সকালের ঘাসের ডগায় পা ফেলে কাজে যায় কৃষক। সাথে শিশুরা রোদ মাখে গায়।
হেমন্তের অপেক্ষায় থাকে ‘বাল্য’ দলেরা। এই হেমন্তে চাষিরা ঘরে তোলে সোনালি ধান। হাট থেকে মাছ-মাংস কিনে নতুন ধানের চাল দিয়ে হয় নবান্নের উৎসব। যার অপেক্ষায়ই মূলত মুখিয়ে থাকে পাড়া মহল্লার কিশোর কিশোরীর দল। কলা পাতা বা নানা পাতে গরম ভাতের ধোয়ায় ফুঁ দিয়ে মুখে ভাত তুলে বলে 'দাদি আর একটু ভাত আর ঝোল হবে'
বিজ্ঞাপন
হেমন্তের সকালের আবেশ যেমন মন কাড়ে প্রকৃতি প্রেমীদের, তেমনি শ্রমিকদের মুখে ফুটে সোনালি হাসি। নতুন ধান কাটা মারার কাজে তাদের পাততে উঠে মাছ ভাত, সাথে শীতের সবজির লাবড়া যেন হেমন্তে গ্রামের প্রিয় খাবার।
তবে আগের কার দিনে ধান ঘরে তোলার আনুষ্ঠানিকতার বেশ আমেজ থাকলেও এখন আর নেই। মেশিনেই হারিয়েছে ঐতিহ্য তবে বদলায়নি রীতি। ধান কাটার দল এখন ধান আধুনিক মেশিনে মাড়ালেও খড়ের গাদার চিত্র মন জুড়াবে এটাই স্বাভাবিক।
মেশিনও বেশ জব্বর, 'এক মেশিনে ধান মারা এক মেশিনে সব' আধুনিক স্লোগানের মিল ও আছে বটে। গেরস্ত বাড়ির সম্মান রক্ষার্থে বেশ পটু এই মেশিন। উঁচু নলের মধ্য দিয়ে খড় উঠে যায় পলার স্থানে। সেখানেই গেরস্ত হেঁটে হেঁটে আকার দেয় যেমন গাদা চাই। সে দৃশ্যও তো মন কাড়া।
হেমন্তের বিকেল যেন সাজে নিজের মত করে। বিশেষ করে পাকা ধানে সূর্যের হেলে আসা কিরণ নতুন রূপ দেয় প্রকৃতির। গাছে পাতায় ঝিল মিল রোদের ঝলকানিতে পায় ছন্দ৷
শীতের পিঠাপুলির নানা গল্প শুনলেও গ্রামের ভাপা পিঠা ওয়ালীর বাড়িতে ফজরের আজানের সাথে জ্বলে চুলো। সেখানে ধান, চাল, টাকা নিয়ে জমা হয় গ্রামীণ বধূরা। সেই পিঠা এনে বেশ আমেজ করেই খায় গেরস্ত বাড়ির লোকজন।
কালের বিবর্তনে গ্রাম্য ঢেঁকির শব্দ হারিয়ে গেলেও হারায়নি মোরগের ডাক। আর হেমন্তের অমৃত খেঁজুরের রসের মোহ আছে থাকুক বহুকাল বহু বছর।
পাকিস্তানের এক কিশোরী তার অসাধারণ ভাষার দক্ষতা দিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোড়ন সৃষ্টি করেছেন। কিশোরীর নাম শুমাইলা। কখনো স্কুলের গন্ডিতে পা না দিয়েও শুমাইলা যেভাবে উর্দু, ইংরেজি, সারাইকি, পাঞ্জাবি, পশতু ও চিত্রালি ভাষায় দক্ষতা দেখিয়েছেন তা দেখে সত্যিই অবাক হওয়ার মতো।
ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানায়, খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশের লোয়ার দিরে চিনাবাদাম, সূর্যমুখী বীজ এবং অন্যান্য খাবার বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করে শুমাইলা। তাকে পাকিস্তানি ইউটিউবার জিশান শাব্বির আবিষ্কার করেছিলেন। তিনি ডাক্তার জিশান নামেও পরিচিত। হিন্দুকুশ পর্বতমালার মধ্য দিয়ে দির ও চিত্রলকে সংযোগকারী আইকনিক লোয়ারী টানেলের কাছে ভ্লগ চিত্রগ্রহণের সময় শুমাইলার সঙ্গে দেখা হয় তার।
একপর্যায়ে তাদের মধ্যে কথোপকথন হয়। সেই কথোপকথনের ভিডিও নেট দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই শুমাইলা ভাইরাল হয়ে যায়।
