হাড় কাঁপানো কনকনে শীত আর গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে সাতক্ষীরায় জনজীবন স্থবির হয়ে পড়েছে। গোটা দুইদিন যাবৎ দিনভর আকাশ মেঘে ঢাকা। দেখা মেলেনি সূর্যের।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত থেকে ছিটেফোঁটা বৃষ্টি শীতের তীব্রতা আরো বাড়িয়ে দিয়েছে। উত্তরের হিমেল হাওয়ায় কাঁপ ধরেছে হাড়ে। বিশেষ করে ছিন্নমূল মানুষের গায়ে পড়ছে শীতের কামড়।
একটু উষ্ণতার জন্য গরম কাপড় গায়ে জড়াচ্ছেন সবাই। কেউ কেউ আগুনের কুণ্ডলীতে উত্তাপ নিচ্ছেন। শ্রমজীবী সাধারণ মানুষের জীবনে নেমে এসেছে দুর্ভোগ। নিতান্ত প্রয়োজন না হলে কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছেন না। গত দুদিনে অন্যদিনের তুলনায় সাতক্ষীরা শহর প্রায় ফাঁকা।
সন্ধ্যা নেমে আসার আগেই অনেকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে ফেলেন। তবে শহরের ফুটপাতের দোকানগুলোতে বেড়েছে ক্রেতাদের ভিড়। লেপ-তোষকের দোকানেও ক্রেতাদের ভিড় দেখা গেছে। শীতে প্রকৃতিতে বিরাজ করছে জবুথবু অবস্থা। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিতে শীতকালীন সবজির ক্ষেত ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি বিভাগের কর্মকর্তা রঘুজিৎ গুহ।
এ অবস্থায় শিশুদের নিউমোনিয়া ও ঠান্ডাজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে বলে জানান সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গাজী নাসিরউদ্দিন। তবে শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ প্রতিরোধে তিনি আলো বাতাসযুক্ত ঘরে স্বাভাবিকভাবে শিশুদের রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
এ অবস্থা কতদিন থাকবে তা জানাতে পারেনি জেলা আবহাওয়া অফিস। বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে জানান আবহাওয়া অফিসের উচ্চমান সহকারী মাজেদুল হক।
তিনি জানান, সোমবার সাতক্ষীরায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা সকালের দিকে ২১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বিকালের দিকে ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। রাতে তাপমাত্রা আরো কমতে পারে। বৃষ্টি ও ঠান্ডা বাতাসের কারণে শীত অনুভূত হচ্ছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টির কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে টানানো পোস্টারগুলো ভিজে নষ্ট হতে দেখা গেছে।