গাঁদা অত্যন্ত জনপ্রিয় ও বহুল ব্যবহৃত ফুল। এটি একটি শীতকালীন ফুল। গাঁদা ফুল বিভিন্ন জাত ও রঙের হয়। বাগানের শোভা বর্ধন ছাড়াও বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, পূজা-পার্বন ও গৃহসজ্জায় এ ফুলের ব্যাপক ব্যবহার হয়।
গাঁদা ফুলের এমন ভুবন মোহিনী সৌন্দর্য দেখেই মনে হয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বলেছেন, ‘হলুদ গাঁদার ফুল রাঙা পলাশ ফুল, এনে এনে দে নইলে…।’
শীতকালে এই ফুল বেশি ফোটে। বাংলাদেশের প্রায় জেলাতেই এই ফুলের চাষ করা যায়। গাঁদা ফুল গোলাপি ও লাল রঙের হয়ে থাকে।
গাঁদা ফুল গাছের পাতার রসও গ্রামে-গঞ্জে বিভিন্ন চর্মরোগের ঔষধ হিসেবেও ব্যবহার করা হয়। কাটা স্থানে গাঁদা ফুল গাছের রস লাগালে ক্ষত স্থান থেকে রক্ত পরা বন্ধ হয়। গ্রামে-গঞ্জে এখনও এটি ক্ষতের চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
নারায়ণগঞ্জের বন্দর এলাকার সাবদি গ্রামে অনেক জাতের ফুলের চাষ হয়। এর মধ্যে গাঁদা ফুল অন্যতম। জমিতে নতুন করে গাঁদা ফুলের চারা লাগানো হয়েছে। এক থেকে দেড় মাস পরে এখান থেকে ফুল সংগ্রহ করা হবে। কিছু কিছু গাছ থেকে এখনই ফুল সংগ্রহ করা হচ্ছে।