ওই ভিডিওতে, শুমাইলার চিত্তাকর্ষক ভাষা দক্ষতা এবং কমনীয় ব্যক্তিত্ব সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহারকারীদের মনে জায়গা করে নিতে বাধ্য করেছে।
এতে দেখা যায়, শাব্বির যখন শুমাইলাকে নিজের পরিচয় দিতে বলেন, তখন শুমাইলা অসাধারণ আত্মবিশ্বাস ও ভদ্রতার সঙ্গে উত্তর দেন। শুমাইলা বলেন, "আমার বাবা ১৪টি ভাষায় কথা বলেন এবং আমি ছয়টি ভাষায় কথা বলতে পারি। আমি স্কুলে যাই না। আমার বাবা আমাকে বাড়িতে পড়ান।
তারপরে সে তার পণ্যের প্রচার করতে গিয়ে বলেন, "আমি চিনাবাদাম এবং সূর্যমুখী বীজ বিক্রি করছি। আপনি কিছু কিনতে চাইলে আমাকে বলুন।"
ভাইরাল হওয়া আরেকটি ভিডিওতে শুমাইলা তার পরিবার নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, আমার পাঁচ জন মা ও ৩০ জন ভাই-বোন রয়েছে। পরিবারের সবাই সাবলীলভাবে ইংরেজি বলতে পারেন। আমার এক ভাই ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে থাকেন। তিনি তার প্রতিদিনের রুটিন সম্পর্কেও আমাকে শেয়ার করেন।
ভিডিওগুলো দেখে সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীরা শুমাইলার অসাধারণ বুদ্ধিমত্তা, আত্মবিশ্বাস এবং উদ্যোক্তা মনোভাবের জন্য প্রশংসা করেছেন। অনেক ব্যবহারকারী তাকে বই পাঠানোর প্রস্তাব দিয়েছেন।
ভিডিওর মন্তব্যের ঘরে একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, "এটি দুর্দান্ত। সৃষ্টিকর্তা তাকে সব দিক দিয়ে সর্বোত্তম মঙ্গল করুক। আমিন।"
অন্য একজন মন্তব্য করেছেন, "তার ইংরেজিতে দক্ষতা অভিজাত স্কুলে পড়া অনেকের চেয়ে ভালো। তার বাবার প্রচেষ্টাকে অভিনন্দন।"
তৃতীয় একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, "আমার প্রিয়তম শুমাইলা, তুমি আমাকে গর্বিত করেছো। তোমার জন্য আমি বই পাঠাতে চাই। কীভাবে পাঠাবো সেটা দয়া করে জানাও। ধন্যবাদ।"
চতুর্থ একজন যোগ করেছেন, "এটি খুব সুন্দর, বিস্ময়কর প্রতিভা প্রকাশের জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। সে খুব বুদ্ধিমতী বলে মনে হচ্ছে। আমরা কি তার পরিবারকে স্কুলের খরচ বহন করার জন্য কিছু সাহায্য করতে পারি? আমি তাকে সাহায্য করতে চাই।"
সন্তানদের মুখে দু-বেলা দুমুঠো ডাল-ভাত তুলে দিতে হাড়ভাঙা পরিশ্রম করছেন মধ্যবয়সী জরিনা বেগম। সিলেট নগরীতে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালান তিনি। স্বামী কামাল মিয়া মাদকাসক্ত হয়ে পরিবারের সঙ্গে না থাকায় বাধ্য হয়ে এই পেশা বেছে নিয়েছেন তিনি। আগে ইট ভাঙার কাজ করলেও চোখের সমস্যা এবং অল্প মজুরি দিয়ে ঘরভাড়া-সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। তাই কিস্তিতে নেওয়া একটি ব্যাটারিচালিত তিন চাকার বাহন রিকশায় ভর করে লড়ছেন তিনি।
