আকাশে কালো মেঘের দিন শেষ! গায়ে লাগছে শীতল হাওয়ার আলতো ছোঁয়া-এভাবেই শুরু কার্তিকের। আর কার্তিকের হাত ধরেই বাংলার ষড়ঋতু হেমন্তের আগমন। যেখানে জীবনান্দ দাস আসতে চেয়েছিলেন ‘…হয়তো ভোরের কাক হয়ে, এই কার্তিকের নবান্নের দেশে/ কুয়াশার বুকে ভেসে একদিন…’
মঙ্গলবার (১৬ অক্টোবর) কার্তিকের প্রথম দিন কুয়াশায় ভেসে ভোরে আগমন হয়। কুয়াশায় চাদর সরিয়ে শুরু হয় হেমন্তের প্রথম সকাল। কার্তিক-অগ্রহায়ণ দুই মাস মিলে বাংলা ঋতু চক্রের চতুর্থ ষড়ঋতু হেমন্তকাল।
হেমন্তের প্রথম দিনটিতে সূর্যের আলোকচ্ছটার সঙ্গে কুয়াশা পেরে উঠেনি বেশিক্ষণ! তবে শীতকাল যে আসন্ন তার ইঙ্গিত দিয়ে গেল ভোরের এই কুয়াশা।
আবহাওয়া তথ্যের সাইট অ্যাকুয়াওয়েদারের হিসেবে এই কুয়াশায় রাজধানীতে দৃষ্টিসীমা এক কিলোমিটারের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিলো। এ সময় তাপমাত্রা ২৩ থেকে ২৪ এ উঠানামা করেছে।
ঋতু চক্রের হিসেবে কার্তিক থেকেই শীতের বাহু প্রসারিত হতে থাকে বাংলায়। কুয়াশার বিস্তার বেড়ে ‘ভিজিবিলিটি‘বা দর্শন শক্তি ক্ষীণ হতে থাকে। তবে এ মাসে আবহাওয়া জনিত বিঘ্নতা নেই। কারণ-ঝুম বৃষ্টিপাত নেই! অলস করা মেঘলা দিন নেই। তাপমাত্রায় নেই খুব গরম বা শীত।
তবে হেমন্তের আনন্দ শহর জীবনে ততটা দোলা দেয় না যতটা গ্রামে। হেমন্তে ফসলের মাঠ ভরা কৃষকের হাসি থাকে। কারণ কার্তিকের শেষ হওয়ার আগেই গ্রামের মাঠে মাঠে পাকা ধানের দেখা মেলে। ধানের মধুর গন্ধে কৃষকরা মেতে উঠে বাংলার চিরাচরিত নবান্ন উৎসবে।
হেমন্তের পরপরই পুরোপুরি শীতকাল। তার আগে তাপমাত্রার পারদ নামতে নামতে শৈত প্রবাহ ডেকে আনে। তবে কুয়াশা আর হালকা শীত ছাড়া কার্তিকে আবহাওয়ায় তেমন বড় পরিবর্তন হয় না।
আবহাওয়া অধিদপ্তারের তথ্যে বলা হয়েছে, এ সপ্তাহে আবহাওয়ার বড় কোন পরিবর্তন নেই। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় আবহাওয়ার সামান্য পরিবর্তন হতে পারে। আগামী ২৪ ঘণ্টায় তাপমাত্রা একটু উঠানামা করবে।
ময়মনসিংহ, সিলেট, ও চট্রগ্রাম বিভাগের দু এক জায়গায় অস্থায়ী দমকা হাওয়াসহ হালকা বৃষ্টি হতে পারে। এছাড়া দেশের অন্যত্র অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানতঃ শুষ্ক থাকতে পারে। ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ ৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ২৩ দশমিক৭ ডিগ্রী সেলসিয়াস। সকালে বাতাসের আর্দ্রতা ৮৭ ভাগ এবং বিকেলে তা কমে ৬৪ ভাগে আসবে।।।