বল উড়ে গিয়ে যদি বিল্ডিংয়ে লাগে তাহলে আউট। আর মাটিতে ড্রপ করে গেলে চার। দৌড়ে একরান, দুইরান নেওয়ার সুযোগ আছে, এভাবেই আমরা খেলি। খেলার নিয়ম জানতেন চাইলে এভাবে ব্যাখ্যা করলেন গলির ক্ষুদে ক্রিকেটার ইয়াসিন।
ময়মনসিংহ শহরের একটি স্কুলে ৫ম শ্রেণিতে পড়ে ইয়াসিন। তার মত সিয়াম, হাসান, রিয়াদরা ছুটির দিনে মেতে উঠে গলির ক্রিকেটে। আর তাদের খেলার দর্শকও শিশু-কিশোররা।
শুক্রবার (২৩ নভেম্বর) সকালে শহরের সানকিপাড়া এলাকার এসএ সরকার রোডে এমন দৃশ্যের দেখা মেলে।
শহরের প্রতিটি স্থানে সবুজ ডিঙিয়ে গড়ে উঠছে কংক্রিটের বহুতল ভবন। বিস্তৃত কোন খোলা জায়গা না থাকায় গলিই ওদের কাছে খেলার মাঠ।
সপ্তাহের অন্যান্য দিন স্কুল, কোচিং, প্রাইভেট থাকে এ শিশুদের। রুলটানা আঁটসাঁট রুটিনে এভাবেই কাটে ওদের শৈশবের বেশিরভাগ দিন।
যারপরনাই খুব একটা খেলাধুলার ফুসরত হয়ে উঠে না। গোটা সপ্তাহ ধরে অপেক্ষা করে কবে আসবে প্রত্যাশিত শুক্রবার। কেননা এ দিনটিতেই সমবয়সীদের সাথে ক্রিকেটে মেতে উঠতে পারে।
আজকে যারা জাতীয় দলের হয়ে খেলছেন বা ক্রিকেটের কিংবদন্তী, তারাও একসময় খেলেছেন গলির ক্রিকেট। এটি অবশ্য ভাবনাতে নেই এসব কিশোরদের। ছুটির দিনটিতে ওদের মিলনমেলা ও কিছু সময় ক্রিকেটে মেতে উঠাতেই যেন ওদের সকল প্রাপ্তি।