তিন ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে সিলেট নগরীর শামীমাবাদ এলাকায় একটি কলোনিতে ভাড়া বাসায় থাকেন জরিনা। জন্ম ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে হলেও ১০ বছর বয়স থেকে বেড়ে ওঠা সিলেট শহরে। জরিনার তিন ছেলে সালমান, শাওন ও আরমান। ছেলেদের পড়ালেখা করানোর ইচ্ছে থাকলেও সামর্থ নেই তার। মায়ের কষ্টের ভাগ কমাতে ও ছোট ভাইদের পড়ালেখা করাতে ঢাকা-চট্টগ্রাম সড়কের একটি বেকারির দোকানে কাজ করেন ১২ বছরের ছোট্ট শিশু সালমান।
রোদ বৃষ্টি উপেক্ষা করে প্রতিদিন সকাল থেকে দুপুর ও বিকেল থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত জরিনা রিকশা নিয়ে ছুটে চলেন শহরের এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায়। মাঝখানে যে সময়টুকু পান বাসায় ফিরে সন্তানদের জন্য রান্না করা ও তাদেরকে গোসল করিয়ে মুখে খাবার তুলেন তিনি। রিকশা চালিয়ে যে টাকা রোজগার করেন তা দিয়ে ঘরভাড়া ও সন্তানদের ভরণপোষণ চালান। সময় যত যাচ্ছে জরিনার সংসারে অভাব যেন তাড়া দিচ্ছে তত। এক হাত ভাঙা অবস্থায় অভাব দূর করতে যে রিকশাটি কিস্তিতে নিয়েছিলেন সেটির ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গেছে। মেরামতের জন্য প্রয়োজন ২০-২৫ হাজার টাকা।
টাকার অভাবে সন্তানদের পড়ালেখা ও চোখের অপারেশন করাতে পারচ্ছেন না এই সংগ্রামী নারী। তাই সরকার ও সমাজের বিত্তবানদের সাহায্য চাইলেন জরিনা।
জরিনা বেগম বলেন, রিকশা চালাতে গিয়ে কোনো সমস্যা হয় না। যাত্রীরা ভালো ব্যবহার করেন। সবাই অনেক উৎসাহ দেন। শুরুর দিকে রিকশাচালাতে গিয়ে কিছুটা সমস্যা হয়েছিল। স্বামী মদ-গাঁজা সেবন করেন। সে ঘুমাতে না পারলে আমার সন্তানদের মারপিট করে। কিছুদিন আগে কাজ করতে গিয়ে আমার একটি হাত ভেঙে যায়। টাকার অভাবে ভালোমতো চিকিৎসা করাতে পারেননি। বাসাভাড়া দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, মানুষের বাসা-বাড়িতে যে টাকা পেতাম তা দিয়ে আমার সংসার চালানো সম্ভব না। পরে ইট ও কংক্রিট ভাঙার কাজ করতে গিয়ে চোখ জ্বালাপোড়া করায় বাধ্য হয়ে সেই কাজ ছেড়ে দেই। এখন কিস্তিতে একটি রিকশা কিনেছি। সেই কিস্তির টাকা পরিশোধ করতে খুব কষ্ট হচ্ছে।
সংগ্রামী এই মা জানান, ছেলেদের লেখাপড়া শেখাতে খুব ইচ্ছে ছিল কিন্তু টাকার অভাবে সেটা হয়ে উঠছে না। প্রথম দিকে প্রতিদিন ৮শ থেকে ১ হাজার টাকা রোজগার করা গেলেও এখন ৪০০-৫০০ টাকা রুজি করতে পারি।
মানুষের প্রতি অকৃত্রিম বিশ্বাস আর ভালোবাসার পাশাপাশি বৈচিত্র্যময় ক্ষমতা শুধুমাত্র পোষা প্রাণীর থেকেও অধিক গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে কুকুরকে। আনুগত্যের সঙ্গে যখন এদের বিস্ময়কর বুদ্ধিমত্তা যোগ হয় তখন অনায়াসেই এরা মানুষের এমন সঙ্গীতে পরিণত হয়, যার কোনো বিকল্প হয় না। এদের মধ্যে বিশেষ কিছু কুকুরের অসাধারণ দক্ষতা রয়েছে যার মাধ্যমে এরা ২০২৪ সালের সেরা কুকুরের জায়গা দখল নিয়েছে। এমনকি খবরের পাতায় শিরোনামও হয়েছে।
