একটু একটু করে সারাদেশেই বাড়ছে শীত। শীতের সাথে বাড়ছে গরম কাপড়ের চাহিদা। বড় শপিং মল থেকে ফুটপাতের দোকান সব জায়গাতেই ক্রেতাদের ভিড়। কুষ্টিয়ার মানুষজন শীত নিবারণের জন্য গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে ভিড় করছে।
তবে নতুন কাপড়ের দাম বেশি হওয়ায় কুষ্টিয়া জেলার মানুষজন শীতকে কেন্দ্র করে পুরনো ও তুলনামূলক একটু কম দামী কাপড়ের দোকানের দিকে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছে।
কুষ্টিয়া জেলার ৬টি উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে শীতের পোশাক আমদানি ও বেচাকেনা ভালোভাবেই শুরু হয়েছে। তবে অন্যান্য জিনিসের দাম বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে পোশাকের দামও।
নতুন কাপড়ের এতই দাম যা নিম্ন আয়ের মানুষদের নাগালের বাইরে। ফলে শীত নিবারণের জন্য এই মানুষগুলো কম মূল্যের কাপড় কেনার জন্য বাজারে ছুটছেন।
এদিকে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম কাপড় হাট পোড়াদহের ব্যবসায়ীরা শীতের কাপড় ওঠাতে শুরু করেছে। বিক্রিও হচ্ছে ভালো। বেচাকেনায় জমে উঠেছে কাপড় হাটে।
জেলার হাট-বাজারের গার্মেন্টসের দোকানগুলোতে কাপড়ের দাম বেশি। তাই নিম্নবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের লোকেরা কম মূল্যের কাপড় কিনতে এখানেই বেশি ভীড় জমাচ্ছে ফুটপাতের দোকানগুলোতে। কেননা ফুটপাতের দোকানিরা কম মূল্যের কাপড়ের পসরা সাজিয়ে বসেছে।
বিভিন্ন স্থানে অস্থায়ীভাবে বসা দোকানগুলো ক্রেতাদের ভিড়ে সরগরম হয়ে ওঠেছে। সবাই যেন মনের আনন্দে কিনছে পছন্দের শীতের পোশাক। স্বল্পমূল্যে পাওয়া যাচ্ছে সোয়েটার, জ্যাকেট, মাফলার, কোর্ট, প্যান্ট, কান টুপিসহ বিভিন্ন প্রকার শীতবস্ত্র।
এ জন্য দোকানিরা কম মূল্যের কাপড়ের পসরা বসিয়েছে ফুটপাতে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে কম মুল্যের শীত কাপড় পাওয়ায় বেচাকেনা বেশি হচ্ছে। এসব দোকানে ব্যবসা জমে উঠায় এ ব্যবসাকে কেন্দ্র করে ব্যবসায়ীরা একদিকে ক্রেতারা যেমন লাভবান হচ্ছে অন্যদিকে তারা সংসারেও স্বচ্ছলতা আনছে।
কুষ্টিয়া শহরের এনএস রোডের পাবলিক লাইব্রেরী মাঠের সামনে, বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনেসহ বিভিন্ন স্থানে পুরনো কাপড়ের পসরা বসেছে। এসব কাপড় ব্যবসায়ীরা ঢাকা, চট্টগ্রাম থেকে আমদানী করে বিক্রি করছে। ফুটপাতের দোকানগুলোতে কম মুল্যে কাপড় পাওয়ায় বেচাকেনা বেশ জমে উঠেছে।
শহরের বঙ্গবন্ধু সুপার মার্কেটের সামনের ফুটপাতে অন্তত ২০টি শীতের পোশাক দোকান। দোকানগুলোতে ২০টাকা থেকে শুরু করে ২শ টাকায় মিলছে গরম কাপড়। আব্দুল করিম ও রাসেল নামের দুই ব্যবসায়ী জানান, আমরা চট্টগ্রাম থেকে গাট্টি ধরে এসব শীতের কাপড় নিয়ে আসি। গতবছরের থেকে এবার গাট্টি প্রতি দুইশ টাকা বেশি নিচ্ছে।ফলে একটু দামও বেশি নিতে হচ্ছে।
বেচাবিক্রি কেমন জানতে চাইলে রহিম আলী জানান, এখনো তেমন শীত পড়েনি।তবে শীতের তীব্রতা বাড়লে ক্রেতাও বাড়বে।
নাজমা বেগম নামের এক ক্রেতা জানান, ফুটপাত থেকেও ভালো ভালো শীতের পোষাক পাওয়া যায়। তাই এখান থেকে কিনতে এসেছি। পছন্দ করে তিনটা শীতের পোষাক কিনেছি।