যুগের পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে প্রতিবাদেরও ধরণ বদলে যাচ্ছে। কেউ নিজের শরীরে আগুণ দিয়ে, কেউবা নগ্ন হয়ে প্রতিবাদ জানাচ্ছে। এবার শব্দ দূষণ করে অভিনব প্রতিবাদ করতে দেখা গেছে।
সোমবার (১০ ডিসেম্বর) খোদ রাজধানী ঢাকাতেই এমন অভিনব প্রতিবাদের আশ্রয় নিতে দেখা গেছে। রাত সাড়ে ৮টায় কারওয়ান বাজার ট্রাফিক সিগন্যালে (পান্থপথ হাতিরঝিল লিংক রোড) লম্বা সময় ধরে সিগন্যাল আটকে রাখায় এই অভিনব প্রতিবাদ হয়েছে। আর এই প্রতিবাদ হয়েছে খোদ ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে।
মসিউর রহমান নামের এক গাড়ির চালক বার্তা২৪.কমকে বলেন, হাতিরঝিল থেকে গাড়ি নিয়ে হোটেল সোনারগাঁও’র সামনে আটকা পড়েন রাত সোয়া ৮ টায়। যথারীতি ট্রাফিকের হাতের ইশারার জন্য অপেক্ষায় থাকেন। কিন্তু অন্যান্য রোড একে একে তিন-চার বার করে ছাড়লেও হাতিরঝিল লিংক রোড আটকে রাখা হয়। কারওয়ান বাজার থেকে জ্যাম মগবাজার ফ্লাইওভারের উপরে গিয়ে ঠেকে।
এভাবে প্রায় ২৫ মিনিট কেটে যায় কিন্তু ছাড়ার কোনো লক্ষণ না দেখে গাড়ির চালকরা একযোগে হর্ন বাজিয়ে প্রতিবাদ শুরু করেন। এরপরও কোন ভাবান্তর হয়নি ট্রাফিকের। ওই সময়ে একজন বিচারপতি আটকে ছিলেন সেই সিগন্যালে। প্রতিবাদ দেখে বিচারপতির গানম্যান গাড়ি থেকে নেমে সিগন্যাল আগলে থাকা আনসারের সঙ্গে কথা বলেন। এরপর আনসার গিয়ে সার্কফোয়ারায় দাঁড়ানো ট্রাফিক পুলিশকে অবগত করলে প্রায় ৩২ মিনিট পর এই সিগন্যালটি ছাড়া হয়।
সুমন নামের এক চালক অভিযোগ করেছেন, ইদানীং পুলিশের খেয়াল খুশিতে চলছে সিগনালিং ব্যবস্থা। তারা যখন যা খুশি করছে। পুলিশের মাঝ লেভেলের কর্তাদের পার করার জন্যও ইচ্ছামতো সিগন্যাল চালু রাখছে। এতে অন্যদের ত্রাহি অবস্থা। ফ্লাইওভার ব্যবহার এখন অপরাধের মতো মনে হয়। আপনি মগবাজার থেকে যদি বাংলামোটরে নামেন তখন বুঝবেন কেমন যন্ত্রণা। পুলিশের এই রোডটির কথা মনে থাকে বলে আমার মনে হয় না।
এমন অভিনব প্রতিবাদ ইদানীং প্রায় হচ্ছে বলে জানান এক পাঠাও চালক। কারণ কোনো রোটেশন মানা হচ্ছে না। কোনো রুট তিন-চারবার ছাড়লেও আরেকটি হয়তো আটকে রাখা হচ্ছে। প্রতিবাদ করলে পুলিশ আরও আক্রোশমুলক বিলম্ব করে শিক্ষা দেওয়ার চেষ্টা করে।