চলুন, যে কুকুরগুলো ২০২৪ এ সেরা কুকুর হিসেবে আলোচনায় এসেছে- তা জেনে নেওয়া যাক।
এরিয়েল
ছয়টি পা নিয়ে জন্মগ্রহণকারী এরিয়েল নামের কুকুরটি ছিল এ বছরের সবচেয়ে আলোচিত প্রাণী। ২০২৪ সালে এরিয়েলের অতিরিক্ত অঙ্গগুলো অস্ত্রপচারের মাধ্যমে অপসারণ করা হয় এবং অপারেশনটি সফলভাবে সম্পন্ন হয়। এরপর কুকুরটিকে ওয়েস্ট ওয়েলসে বসবাসকারী এক কুকুরপ্রেমী নিয়ে যান। সেখানে এরিয়েল সার্ফিং করা শেখে। এখন এরিয়েল কেবল স্বাভাবিকভাবে হাঁটতেই পারে না, সে সমুদ্রে সাঁতার কাটছে, সে প্যাডেল বোর্ডিং, সার্ফিংও করতে পারে।
ওয়াইল্ড থাং
ক্যালিফোর্নিয়ায় বিশ্বের কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতায় জয়ী কুকুর হচ্ছে ওয়াইল্ড থাং। অবশ্য এই শিরোপা জেতার আগে থাং চারবার ব্যর্থ হয়েছে।
আট বছর বয়সী পিকিংগিজ কুকুরছানা হিসেবে ভাইরাল ওয়াইল্ড থাং ক্যানাইন ডিসটেম্পারে রোগে আক্রান্ত হয়েছিল । যার ফলে তার জিহ্বা স্থায়ীভাবে আটকে যায়। আর এতেই সে বিশ্বের কুৎসিত কুকুর প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়। তবে তার মালিক বলেছে, ওয়াইল্ড থাং শারীরিকভাবে সুস্থ একটা কুকুর।
গাইয়া
তীক্ষ্ণ বুদ্ধি ও স্মৃতিসম্পন্ন কুকুর হচ্ছে গাইয়া। শুধু তাই নয় গাইয়া একটি সার্টিফাইড জিনিয়াস কুকুর। এ প্রজাতির কুকুরের বিভিন্ন বস্তুর নাম শেখার একটি অনন্য ক্ষমতা রয়েছে। এদের স্মৃতিশক্তি অত্যন্ত প্রখর হয়। গত সেপ্টেম্বরে বায়োলজি লেটারস জার্নালে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়, বিভিন্ন খেলনা, রঙ, জিনিসের নাম তারা দীর্ঘ সময়ের জন্য মনে রাখতে পারে। গাইয়া এই গবেষণায় শীর্ষস্থানীয় পারফর্মার ছিল।
টাইটান
টাইটান সাদা ল্যাব্রাডুডল প্রজাতির একটি কুকুর। তবে এটি কোন সাধারণ কুকুর না, টাইটান এক অসাধারণ বীরত্বের অধিকারী এক কুকুর। সে তার মালিকের হত্যাকারীকে খুঁজতে পুলিশকে সাহায্য করেছিল।
ডেইজি
ডেইজি মোল ভ্যালিতে তার মালিকের সাথে থাকতো। ২০১৬ সালে তার মালিকের বাগান থেকে হারিয়ে যায় এবং প্রায় ৮ বছর পর ২০২৪ সালে ডেইজি তার পুরনো মালিকের কাছে ফিরে আসে।
ট্রুপার
চলতি বছরে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় হ্যারিকেন মিল্টনের সাথে যুদ্ধ করে বেঁচে যাওয়া এক অপ্রতিরোধ্য কুকুর হচ্ছে ট্রুপার। এক ভিডিওতে দেখা যায়, ট্রুপারকে একটা খুটির সাথে বেঁধে রাখা হয়েছে। সেখানে বুক সমান পানিতে বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করতে দেখা যায় ট্রুপারকে। ওই ভিডিও দেখে তাকে মৃতপ্রায় অবস্থায় উদ্ধার করে তার মালিকের কাছে ফেরত দেয়া হয়েছিল।
বেথ
বেথ হচ্ছে একটি রাজকীয় কুকুরছানা। সে রানি ক্যামিলার সাথে অনেক জায়াগায় ঘুরতে গেছে। তবে দুঃখজনকভাবে গত নভেম্বর মাসে একটি অনিরাময়যোগ্য টিউমারের কারণে বেথের মৃত্যু হয়।
কেভিন
বিশ্বের লম্বা কুকুরের খেতাব পাওয়া গ্রেট ডেন প্রজাতির কুকুর কেভিন। এ বছরের মার্চে কেভিন-কে বিশ্বের সবচেয়ে লম্বা কুকুরের খেতাব দেয় গিনেজ বুক অব ওয়ার্ল্ডস রেকর্ড। তবে তিন বছর বয়সী কুকুরটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর এটিকে সুস্থ করার জন্য অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু দুঃখজনকভাবে কেভিন মারা যায়।
জেনি
জেনি একটি গাইড কুকুর এবং যুক্তরাজ্যের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য রাজনৈতিক পোষা প্রাণী। লিবারেল ডেমোক্র্যাট এমপি স্টিভ ডার্লিংয়ের সাথে তাকে সব সময় দেখা যায়। এমনকি জুলাই মাসে সংসদে এমপিদের শপথ নেয়ার সময় জেনীকে বেঞ্চে শুয়ে থাকতে দেখা গেছে।
কমান্ডার
কমান্ডার একটি জার্মান শেফার্ড প্রজাতির কুকুর। ২০২১ সালে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে যোগ দেয় কমান্ডার। চলতি বছরের শুরুর দিকে প্রকাশিত ইউএসএসএসের এক অভ্যন্তরীণ ফাইলে দাবি করা হয়, জার্মান শেফার্ড অন্তত ২৪ বার হোয়াইট হাউসের কর্মীদের কামড়েছে।
এসব ঘটনার মধ্যে রয়েছে সিক্রেট সার্ভিসের সদস্যদের কব্জি, কনুই, বাহু, বুক, কোমর, কাঁধ ও উরুতে কামড় দেওয়া হয়।
ফাইলে দেখা গেছে, হোয়াইট হাউসে এক এজেন্টের হাতের কনুইয়ে কামড় লাগার পর সেলাই দিতে হয়েছে এবং আরেকজনের হাতে ছয়টি সেলাই দিতে হয়েছে। তার এই কামড়ের জন্যই বেশ আলোচনায় ছিল কমান্ডার।
ববি
বিশ্বের সবচেয়ে বয়স্ক কুকুরের স্বীকৃতি পেয়েছে ববি। গায়ে বাদামি ও সাদা রঙের মিশেল। দেখতে আর দশটি কুকুরের মতোই। কিন্তু সাধারণ কুকুর নয় ববি। রীতিমতো তারকা সে। নাম উঠেছে গিনেস বুকে। কারণ, ববির বয়স। গত মে মাসে ৩১ বছর পূর্ণ করেছে ববি।
বছর না ঘুরতে ববির ৩১ বছরের পথচলা থেমে গেছে। দীর্ঘজীবন পাওয়া ববি গত বছর অক্টোবরে মারা যায়। বয়স হয়েছিল ৩১ বছর ১৬৫ দিন। দীর্ঘদিন ববির চিকিৎসা করেছেন পশুচিকিৎসক কারেন বেকার। তিনি কুকুরটির মৃত্যুর খবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন।
ববির মালিক লিওনেল কস্তা জানান, ববি রাফেইরো জাতের কুকুর। গবাদিপশু পাহারা দেওয়ার জন্য এই কুকুরগুলো পোষা হয়। ১২ থেকে ১৪ বছর বাঁচে একেকটি কুকুর। তবে ববি ছিল ব্যতিক্রম।
সন্তানের নামকরণ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর তর্কের ঘটনা নতুন কিছু নয়। তর্ক হলেও সেটার সমাধান কিছু সময়ের ব্যাপার। কিন্তু এর সমাধানে দীর্ঘ তিন বছর নিজেদের মধ্যে লড়াইয়ের পরও যখন কোন সিদ্ধান্তে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি তখন সাহায্যের জন্য আদালতে উপস্থিত হন। শুধু তাই নয় এক পর্যায়ে তারা বিবাহবিচ্ছেদেরও সিদ্ধান্ত নেন। ঘটনাটি অদ্ভুদ এবং এমন ঘটনা আগে কখনো ঘটেছে কি না তা নিয়ে কথা উঠতেই পারে। তবে এবার সেই কথার ইতি টানতে হবে!
সন্তানের নামকরণ নিয়ে তর্ক, সেটার সমাধানে আদালতের দ্বারস্ত হওয়া এবং শেষ পর্যন্ত বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত- এর পুরো দৃশ্যই চিত্রায়িত হয়েছে ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে।
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে জানায়, ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকের এক দম্পতি তাদের ছেলের নামকরণ নিয়ে তিন বছর লড়াইয়ের পর আদালতের শরণাপন্ন হন। তাদের মধ্যে লড়াইটি এতোটাই খারাপ পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে এক পর্যায়ে তারা বিবাহবিচ্ছেদ চাইছিলো।
সন্তান জন্ম দেওয়া ওই নারীর নাম প্রকাশ না করে ঘটনাটির বিস্তারিত তুলে ধরে বিবিসি জানায়, ২০২১ সালে ওই নারী একটি ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছিল। এরপর কয়েক সপ্তাহের জন্য সে সন্তানসহ বাবা-মায়ের বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিল। সন্তান জন্মের পর বিশ্রাম এবং স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার জন্য স্ত্রীরা সাধারণত তাদের বাবার বাড়িতে বেড়াতে যায়- ভারতে এটা সাধারণ ঘটনা।
এরপর সন্তান ও স্ত্রীকে ওই বাড়ি থেকে আনতে স্বামীর যাওয়ার কথা। কিন্তু যখন স্বামীর বাছাই করা নাম নিয়ে স্ত্রী প্রশ্ন তোলে তখন স্বামী তার প্রতি বিরক্ত হয়ে তাকে আনতে যেতে অস্বীকৃতি জানান।
হুনসুরের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর সৌম্য এমএন জানিয়েছেন, তাদের মধ্যে এ নিয়ে ঝামেলা মাস থেকে বছরে পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত এটা এমন এক পর্যায়ে গিয়ে পৌঁছায় তারা বিবাহবিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।
ওই নারীর আইনজীবী এম আর হরিশ বিবিসি হিন্দিকে বলেছেন, এ নিয়ে তিনি স্থানীয় একটি আদালতে মামলা করেছেন। তিনি বিচ্ছেদের পর সন্তানের দেখাশোনা ও নিজের রক্ষণাবেক্ষণের জন্য অর্থ চেয়েছেন।
আদালতে বিচারকরা তাদেরকে এটির সমাধান নিজের মধ্যে কথা বলে করে নেওয়ার কথা জানান। কিন্তু তারা এতে রাজি হয়নি বরং আদালতকেই একটি নাম বেছে দেওয়ার জন্য বলেছেন।
পরবর্তীতে আদালত ছেলে শিশুটির নাম আর্যাবর্ধন রেখে রায় ঘোষণা করেন। আর্যাবর্ধন অর্থ "আভিজাত্য" বলে জানায় আদালত।
তারপর দম্পতি মালা বিনিময় করেন এবং পুনরায় একসঙ্গে তাদের সংসার চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন।